সাকরাইনের ঐতিহ্যবাহী ‘মাঞ্জা’

পুরান ঢাকা মানেই উৎসবমুখর পরিবেশ। শনিবার পুরান ঢাকার অন্যতম বড় উৎসব সাক্রাইন বা পৌষ সংক্রান্তি। সাকরাইন উৎসবে ঘুড়ি ওড়ানোই মূল আকর্ষণ। সাকরাইন এলে শুরু হয়ে যায় ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা, কার ঘুড়ি কে কাটবে! এই কাটাকাটির খেলায় প্রয়োজন হয় ধারালো সুতার। যার ঘুড়ির সুতা যত বেশি ধার কাটাকাটিতে সে তত এগিয়ে থাকবে। এ কাজে বিশেষ কৌশলের প্রয়োজন হয়। তবে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় ধারালো সুতার। আর ধারালো সুতা তৈরির প্রয়োজনেই দরকার হয় মাঞ্জা দেওয়া। মাঞ্জা বলতে সুতার বিশেষ প্রস্তুত প্রক্রিয়াকেই বোঝানো হয়। সাকরাইন উৎসব উপলক্ষে পুরান ঢাকার শিংটোলা এলাকায় বাসার ছাদে বন্ধুরা মিলে ঘুড়ি ওড়ানোর সুতায় মাঞ্জা দিচ্ছে কিশোর ও তরুণেরা। কালের বিবর্তন ও বিদেশি সুতার ভিড়ে বর্তমানে মাঞ্জা দেওয়ার প্রচলন হারিয়ে গেলেও ঐতিহ্যবাহী এ প্রথা ধরে রেখেছে পুরান ঢাকার ‘মাঞ্জা’ নামের একটি সামাজিক ও অলাভজনক সংগঠনের এ সদস্যরা।

গত বছরের পুরোনো সুতা কেটে ফেলা হচ্ছে
গত বছরের পুরোনো সুতা কেটে ফেলা হচ্ছে
সাগু দানা, শিরীষ, ভাতের মারের পানি ২০ থেকে ৩০ মিনিট জ্বাল দেওয়া হয়েছে। এরপর সেই ঘন মিশ্রণে দেওয়া হচ্ছে রং
নাটাইয়ে সুতা প্যাঁচানোর আগে মোড়ানো হচ্ছে সাদা কাগজ
মিশ্রণে ভেজানো হচ্ছে সুতা
টিউব লাইট ভেঙে তৈরি করা হচ্ছে কাচের গুঁড়ার মিশ্রণ, পুরান ঢাকায় এই মিশ্রণকে ‘চূড়’ বলা হয়
প্যাঁচানোর সময় একজন কাচের গুঁড়ার মিশ্রণ বা চূড়া হাত দিয়ে সুতাসহ ধরে রাখছে
রং মাখানো সুতা নাটাইয়ে বাঁধা হচ্ছে
এবার রঙিন সুতায় চূড় মাখিয়ে প্যাঁচানো হবে নাটাইয়ে
রিলের সুতা ধরে আছেন একজন
নতুন মাঞ্জা দেওয়া সুতায় ঘুড়ি ওড়াতে আর তর সইছে না যেন
রঙিন সুতা আরও রং–এ ভিজিয়ে রাখা হচ্ছে
সব সুতা নাটাইয়ে প্যাঁচানো হলে নাটাই রোদে শুকাতে দিতে হয়। এতে করে সুতা মজবুত হয়
অভিভাবককে নিয়ে পছন্দের ঘুড়ি দেখতে এসেছেন তিনি
পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজারে শেষ মুহূর্তের নাটাই, সুতা ও ঘুড়ি কেনার ধুম
মাঞ্জা দেওয়া সুতা রোদে শুকিয়ে মজবুত হয়ে গেছে, এবার ঘুড়ি উড়িয়ে শুধুই ‘ভোঁ-কাট্টা’। অপেক্ষা সাকরাইনের