আমাদের আধুনিক জীবনে সোশ্যাল মিডিয়া এক বিশাল প্রভাবক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এক ক্লিকে পৃথিবীর যেকোনো স্থানের খবর আমাদের কাছে পৌঁছে যায়। তবে এই সহজলভ্যতাই কখনো কখনো আমাদের আবেগপ্রবণ করে তোলে এবং ভুল সিদ্ধান্ত নিতে প্রলুব্ধ করে।
সম্প্রতি বগুড়ার ঘটনাটি আমাদের সামনে এক বড় উদাহরণ। প্রথম পর্যায়ে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে ছেলেটি নাকি নিজের মাকে হত্যা করে ফ্রিজে লুকিয়ে রেখেছেন। হৃদয়বিদারক এই সংবাদে সাধারণ মানুষ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান।
অনেকেই তাঁকে দোষারোপ করেন এবং ফেসবুক ওয়ালে নিজেদের মতামত লিখে শেয়ার করেন। কিন্তু তদন্তের পর সত্য উন্মোচিত হলে জানা যায়, এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত দোষী ছিলেন অন্য আরেক জন।
এ ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রাথমিক তথ্য সব সময় সত্য না–ও হতে পারে। ঘটনার গভীরতা বুঝে এবং সত্য যাচাই করে তবেই আমাদের কোনো মন্তব্য করা উচিত। তা না হলে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে কারও প্রতি অন্যায় করা যেমন সম্ভব, তেমনি পরবর্তী সময়ে অনুশোচনার তীব্রতাও অসহনীয় হতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়ার এ ধরনের বিভ্রান্তির উদাহরণ একাধিকবার আমাদের সামনে এসেছে। অতীতে অনেক নিরপরাধ ব্যক্তি ভুল তথ্যের শিকার হয়ে সমাজে ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে। এসব ঘটনা আমাদের শেখায় যে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে দায়িত্বশীল হওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
মো. মেসবাহ্
রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী