অপরূপ নদ–নদী

নদীমাতৃক বাংলাদেশের মানুষের নদীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় কৈশোর থেকে। কিন্তু দখল ও দূষণে দেশের নদীগুলো হারিয়ে যেতে শুরু করেছে। নদীর নাব্যতা হারিয়েছে, হারিয়েছে সৌন্দর্য। তবু অনেক নদীর রূপ এখনো মন কাড়ে। বাংলার নদ-নদী একেক সময় একেক রূপ ধারণ করে। বর্ষার পানিতে প্রাণ ফিরে পায় নদী। শুকনা মৌসুমে থাকে উল্টা চিত্র। নদী রক্ষার তৎপরতা শুধু দেশেই নয় গোটা বিশ্বেই। নদী সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রোববার পালিত হয় বিশ্ব নদী দিবস।

১৯৮০ সাল থেকে প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রোববার বিশ্ব নদী দিবস হিসেবে পালন করতে শুরু করে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া (বিসি) ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, যার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছিল বিসি রিভারস ডে পালন দিয়ে। ১৯৮০ সালে কানাডার খ্যাতনামা নদীবিষয়ক আইনজীবী মার্ক অ্যাঞ্জেলো দিনটি ‘নদী দিবস’ হিসেবে পালনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বিসির রিভারস ডে পালনের সাফল্যের হাত ধরেই তা আন্তর্জাতিক রূপ পায়। সারা বিশ্বে এখন পালিত হয় দিবসটি। বাংলাদেশে ২০১০ সাল থেকে এ দিবস পালন করা হচ্ছে। বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে সিলেট অঞ্চলের নদীর ছবিগুলো তুলেছেন আনিস মাহমুদ

সিলেটের সর্ববৃহৎ নদী সুরমা। সিলেট শহরকে দুই ভাগ করেছে নদীটি। পানি থাকলেই থাকে এর সৌন্দর্য
শুকনা মৌসুমে নদীর বুকে জেগে ওঠে চর, দেখা দেয় দূষণ
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী সারি নদী। লালাখাল নামে পরিচিত
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা এলাকার মৌলা নদী
মৌলা নদীতে কিশোরের দুরন্তপনা
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ধলাই নদে শুকনা মৌসুমে দেখা দেয় এমন চিত্র
শরতে ধলাই নদ
জাফলং চা-বাগানঘেঁষা আঁকাবাঁকা ডাউকি নদী
গোয়াইনঘাটের জাফলং জিরোপয়েন্ট থেকে পশ্চিম দিকে বয়ে যাওয়া পিয়াইন নদ
কিন্তু শুকনা মৌসুমে যাদুকাটার মায়াবী জাদু মলিন দেখায়
সুনামগঞ্জের ডলুরা সীমান্ত এলাকার চলতি নদী
কলকারখানার বর্জ্যে বেহাল হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বেলেশ্বরী নদী
নদী আর মানুষের সম্পর্ক সৃষ্টি থেকে
বাংলার সব নদী থাকুক এমন সুন্দর, সুবর্ণ—দাবি সচেতন মানুষের