ইতিহাস বিজড়িত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষা করা হোক

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মাধ্যমে বাংলার মানুষ নতুন এক বাংলাদেশ দেখতে পাই। কিন্তু এই নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি হওয়ার পরে বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে কিছু দুর্বৃত্ত মিশে গিয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো লুটপাট ও ধ্বংস করতে থাকে।

এ থেকে বাদ পড়েনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মহান নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়িটা। যে বাড়িতে ছিল বঙ্গবন্ধুর জানার জন্য অসংখ্য অলিখিত উৎস।

যে অলিখিত উৎসগুলো অনেক দরকারি ছিল দেশি-বিদেশি লেখক ও পর্যটকদের কাছে। ধ্বংস হওয়া রাষ্ট্রীয় অন্যান্য স্থাপনা হয়তো আগের রূপে ফিরিয়ে আনা যাবে, ধানমন্ডি-৩২ এর বাড়িটাও হয়তো পুনর্নির্মাণ করা যাবে কিন্তু বাড়িটির ভেতরে যেসব স্মৃতিচিহ্ন ছিল তা কোনোভাবেই আর ফিরে পাওয়া যাবে না। এটি শুধু বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচিহ্ন বহন করে না, এটি একই সঙ্গে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও ধারণ করে।

ফলে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের অভ্যুদয় সম্পর্কে জানার জন্য অসংখ্য তথ্যপ্রমাণ হারিয়ে গেল। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বা কলহের কারণে এভাবে ইতিহাসের জীবন্ত উৎসগুলো বিলীন হতে থাকে, তাহলে ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের অভাব হয়ে পড়বে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পড়তে হবে বিকৃত ইতিহাসের মুখে।

তাই বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে বলব, প্রত্যেকের উচিত ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়ির মতো বাংলাদেশের যতগুলো তথ্যবহুল স্থাপনা আছে সেগুলো প্রাণপণে রক্ষা করা। ধানমন্ডি ৩২ এর বাড়িটি এখন যে অবস্থায় আছে সেটিকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সংরক্ষণ করা ও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা।

শেখ আব্দুল্লাহ

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ