চলছে বাঁধাই ‘হালখাতা’

কোনোটি মোড়ানো লাল কাপড়ে, কোনোটি সবুজ, নীলে। চ্যাপটা, মোটা—নানা আকারের এসব খাতাকে ব্যবসায়ীরা ডাকেন নানা নামে। হালখাতা, সালুখাতা, লালখাতা। যে নামেই ডাকুক, এসব খাতায় লেখা হয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিদিনকার জমা-খরচের হিসাব। আর তার সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির ঐতিহ্য। চট্টগ্রাম নগরের আন্দরকিল্লা, বক্সিরবিট, টেরিবাজার এসব খাতা বেচাকেনার পরিচিত জায়গা। আন্দরকিল্লা থেকে লালদীঘি সড়ক ধরে নেমে যেতে যেতে চোখে পড়বে হাতে গোনা চার-পাঁচটা হালখাতার দোকান। ১২০ বছর ধরে এ ব্যবসায়ে জড়িত এখানের বেশ-কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। যাদের সবার খাতা তৈরির কারখানা রয়েছে। পয়লা বৈশাখ ঘনিয়ে এলে দিন-রাত পরিশ্রম করে হালখাতা তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন শ্রমিকেরা। তবে কাগজের দাম বাড়তি হওয়ায় বেড়েছে হালখাতার দাম। তাই তুলনামূলক এই বছর কিছুটা কম বিক্রি হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

সাদা, লাল, সবুজ ও নীল বিভিন্ন রঙের হালখাতা তৈরি করছেন শ্রমিকেরা
সাদা, লাল, সবুজ ও নীল বিভিন্ন রঙের হালখাতা তৈরি করছেন শ্রমিকেরা
সাদা কাগজ কেটে রাখা হচ্ছে স্তরে স্তরে
দোকানে খাতা দেখছেন একজন ক্রেতা
পছন্দের হালখাতা কিনতে এসেছেন এক ক্রেতা
মেশিনে কাটা হচ্ছে কাগজ
আঠায় হাত ডুবিয়ে লাগানো হয় এই আঠা
নম্বর লিখে সাজিয়ে রাখা হয় তৈরি হওয়া হালখাতা
আঠায় হাত ডুবিয়ে লাগানো হয় এই আঠা
মাটিতে বসে এভাবে তৈরি করতে দেখা যায় বিভিন্ন আকারের খাতা
দোকানে বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা হচ্ছে হালখাতা