চিঠিপত্র

ঢাকা কলেজের পুকুর

ঢাকা কলেজ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পুরো ক্যাম্পাসের মধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য এক টুকরো প্রশান্তির জায়গা হলো পুকুরপাড়। আবাসিক শিক্ষার্থীরাসহ প্রতিদিন ক্যাম্পাসে আগত অনাবাসিক শিক্ষার্থীরাও সেখানে বিশ্রাম নেন। পুকুরপাড়ের ছায়া সুনিবিড় পরিবেশে শিক্ষার্থীদের গানের আসর ও আড্ডার জুরি মেলা ভার। ক্যাম্পাসে আগত অতিথিদের জন্যেও পছন্দের একটি জায়গার নাম ঢাকা কলেজ পুকুরপাড়।

তবে বর্তমানে ঢাকা কলেজ পুকুরের অনেকটা বেহাল দশা। বেশ কিছুদিন আগে ঝড়ে দুটি গাছ পুকুরের মধ্যে উপড়ে পরলেও এখন পর্যন্ত তা অপসারণ করা হয়নি। পুকুর পাড় জুড়ে ময়লা আবর্জনার ছড়াছড়ি। বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের প্যাকেট, কাগজ, পলিথিন, টিস্যু ও অন্যান্য গাছের ডালপালা দিয়ে সয়লাব পুকুরপাড়। চারদিকের ঝোপঝাড়ের কারণে বাড়ছে পোকামাকড় ও মশার উপদ্রব। পুকুরের পানিতে প্রায়ই ময়লা-আবর্জনা ভাসতে দেখা যায়। এতে করে পুকুরের পানিতে গোসল করা অস্বাস্থ্যকর। বহিরাগতদের জন্য পুকুরে গোসল নিষেধ থাকলেও প্রতিনিয়ত আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা গোসল করতে আসে পুকুরে। ঢাকা কলেজের পুকুরে গোসল করতে নেমে শিক্ষার্থীদের পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে কলেজ প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে।

পুকুরপাড় অপরিষ্কার হওয়ার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা দায়ী। নিজেদের অজান্তে বা ইচ্ছা করেই প্রতিনিয়ত ক্যাম্পাসের যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলা এবং পুকুরের পানিকে দূষিত করে। শুধুমাত্র কর্তৃপক্ষের ওপর দায় চাপিয়ে দিলে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। সকলেই যদি নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলে তাহলে পুরো ক্যাম্পাসটিই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে।

কলেজ কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত পুকুর পরিষ্কার করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের উচিৎ নিজ প্রতিষ্ঠান পরিচ্ছন্ন রাখতে কলেজ কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ সহায়তা করা।

নাফিজ-উর-রহমান

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা