ভুল পরিকল্পনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অফিসের পাশের পাখি চত্বরটি এখন বেহাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লান্ত শিক্ষার্থী ও পর্যটকদের জন্য বেঞ্চ বানিয়ে সাময়িক বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হলেও এখন অবহেলায় সেগুলো মাটিতে চাপা পড়ে রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমে মফিজ লেকের পাশে পাখি চত্বরে বসার স্থান বেঞ্চগুলো পুকুর সংস্কারে উত্তোলনকৃত মাটিতে চাপা পড়েছে। ঠিকাদারের ভুল পরিকল্পনায় এমনটি হয়েছে বলে মনে করে থাকে শিক্ষার্থীরা। এতে মানুষের পাশাপাশি কমেছে পাখিদেরও আনাগোনা। প্রতি বছরের শীত মৌসুমে পরিযায়ী পাখির আনাগোনা দেখা যেত এই লেকে। এসব পাখির নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তুলতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছিল ইবি প্রশাসন। তবে কয়েক বছরের ব্যবধানে বৈচিত্র্য হারিয়েছে এই পাখি চত্বর।
এ বিষয়ে দ্রুত সমাধান করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান বলেন, ‘একসময় পাখি চতুরের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হতেন শিক্ষার্থীরা। অতিথি পাখি দেখতে পাখিপ্রেমীরা এখানেই বসে বিশ্রাম নিত। প্রখর রোদেও ঠান্ডা থাকত এখানকার পরিবেশ। এখন মাটিতে চাপা পড়েছে সব। স্থানটি আবারও পুরোনো রূপে ফিরিয়ে আনতে পারলে শিক্ষার্থীবান্ধব একটি কাজ হবে।’
চারুকলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জেবা আফিয়া মৌ বলেন, ‘প্রকৌশল অফিসের পাশে জায়গাটা স্বপ্নের মতো ছিল। আমাদের নৈসর্গ অধ্যয়নের জন্য অন্যতম জায়গা ছিল এটি। এ ছাড়া ক্লাস শেষ করে সবাই মিলে আড্ডা দিতাম। মৃদুমন্দ বাতাস, গাছপালা ঘেরা আলোছায়াময় একটা অন্যরকম সুন্দর পরিবেশ ছিল। কিন্তু এখন তো ঝোপঝাড়ে পরিপূর্ণ। বসার স্থানগুলোও মাটিতে চাপা পড়ে গেছে। এ জন্য এখন আর ওদিকে যাওয়ার পরিবেশ নেই, বসা তো দূরের বিষয়। তবে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আশা করছি দ্রুত জায়গাটি সংস্কার করে পুনরায় নান্দনিক সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা হবে এবং আবারও আমাদের পদচারণায় মুখর হবে জায়গাটি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী এ. কে. এম শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টা আমার নজরে এসেছে। মূলত পুকুর খননের মাটি এখানে ফেলে রাখা করা হয়েছে। যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এই পুকুর খননের কাজ করেছে, শুনছি তিনি দেশের বাইরে। আমাদের ইঞ্জিনিয়ারদের এই সংক্রান্ত নথিপত্র খুঁজতে বলেছি।’
রানা আহম্মেদ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়