ই-পাসপোর্টে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা বেতন-ভাতাবঞ্চিত কেন

ই-পাসপোর্ট প্রকল্পে কয়েকটি বেসরকারি আইটি কোম্পানির নিয়োগকৃত জনবল কাজ করছে, যারা সবাই প্রকল্পটিতে চুক্তিভিত্তিক হিসেবে নিয়োজিত। কিন্তু প্রকল্পের শুরু থেকেই কতিপয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্বার্থের শিকার হতে হয়েছে ডিআইপি তথা ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের। ৫০ থেকে ৬০ জন কর্মচারীকে সংযুক্তি করে রাখা হয়েছে প্রকল্পের শুরু থেকে প্রায় তিন বছর, যাঁদের দেওয়া হচ্ছে না কোনো প্রকল্প ভাতা, এমনকি তিন বছর সংযুক্ত রাখার পরে বদলিও দেওয়া হচ্ছে না। অথচ প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ জনবল দেখিয়ে সরকারের কাছ থেকে প্রতি মাসে নেওয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

সরকারি আইন অনুযায়ী একজন রাজস্ব খাতের কর্মচারীকে তিন বছর কোনো প্রকল্পে সংযুক্ত রাখার নিয়ম নেই। এটা সরকারি আইনের পরিপন্থী। প্রকল্পে নিয়োগকৃত বেসরকারি আইটি কোম্পানির একজন কর্মচারীর ন্যূনতম বেতন ধরা হয়েছে ২২ হাজার টাকা। সে অনুযায়ী আমাদের ডিআইপির ৫০ জনের বিল দাঁড়ায় প্রতি মাসে ১১ লাখ টাকা। অভিযোগ আছে, সরকার থেকে ঠিকই প্রতি মাসে এই ১১ লাখ টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যাঁদের নাম দেখিয়ে এ টাকা নেওয়া হচ্ছে, তাঁদের দেওয়া হচ্ছে না। তাহলে সে টাকা কোথায় যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। এখানে দুর্নীতি বা অনিয়ম হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে সরকারকে অনুসন্ধান করে দেখা দরকার।

তিন বছরের ওপরে এভাবেই চলে আসছে। ই-পাসপোর্ট প্রকল্পে সরকারকে প্রকল্পের পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগের হিসাব দেখালেও বাস্তবে পূর্ণাঙ্গ জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ আছে, শুধু প্রকল্প পরিচালকদের বাড়তি আয়ের জন্য ডিআইপি রাজস্ব খাতের কর্মচারীদের ই-পাসপোর্ট প্রকল্পে সংযুক্তি করে রেখেছে। অথচ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসগুলোয় পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে পাসপোর্টপ্রত্যাশী সাধারণ জনগণকে। এ বিষয়ে মহাপরিচালক মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
একজন ভুক্তভোগী