পাহাড়ের গা বেয়ে উঠে গেছে সরু পথ। তিল পরিমাণ জায়গা নেই পা ফেলার। সে পথে চূড়ায় উঠতে থাকা পুরুষেরা মুহুর্মুহু ধ্বনি তুলছেন ‘হরহর মহাদেব, জয় শিব শম্ভু, জয়বাবা ভোলানাথ’ আর সঙ্গে সঙ্গে নারীরা দিচ্ছেন উলুধ্বনি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ২০০ ফুট ওপরে খাড়া পাহাড়ি পথে মানুষের ওপরে ওঠার এ দৃশ্য অনেক দূর থেকেও চোখে পড়ে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সীতাকুণ্ডে শিবচতুর্দশীতে লাখো পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছিল এবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ের তীর্থভূমিতে। চতুর্দশী তিথিতে পুণ্যার্থীরা উপোস (ব্রত) করেন। এরপর মৃত পূর্বপুরুষদের জন্য ব্যাসকুণ্ডে পিণ্ডদান করেন, বিভিন্ন মঠ-মন্দির পরিক্রমা করতে করতে চন্দ্রনাথ মন্দিরে পৌঁছান। পরে অমাবস্যা শুরু হলে গয়াকুণ্ডে পিণ্ডদান করে বাড়ি ফেরেন। ছবিগুলো ১ মার্চ তোলা
চন্দ্রনাথ মন্দিরে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ফেরার পথে ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত পুণ্যার্থীদের বিনা মূল্যে খিচুড়ি পরিবেশন করা হয়চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিবচতুর্দশী মেলায় আগত পুণ্যার্থীরা পুণ্য লাভের আশায় ব্যাসকুণ্ডে স্নান করছেনধর্মীয় আচার করার আগে মাথা থেকে চুল ফেলে দিতে হয়মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে চলছে পিণ্ডদানচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের শিবচতুর্দশী মেলায় পুণ্যার্থীদের ভিড়সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ ফুট ওপরে এই চন্দ্রনাথ মন্দিরের অবস্থান। এ পথ পাড়ি দিতে লেগে যায় ছয় থেকে আট ঘণ্টা লাখো পুণ্যার্থী চন্দ্রনাথ মন্দিরে প্রবেশের অপেক্ষায় পুণ্যার্থীরা চন্দ্রনাথ মন্দিরে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ফেরার পথটি খাড়া ও ঝুঁকিপূর্ণচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিবচতুর্দশী মেলায় আগত পুণ্যার্থীরা স্বয়ম্ভুনাথ মন্দির থেকে বিরূপাক্ষ মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দেনসন্ন্যাসীরা বিভিন্ন দেবতার বেশভূষা ধারণ করেন। এ সময় পুণ্যার্থীরা পুণ্য লাভের আশায় দান করে থাকেন