শিলাবৃষ্টিতে শেরপুরে কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি

শিলাবৃষ্টিতে বগুড়ার শেরপুরে বোরো ধান, সবজিখেতসহ নানা ফসলের ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তথ্যমতে, মোট ২ হাজার ৫৮০ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যার মধ্যে সবজি চাষে ক্ষতি হয়েছে ৪৫০ জন কৃষকের। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে ১১০ হেক্টর জমির বোরো ধান এবং ৩২০ হেক্টর জমির ধান আংশিক ক্ষতি হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে সবজি চাষে ক্ষতি হয়েছে ৩০ হেক্টর জমিতে। গত শনিবার বিকেলে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ও কুসুম্বি ইউনিয়নে শিলাবৃষ্টিতে এই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল বুধবার উপজেলার কুসুম্বি ও গাড়িদহ ইউনিয়নের শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত চন্ডেশ্বর, হাটগাড়ি, মাগুড়গাড়ি, হাপুনিয়া ও মোমিনপুর গ্রামে সরেজমিন দেখা যায় এসব ক্ষয়ক্ষতির চিত্র।

ঝরে পড়া ধান মাঠ থেকে কুড়িয়ে নিচ্ছেন গ্রামীণ নারীরা।
ঝরে পড়া ধান মাঠ থেকে কুড়িয়ে নিচ্ছেন গ্রামীণ নারীরা।
ধান কুড়াচ্ছেন সালমা বেগম। শিলাবৃষ্টিতে তাঁর আড়াই বিঘা জমির আধা পাকা ধান ঝরে পড়েছে।
চন্ডেশ্বর গ্রামের মাঠজুড়েই ঝরে পড়েছে বোরো ধান। সেসব ধান সংগ্রহ করছেন এক নারী।
শিলাবৃষ্টিতে ঝরে পড়া ধান খেত থেকে সংগ্রহ করে প্লাস্টিকের গামলায় ভরছেন আসমা বেগম।
বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে ডুবে আছে আধা পাকা বোরো ধান।
মোমিনপুর গ্রামের মাঠজুড়েই কৃষকের হাহাকার। প্রায় দুই বিঘা জমিতে ঝরে যাওয়া ধানগাছ কেটে নিচ্ছেন কৃষক ফজল আলী।
বাড়ির পাশেই আমগাছে ব্যাপক আম ধরেছিল। ঝরে পড়েছে সব আম। কুড়িয়ে স্তূপ করছেন মাজেদা বেগম।
শিলাবৃষ্টিতে ঝরে পড়া মাঠের আধা পাকা ধান।
শিলাবৃষ্টিতে ঝরে যাওয়া ধানগাছ দেখাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত এক কৃষক।
আকস্মিক শিলাবৃষ্টিতে আসমা বেগমের টিনের চালা ফুটা হয়ে গেছে।