খুলনার ঐতিহ্যবাহী চড়কপূজা

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী চড়কপূজা ও মেলা। পূজার মূল আকর্ষণ চড়ক ঘুল্লি দেখতে হাজারো ভক্ত-দর্শনার্থী সমবেত হন। চৈত্রসংক্রান্তিতে খুলনার দাকোপ এলাকার বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয় এই পূজা। চড়কপূজাকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মের মানুষেরা এই দিন বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন। খুলনার দাকোপ থেকে গত শনিবার চড়কপূজার বিভিন্ন ছবি নিয়ে ছবির গল্প।

৩০ ফুট উচ্চতার একটি কাঠের দণ্ড, যার ওপর ঘুরবে চড়ক। দণ্ডটি দাঁড় করানোর আগে ভক্তির সঙ্গে ধুয়ে নেওয়া হচ্ছে।
৩০ ফুট উচ্চতার একটি কাঠের দণ্ড, যার ওপর ঘুরবে চড়ক। দণ্ডটি দাঁড় করানোর আগে ভক্তির সঙ্গে ধুয়ে নেওয়া হচ্ছে।
মাটির কুমির তৈরি শেষে গায়ে বসানো হচ্ছে কাঁচা খেজুর।
চড়কে বসানো হবে চরকির মতো আড়াআড়ি দুটি বাঁশের খণ্ড।
ফসল, গরু ও চাষ নিয়ে একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। এই নাটকে দুজনকে গরু বানিয়ে ফসলের মাঠে চাষ করা দেখানো হয়।
শিব ও দুর্গার সাজ।
হনুমানের প্রতিকৃতি তৈরি করা হয় চড়কপূজার জন্য।
নাটকে চাষের ধান ভক্তির সঙ্গে নতুন গামছায় তুলছেন এক ভক্ত।
পুঁথিপাঠের মাধ্যমে চলতে থাকে চড়কপূজার আনুষ্ঠানিকতা।
যুগ যুগ ধরে সংরক্ষিত পুঁথি। পোকায় কেটেছে কিছু অংশ।
গোধূলিবেলায় শুরু হলো পাটারভাঙ্গা অনুষ্ঠান।
বাঁশ দিয়ে ৩০-৪০ ফুট উঁচু কয়েক স্তরের একটি ‘তাড়া’ বানানো হয়েছে। সেখান থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েন ‘সন্ন্যাসীরা’।
ঢাক বাজানো চলছে শুরু থেকে।
দিনের শেষ আলোয় শুরু হয় চড়ক ঘুল্লি।
আলাদা তিনটি রশিতে ঝুলে তিনজন মানুষ ভনভন করে শূন্যে ঘুরছেন। রশিতে ঝোলানো বড়শিগুলো পিঠের চামড়া ছিদ্র করে ঢোকানো হয়েছে।