হেমন্তের শিশিরসিক্ত ভোর

নতুন ধানের মিষ্টি ঘ্রাণের সঙ্গে শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে প্রকৃতিতে হাজির হয়েছে হেমন্তকাল। কুয়াশামাখা ভোর পেরিয়ে পূর্বাকাশে উঁকি দিচ্ছে রক্তিম সূর্য। সকালের স্নিগ্ধ আলোয় মুক্তাদানার মতো ঝলমলিয়ে উঠছে দূর্বাঘাসে জমে থাকা শিশিরবিন্দু। নবপ্রেমে শিশিরস্নাত হয়ে উঠছে ঘাস-পাতা–তরুলতা। ফুলে ফুলে ফিরে এসেছে সজীবতা। শহরাঞ্চলে প্রকৃতির পালাবদলের এমন দৃশ্য দুর্লভ হলেও গ্রামে গ্রামে চারপাশ দেখলেই আন্দাজ করা যায়—এখন প্রকৃতিতে চলছে হেমন্তকাল। পাতা ঝরার বার্তা নিয়ে শীতকাল আসবে এর পরেই। হেমন্তের শিশিরসিক্ত ভোরে পাবনার প্রকৃতি নিয়ে ছবির এই গল্প।

‘হায় হেমন্তলক্ষ্মী, তোমার নয়ন কেন ঢাকা, হিমের ঘন ঘোমটাখানি ধুমল রঙে আঁকা’ কবিগুরুর ভাষায় হেমন্তের বর্ণনা যেন এই ছবির মতো।
‘হায় হেমন্তলক্ষ্মী, তোমার নয়ন কেন ঢাকা, হিমের ঘন ঘোমটাখানি ধুমল রঙে আঁকা’ কবিগুরুর ভাষায় হেমন্তের বর্ণনা যেন এই ছবির মতো।
ভোরের কুয়াশা ভেদ করে উঁকি দিচ্ছে সূর্য।
ধানের ডগায় জমেছে শিশিরবিন্দু।
সুর্যের আলো পড়ে জলমলে হয়ে উঠেছে শিশিরসিক্ত ঘাস।
সদ্য উদিত সূর্যালোকে দূর্বাঘাসে প্রাণের সঞ্চার।
শিশিরে সিক্ত হয়ে সজীব হয়ে উঠেছে ঘাসবন।
শিশিরবিন্দুতে সূর্যের প্রতিচ্ছবি
আলোর ঝলকানিতে ঘাস।
পাতায় পাতায় জমা শিশিরবিন্দু।
শিশিরভেজা শিউলি ফুল ঝলমলিয়ে উঠেছে আলোয়।