চিঠিপত্র

এইচএসসির পরিমার্জিত বইয়ের জন্য কালক্ষেপণ কেন

উচ্চমাধ্যমিকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছিল ৮ আগস্ট। অথচ ক্লাস শুরু হওয়ার পর থেকে দুই মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও এখনো এনসিটিবি কর্তৃক বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটি বই প্রকাশিত হয়নি। এতে করে শিক্ষকেরা পাঠদান করাতে গিয়ে বিভ্রান্ত হচ্ছেন।

বিশেষত গত ২২ সেপ্টেম্বর এনসিটিবি কর্তৃক নির্দেশনা দেওয়া হয় যে বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটি বইয়ের পরিমার্জিত নতুন সংস্করণ অচিরেই প্রকাশিত হবে। তাই শিক্ষার্থীদের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের বই কিনতে বারণ করে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।

এনসিটিবি হুট করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। বইয়ের অভাবে পাঠদান করাতে সমস্যা হচ্ছে। এমনকি পুরোনো বই সংগ্রহে থাকলেও তা আদৌ পরিমার্জিত সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত হবে কি না, সেটি নিয়েও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুশ্চিন্তা রয়েছে।

এ অবস্থায় শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ধৈর্য ধারণ করতে হচ্ছে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের কাছে বই না থাকলেও বা পুরোনো বই দিয়ে পাঠদান করাতে হচ্ছে। আবার পুরোনো সংস্করণের বই থাকলেও বইয়ের কনটেন্টগুলো পরিমার্জিত সংস্করণে থাকবে কি না, সেটিও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।

অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো শিক্ষার্থীদের কলেজের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়; কিন্তু পরিমার্জিত বই ছাড়া পরীক্ষা নিলে সেটি নতুন সংস্করণে না–ও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। কাজেই দেরি করে বই ছাপালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে সঠিক সময় পরীক্ষা নেওয়াও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়াবে।

এনসিটিবিকে অনুরোধ করব, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে খুব দ্রুত বই পরিমার্জনের ব্যবস্থা করা হোক। এতে করে শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত করা সহজ হবে এবং শিক্ষার্থীরা বোর্ড পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে সদা সচেষ্ট হবে।

  • মো. শিহাব উদ্দিন

প্রভাষক, বাংলা বিভাগ, আস-সালাম মডেল গার্লস কলেজ, রামগতি, লক্ষ্মীপুর