দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকায় অবস্থিত একটি দেশ মোজাম্বিক। যার রাজধানী মাপুতো। প্রায় ৩৪৮ বর্গকিলোমিটারের এই মাপুতো ব্যাপক প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ।
মোজাম্বিকের সরকারি ভাষা পর্তুগিজ হলেও পাশাপাশি সংগা, মোওয়ানি, চেওয়া, সোয়াহিলি ভাষাভাষী মানুষের বসবাস দেশটিতে। এ ছাড়াও রয়েছে প্রায় কয়েক হাজার বাংলাদেশি প্রবাসী। যারা উক্ত দেশে বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যে যুক্ত থাকাসহ নানা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছে।
এসব বাংলাদেশি প্রবাসীদের অধিকাংশকেই নিজেদের জানমালের অনিশ্চয়তা থেকে শুরু করে নানা হয়রানি আর নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে থাকতে হয়।
প্রবাসীরা দেশের মায়া ত্যাগ করে পাড়ি জমান প্রবাসে। নিজের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠা ও পরিবারকে স্বাবলম্বী করার স্বপ্ন থাকে তাঁদের চোখে। এমন আশায় প্রবাসে পরবাসী হলেও আজকাল তাঁদের চোখে ঘুম নেই।
বলতে গেলে, গত এক দশকে মোজাম্বিকে যে ১৫ হাজার বাংলাদেশি পৌঁছেছেন, তাদের বেশির ভাগই চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাসিন্দা। এর মধ্যে বড় একটি অংশের বাড়ি বাঁশখালী উপজেলায়। সম্প্রতি মোজাম্বিকে এক বাংলাদেশি প্রবাসীকে আগুনে পুড়িয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে ডাকাত দল। এ প্রবাসী বাঁশখালীর বাসিন্দা।
এমন নির্মম ঘটনায় উক্ত দেশে বসবাসকারী অন্যান্য বাংলাদেশি প্রবাসীদের মনে কাজ করছে নানা ভয় আর উৎকণ্ঠা।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার এই দেশে বেড়েছে খুন, গুম, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। ভুক্তভোগীদের অধিকাংশই প্রবাসী ব্যবসায়ী। তাঁদের অনেকে পরিবারসহ দেশটিতে আছেন। দীর্ঘদিন ধরে পরিবার-পরিজন নিয়ে মোজাম্বিকে থাকলেও দেশটির শহর-গ্রাম সর্বত্রই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাংলাদেশিরা।
এখানে আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, মোজাম্বিকে কেউ মারা গেলে তাঁর মরদেহ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে ভোগান্তির শেষ থাকে না। কয়েক লাখ টাকা তো খরচ হয়ই, সেই সঙ্গে দীর্ঘ সময় লেগে যায়।
পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোজাম্বিকের অনাবাসিক হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কিন্তু মোজাম্বিকের প্রবাসী বাংলাদেশিদের দাবি, দেশটিতে পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে একজন হাইকমিশনার প্রেরণ করা হোক। মোজাম্বিকে বাংলাদেশের হাইকমিশন থাকলে প্রবাসীদের অনেক কষ্ট ও দুর্ভোগ লাঘব হবে।
তৌহিদ-উল বারী
শিক্ষার্থী