সারা দেশে বিক্ষোভ-সহিংসতা, প্রাণহানি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ‘অসহযোগ আন্দোলন’ কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল হয়েছে। এ কর্মসূচি ঘিরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ১০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

পাবনায় আন্দোলনকারীদের সমাবেশে দুর্বৃত্তের গুলিতে তিনজন নিহত হন। একজনের লাশ হাসপাতাল থেকে বের করে এনে মিছিল করার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন কয়েকজন। পাবনার আবদুল হামিদ সড়কে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের স্কুল-কলেজ রোডে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থাকা ছয়-সাতটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এক দফা দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ এলাকায়।
কুষ্টিয়া শহরে ব্যাপক ভাঙচুর চালান আন্দোলনকারীরা। এ সময় আশপাশে চলাচল করা লোকজন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
এক দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকায়।
এক দফা দাবিতে কোটবাড়ী বিশ্বরোড এলাকায় বিক্ষোভ ও গণমিছিলের কর্মসূচি ছিল বেলা ১১টায়। সেখানে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের অবস্থানের কারণে কর্মসূচি পালন করতে পারেননি আন্দোলনকারীরা। পরে বেলা একটায় কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে সাঁজোয়া যান বের হলে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী সাঁজোয়া যানে উঠে বিক্ষোভ করেন।
আন্দোলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। পরে সেখান থেকে সরে যান আন্দোলনকারীরা। মতিহার থানা এলাকার তালাইমারি মোড়, রাজশাহী।
আহত এক আন্দোলনকারীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, শহীদনগর, দাউদকান্দি, কুমিল্লা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংষর্ষের ঘটনা ঘটে। সাতমাথা এলাকা, বগুড়া।
সংঘর্ষের মধ্যে অস্ত্র হাতে একজন। সিলেট নগরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকায়।
সংঘর্ষের সময় একজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যায়। রংপুর নগরের সিটি বাজারের সামনে।
অস্ত্র হাতে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেন কয়েকজন। বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট এলাকায়।
সংঘর্ষের সময় চট্টগ্রাম নগরের হকার মার্কেট এলাকায় অস্ত্র হাতে একজন। দুপুর সাড়ে ১২টায়।