চিঠিপত্র

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড থেকে মালবাহী ট্রেন চাই

উত্তরাঞ্চলে অন্যতম বৃহৎ কৃষিভিত্তিক ইপিজেড নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড। উত্তরা ইপিজেডের সঙ্গে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের দূরত্ব মাত্র ১৩ কিলোমিটার এবং এর নিকটে অবস্থিত খয়রাতনগর রেলস্টেশন মাত্র ৩০০ ফুট অদূরে।

২০০৯ সাল থেকে উত্তরা ইপিজেড থেকে রেলসংযোগ ও কনটেইনারের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনে অনেক পর্যালোচনা থাকলেও আজ অবধি তা আলোর মুখ দেখেনি। উত্তরা ইপিজেডে প্রায় ৩৫টি দেশি-বিদেশি কোম্পানি আছে এবং রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রেও বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে এ ইপিজেড। গত পাঁচ বছরে উত্তরা ইপিজেড থেকে মোট ১২৫ কোটি ৬৬ লাখ ৩৪ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। রপ্তানি আয়েও পিছিয়ে নেই উত্তরা ইপিজেড।

এ পর্যন্ত এই ইপিজেড থেকে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ২ হাজার ৪৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আমাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে। ইপিজেডে বিনিয়োগে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভবিষ্যতে এই রপ্তানির পরিমাণ আরও বাড়বে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বরাতে জানা যাচ্ছে, আগামী ডিসেম্বর মাসে যমুনা রেলসেতু চালু হবে, আর এই সেতু দিয়ে প্রায় ৮৮টি যাত্রীবাহীসহ কনটেইনার ট্রেন চালানো যাবে, এই সুযোগে যদি নীলফামারীর চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে উত্তরা ইপিজেড, সৈয়দপুর শিল্পকারখানা রেলস্টেশন ও পার্বতীপুর হয়ে যদি কনটেইনারবাহী ট্রেন পরিচালনা করা হয় তাহলে উত্তরা ইপিজেড রপ্তানি পণ্য, উত্তরের কৃষিপণ্য ও সৈয়দপুর শিল্পকারখানা উৎপাদিত পণ্য সহজে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন দেশে পাঠানো সহজ হবে।

এতে একদিকে সরকার ট্রেনকে লাভজনক করতে পারবে এবং উত্তরের মঙ্গাপ্রবণ এলাকার দুঃখও ঘুচাতে সহজ হবে। তাই যমুনা রেলসেতু চালু হাওয়ার আগেই রেল কর্তৃপক্ষকে উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হাওয়ার জন্য যথাযথ অনুরোধ করছি।

জার্মান আলি

নীলফামারী