বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মাছের মেলা। উত্তরাঞ্চলের অন্যতম প্রাচীন মেলা এটি। বহু বছর আগে সেখানে সন্ন্যাসী পূজা হতো। তখন মেলাটির নাম ছিল সন্ন্যাসী মেলা। স্থানটির নাম ছিল পোড়াদহ। কালের বিবর্তনে লোকমুখে মেলাটি পোড়াদহ নামে পরিচিতি লাভ করে। প্রতিবছর মাঘ মাসের শেষের কোনো একসময়ে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের গোলাবাড়ির অদূরে বসে এ মেলা। দূরদূরান্ত থেকে মেলায় আসে মানুষ। মেলা উপলক্ষে প্রতিটি ঘরে ঘরে আত্মীয়স্বজন আসে। বিশেষ করে আসে মেয়ে-জামাইয়েরা। জামাইয়েরা মেলা থেকে বড় মাছ কিনে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যান, এ রেওয়াজ আজও চালু আছে। গতকাল বুধবার মেলা ঘুরে ছবি তুলেছেন সোয়েল রানা।
পোড়াদহ মাছের মেলায় মানুষ গিজ গিজ করছে।মেলায় ৪২ কেজি বাগাড় মাছ বিক্রির জন্য এনেছেন চকমরিয়া গ্রামের লাল মিয়া। মাছটি বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ইসলামী ব্যাংক হাইওয়ে শাখার ব্যবস্থাপক তরিকুল ইসলামসহ কয়েকজন ৫৬ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন।মেলায় কার্প জাতীয় মাছের পসরা। প্রতি কেজি কার্প জাতীয় মাছ ২৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছেমেলায় ৫০ কেজি ওজনের বাগাড় মাছ বিক্রির জন্য এনেছেন মহিষাবান গ্রামের শোকরা মিয়া। তিনি ১ হাজার ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রির জন্য দাম হাকিয়েছেন। ১৭ কেজি ওজনের কাতলা মাছ দেখে ক্রেতা আকর্ষণের চেষ্টা করছেন এক বিক্রেতা।মেলাজুড়ে বাগাড় মাছের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। ক্রেতা সমাগমও হয়েছে ব্যাপক।মেলায় এসেছে বড় বড় ব্রিগেড মাছ। প্রায় ১৫ কেজি ওজনের মাছটি দেখিয়ে ক্রেতা আকর্ষণের চেষ্টা করছেন এক বিক্রেতা।মেলায় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পসরা।মাছ দেখিয়ে ক্রেতা আকর্ষণের চেষ্টা। শহর থেকে মেলায় গিয়েছেন বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বন্ধু। তাঁরা বেশ কয়েকটি মাছও কিনেছেন। সেগুলো নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছেন তাঁরা।