ইচিং-বিচিং

এই উপমহাদেশে ঐতিহ্যবাহী একটি গ্রামীণ খেলা ইচিং-বিচিং। শিশু-কিশোরেরা দল বেঁধে মাতে এই খেলায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খেলাটি হারিয়ে যেতে বসলেও এখনো গ্রামের কোথাও কোথাও এই খেলা খেলতে দেখা যায় শিশু-কিশোরদের। খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদর এলাকায় গত বৃহস্পতিবার ছবিগুলো তোলা।

‘আতাবতি আয় আয়, কাক ডাকে কাকা’, ‘রাম দুই সাড়ে তিন, অমাবস্যার ঘোড়ার ডিম’ ছড়ার ছন্দে শিশুরা হাত এপিঠ-ওপিঠ করে নির্ধারণ করে দুজন চোর।
‘আতাবতি আয় আয়, কাক ডাকে কাকা’, ‘রাম দুই সাড়ে তিন, অমাবস্যার ঘোড়ার ডিম’ ছড়ার ছন্দে শিশুরা হাত এপিঠ-ওপিঠ করে নির্ধারণ করে দুজন চোর।
মুখোমুখি দুজন বসে একে অপরের সঙ্গে পা লাগিয়ে বসে। অন্যরা তখন তাদের পায়ে যাতে না লাগে, সেভাবে লাফিয়ে বলে ‘ইচিং-বিচিং তিচিং চা, প্রজাপতি উড়ে যা’।
এরপর পায়ের ওপর হাত দিয়ে উচ্চতা বাড়ানো হয়
হাতে স্পর্শ না করে লাফাতে হয় সবাইকে।
এপাশ-ওপাশ দুবার লাফানো শেষে দুজনের একটি করে হাত উঁচু হয়।
পা যাতে না লাগে, সেই রকম লাফ।
লাফানোর সময় সতর্ক থাকতে হয় যেন হাতে স্পর্শ না লাগে। স্পর্শ লাগলেই সে চোর।
যাহ! স্পর্শ লেগে গেল। এবার আগের দুজন থেকে একজন লাফাবে আর যার স্পর্শ লাগল সে হবে নতুন চোর।
খেলায় মগ্ন সবাই খুব সতর্ক, যেন চোর না হতে হয়।
কৌশল, কসরত আর আনন্দে চলতে থাকে ইচিং-বিচিং খেলা।