গ্রীষ্মের এ সময় পুরুষ বাবুই পাখিরা কচি তাল, খেজুর, ধান-ঘাসপাতার শিরার এক পাশে ঠোঁট চালায়। এরপর ওড়ার জন্য খুব জোরে ডানা ঝাপটায়। এতে গতি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পত্রফলকের একাংশ ঠোঁটের সঙ্গে কেটে যায়। আর দু-তিন ফুট লম্বা পত্রফলক ঠোঁটে চেপে পতপত করে উড়ে আসে সরু লম্বা গাছে। সেখানে গাছের সরু ডালে সেটা প্যাঁচায়, গিঁট দেয় এবং বাসা বুনতে শুরু করে। বাবুই পাখি শৈল্পিক কারিগর। এদের বাসা যেমন দৃষ্টিনন্দন, তেমনি মজবুতও বটে। আগের দিনে হামেশাই তালগাছে বাবুই পাখির বাসার দেখা মিলত। কালের বিবর্তনে সচরাচর এখন আর বাবুই পাখির বাসা তেমন আর দেখা মিলে না। তবু গ্রামীণ জনপদে বাড়ির সঙ্গে লম্বা একটি তালগাছে বাবুইয়ের বাসা তৈরির কয়েকটি ছবি নিয়ে এই গল্প।