ভাঙন অব্যাহত থাকলে হুমকির মুখে পড়বেন মাঝখালী, মরিচা পাড়া, নওয়াপাড়া, গুচ্ছ গ্রামের হাজারো পরিবার।
ভাঙন অব্যাহত থাকলে হুমকির মুখে পড়বেন মাঝখালী, মরিচা পাড়া, নওয়াপাড়া, গুচ্ছ গ্রামের হাজারো পরিবার।

চিঠিপত্র

যমুনার ভাঙন রোধে নেই পদক্ষেপ, আতঙ্কে নওয়াপাড়া গ্রামবাসী

যুমনা নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাবনার বেড়ায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। বর্ষা মৌসুমের আগেই এ ভাঙনে দিশেহারা নদীপাড়ের মানুষ। গেল কয়েক দিনের ভাঙনে নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে অনেক বসত বাড়ি ও ফসলি জমি। হুমকির মুখে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি আরও স্থাপনা।

এবারের ভাঙন দেখে স্থানীয় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ভাঙনের হুমকিতে আছে সরকারের শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কৈটোলা পাম্পি স্টেশন, বিশ গ্রামের ঐতিহ্যবাহী নওয়াপাড়া কবরস্থান, মাঝখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নওয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদ্রাসা, পাকা রাস্তাসহ বহু স্থাপনা।

স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের গাফিলতির কারণে এলাকাটি ভাঙনের কবলে পড়ছে। নদী ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। ভাঙনরোধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভাঙন আরও বড় আকার ধারণ করার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ভাঙন অব্যাহত থাকলে হুমকির মুখে পড়বেন মাঝখালী, মরিচা পাড়া, নওয়াপাড়া, গুচ্ছ গ্রামের হাজারো পরিবার।

নওয়াপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মাস্টার বলেন, নদী ভাঙনে অত্র এলাকার মানুষ সহায়সম্বলহীন হয়ে পড়বে। ইতিমধ্যে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই সরকারের কাছে  আকুল আবেদন এই ভাঙন রোধে যেন দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

এ বিষয়ে বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পওর বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, খুব দ্রুতই নওয়াপাড়া যমুনার ভাঙন রোধে কাজ শুরু করা হবে। নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে ।

বুলবুল হাসান
বেড়া, পাবনা