বৈশাখের দারুণ দহনে দগ্ধ হচ্ছে চরাচর। একই সঙ্গে গ্রীষ্ম তার ডালা সাজাতে শুরু করেছে নানান স্বাদের ফলসম্ভারে। এরই মধ্যে বাজারে মৌসুমি ফল আম, কাঁঠাল আর লিচুর পাশাপাশি তালশাঁসের দেখা মিলছে। গরমে তৃষ্ণা মেটাতে ডাবের পানির পাশাপাশি ক্রেতাদের কাছে ভেজালমুক্ত তালশাঁসের কদরও বেশ। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, দ্রুত শরীর শীতল করার পাশাপাশি আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে শরীর পানি হারালে দ্রুত তা পূরণ করতে পারে। চট্টগ্রামের নগরের কদমতলী এলাকায় আকার ও মান অনুযায়ী প্রতিটি তাল পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২৫ টাকায়।
বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা হচ্ছে কাঁচা তাল। পাইকারি বাজারে এই কচি তাল আসে চাঁদপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, রাজশাহী, খুলনা, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে।ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে এভাবে কেটে রাখা হয় তাল। সড়কের এক পাশে লাইন ধরে বিক্রি হয় তাল। তালশাঁসের বেশির ভাগ অংশ জলীয়। তাল বাছাই করে নিচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারা।তাল বিক্রির পর টাকা গুনে নেওয়া চলছে। সড়কের পাশে বিক্রির জন্য স্তূপ করে রাখা হয়েছে তাল। ব্যাগে জায়গা না হওয়ায় গেঞ্জিতে করে তাল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন একজন।তাল কিনে ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় বাজারে। এক ব্যক্তি বাড়ির জন্য কয়েকটি তালশাঁস কাটিয়ে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন।