চট্টগ্রামে মশার উপদ্রব বেড়েছে

মশা এখন আর শুধুমাত্র ঢাকা নগরীর সমস্যা নয়। দেশের অন্যান্য নগরীও এখন মশার কবলে বিপর্যস্ত। চট্টগ্রামে মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী। বর্ষার আগে ও পরে এখানে মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। মশক নিয়ন্ত্রণে নগর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন উঠছে।

এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগের কোনো কোনো জেলায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম হয়নি। ফগার মেশিনের আওয়াজও পাওয়া যায়নি।
শহরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক নির্মাণকাজ চলছে। এতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে মশার প্রজনন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মশা প্রাথমিকভাবে খাল ও নালায় বংশবৃদ্ধি করে। এ কারণে সারা বছরই মশা নির্মূলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কাজ করে যেতে হয়। মাঠপর্যায়ে মশক নিধনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের কাজ নিয়মিত তদারকি করা উচিত। নিয়ম মেনে যথাস্থানে কীটনাশক সঠিকভাবে স্প্রে করা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা উচিত। এ জন্য একটি তদারকি সেল থাকা প্রয়োজন। তদারকি সেল থাকলে তাদের উচিত হবে নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া।

মশার ওষুধ কতটা কার্যকর তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ওষুধ কার্যকর না হলে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। ড্রেন, খাল, পুকুর, জলাশয় এবং অন্যান্য বর্জ্য যা মশার প্রজননস্থল, তা পরিষ্কার করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি যে নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে নগর কর্তৃপক্ষের অনেক কাজই সহজ হয়ে যাবে।

আসিফ আল মাহমুদ
পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম