বেহাল রাস্তা ও যাত্রীসেবা

পাবনা জেলার অন্তর্গত সুজানগর উপজেলা তাঁতিবন্দ ইউনিয়নের ক্রোড়দুলিয়া (ঢাকা পাড়া) গ্রাম থেকে ফুলালদুলিয়া গ্রাম পর্যন্ত একটি কাঁচা ও জরাজীর্ণ রাস্তা রয়েছে। রাস্তাটি এই দুইটি গ্রামের সংযোগস্থল। এটি প্রায় দুই হাজার মানুষের নিয়মিত যাতায়াতের মাধ্যম। কিন্তু রাস্তাটি কাঁচা হওয়ায় তাদের প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তাটি শুষ্ক মৌসুমে থাকে ধুলাময়, বর্ষায় থাকে কর্দমাক্ত।

দুটি গ্রামই কৃষিনির্ভর হাওয়ায় তাদের কৃষি পণ্যে উৎপাদন থেকে শুরু করে বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। রাস্তাটি জরাজীর্ণ হওয়ায় মুমূর্ষু রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরাও বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত হতে পারে না। এ ছাড়া মসজিদ দূরে থাকায় এ রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতেও সব বয়সী মুসল্লিদের কষ্ট হয়। স্থানীয়দের এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে রাস্তাটি পাকাকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি এবং কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করছি।

মোছা. ইসমা খাতুন

শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

যাত্রীসেবা

নরসিংদীবাসীর জন্য ঢাকা যাওয়ার একটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে নরসিংদী মেঘালয় লাক্সারি বাস। নরসিংদী টু গুলিস্তান এ রোডে ঢাকা যাওয়ার জন্য এটি একমাত্র বাসও বটে। এ সুযোগে মেঘালয় বাস মালিক কর্তৃপক্ষ একচেটিয়াভাবে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আসছে। নরসিংদী নতুন বাসস্ট্যান্ড (বাসস্টপ) থেকে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরত্বের রাস্তা। আন্তজেলা ও দূরপাল্লার বাস-মিনিবাসের ক্ষেত্রে প্রতি কিলো ২.১২টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। সে ক্ষেত্রে ৪৫ কিলোমিটার দূরত্বের বাস চলাচলের জন্য ভাড়া আসে প্রায় ৯৬ টাকা।

সঙ্গে টোল খরচ যুক্ত করলে যাত্রী প্রতি সর্বোচ্চ ১০০-১০৫ টাকা ভাড়া আসতে পারে। কিন্তু সেখানে যাত্রীদের কাছ থেকে অযৌক্তিকভাবে ১৫০টাকা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া, হেলপারদের দুর্ব্যবহার ইত্যাদি তো আছেই। দীর্ঘদিন যাবৎ সাধারণ যাত্রীরা তাদের এসব অভিযোগ উক্ত বাস মালিক কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আসলেও আশানুরূপ কোনো সমাধান মিলছে না। সর্বোপরি নরসিংদীবাসীর পক্ষ থেকে নরসিংদী মেঘালয় লাক্সারি বাসের ন্যায্য ভাড়া আদায় ও যাত্রী সেবার মান আরো উন্নত করার লক্ষ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

ফাহিম হাসনাত

নরসিংদী