বগুড়ার কাহালু উপজেলার দুটি গ্রাম তালপাখার গ্রাম। যোগীরভবন ও আড়োলা আতালপা—দুই গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার পাখা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে। এর মধ্যে শুধু যোগীরভবন গ্রামে হাতল পাখা (ডাঁটপাখা) তৈরি হয়। প্রতিটি হাতল পাখা ১৫ থেকে ১৬ টাকায় বিক্রি হয়। আর আড়োলা আতালপাড়ায় তৈরি হয় পকেটপাখা বা ঘুরকি পাখা। সেগুলো পাইকারিভাবে ১২ থেকে ১৪ টাকায় বিক্রি হয়। তালপাতা দিয়ে এসব পাখা তৈরি হয়। নারীরা এই পাখা বেশি তৈরি করেন। তাঁদের সহায়তা করেন পুরুষেরা। সাধারণত শীতের শেষে ফাল্গুন মাস থেকে পাখা তৈরি শুরু হয়।
তালপাতা শুকাতে দিচ্ছেন দুই নারীএই বয়সেও নিপুণ হাতে তালপাতা তৈরি করেন আনোয়ারা বেওয়াউঠানে বসে পাখায় রং লাগাচ্ছেন সাবিনা ও আছিয়া বেগমকরোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। অবসর সময়ে বারান্দায় বসে তালপাতা রং করছেন এক শিক্ষার্থীবাহারি পকেট পাখায় রং-তুলির আঁচড়তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী খাতিজা আক্তার। অবসর সময়ে পকেটপাখা তৈরি করে সেগ্রামজুড়ে নারীরা পাখা বানান। নিজের হাতে তৈরি পাখা সুতোয় বাঁধছেন তাহমিনা বেগম২০ বছর আগে বিয়ে হয়েছে ইমেনা বেগমের। এরপর থেকে এই গ্রামে পাখা তৈরির কাজ করেন তিনিপাখা বাঁধা হয়ে গেছে আলিমা বিবির। এখন বাড়ির পাশে জলাশয়ে ধুয়ে নিচ্ছেনপাখা এবার রোদে শুকানো হবে