বাহারি আর পুষ্টিকর সব ফলের প্রাচুর্য চারদিকে। নানা পুষ্টিগুণে ভরা আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, তালসহ নানা রসালো ফলে বাজার সয়লাব। আর এসব রসালো ফলের সম্ভারের কারণেই তীব্র গরমেও কিছুটা হলেও মেলে স্বস্তি। গ্রীষ্মের রসালো কিছু ফলের ছবি দিয়ে এই গল্প।
ভ্যানে বিক্রি হচ্ছে হাঁড়িভাঙ্গা আম। প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি। আম আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি ইত্যাদির ভালো উৎস। খোলা হাটে দরদামে বিক্রি হচ্ছে লিচু। পাইকারিতে প্রতি ১০০ লিচু ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেহের পানির চাহিদা ও পিপাসা মেটাতে এই ফলের তুলনা নেই। শহরে সড়কে পাশে বিক্রি হচ্ছে জাম। প্রচুর আয়রন ও ভিটামিন সি আছে এই ফলে। রক্তস্বল্পতা দূর করে। জাম দেহের যেকোনো সংক্রমণ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। গ্রামীণ হাটবাজার ও শহরের ফুটপাতে জামরুলের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা । পুষ্টিকর ডেউয়া অনেকটাই টক–মিষ্টি । দেখতে এবড়োখেবড়ো এবং কিছুটা কাঁঠালের মতো এ ফলের ভেতরে হলুদ রঙের কোষ থাকে। পাকলে ফলটি অতি মোলায়েম হয়। ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়ামের ভান্ডার বলা হয় ডেউয়া ফলকে। পথের ধারে বিক্রির জন্য তালের শাঁস কাটছেন আবদুর রশিদ মিয়া। ৩টি তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। তালের আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের রোগে বেশ উপকারী। ক্যারেটে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন ধরনের আম। সেখানে থেকে গুণমান দেখে দরদাম করে আম কিনছেন লোকজন। পথের ধারে বিভিন্ন ফলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন এক ব্যক্তি । কলাগাছের খোল দিয়ে বাঁধা প্রতিটি বাঙ্গি ৫০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। বাঙ্গির পুরোটাই জলীয় অংশে ভরপুর। এটি ভিটামিন সি, শর্করা ও সামান্য ক্যারোটিনসমৃদ্ধ। বিক্রির জন্য হাটে রাখা কাঁঠাল। এই ফল রুচি ও শক্তিবর্ধক। কাঁচা কাঁঠাল তরকারি হিসেবে খাওয়া যায়। এর বিচি ভেজে কিংবা রান্না করে খাওয়া যায়।