প্রায় ২ কোটি মানুষের বসবাসের নগরী আমাদের এই ঢাকা। যানজট, বায়ু দূষণ, জলাবদ্ধতা, পানি দূষণ, শব্দ দূষণ ইত্যাদি নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকলেও ভাগ্য বদলের এই নগরীকে ঘিরে প্রতিদিন আবর্তিত হয় নগরবাসীর স্বপ্ন ও সম্ভাবনা। এসব সমস্যার মধ্যেও সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে ঢাকার বায়ুমান সূচক।
সাধারণত নভেম্বর থেকে মার্চ এই চার মাস ঢাকার বাতাস সবচেয়ে বেশি দূষিত থাকলেও গত ৭ বছরের পরিসংখ্যানে এ বছরের অক্টোবর মাসে সবচেয়ে বেশি দূষিত ছিল ঢাকার বাতাস। যার ফলে এটা অনুমেয় যে, আগামী শুকনা মৌসুমের জন্য ঢাকার বাতাস নগরবাসীর জন্য অশনিসংকেত। আমাদের প্রাণের শহর ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি এগিয়ে আসতে আমাদেরও।
ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার কমিয়ে এনে স্বল্প দূরত্বের জায়গায় হেঁটে অথবা সাইকেলের ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে গণপরিবহনের উপর চাপ কমিয়ে আনতে পারলে সড়কে যানবাহনের পরিমাণ কমে যাবে। এতে বায়ুদূষণের হাত থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়া যাবে। খোলা মাঠের চারপাশে, সড়কের মাঝখানে বা পাশে এবং ব্যক্তি উদ্যোগ বাসাবাড়ির ছাদে গাছ রোপণ করে সবুজায়নের মাধ্যমে সহজ উপায়ে ঢাকার বায়ুদূষণ বহুলাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব।
এ ছাড়া শিল্প উৎপাদন কারখানায় দূষণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা উন্নত করা এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করে দূষণ রোধ করতে হবে। সিটি করপোরেশনকে ময়লা-আবর্জনা ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের মাধ্যমে দুর্গন্ধমুক্ত বায়ুর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি, আগামী প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে হবে সুস্থ, সুন্দর ও নির্মল পরিবেশের বাসযোগ্য একটি ঢাকা শহর।
মোহাম্মদ তারেক
শিক্ষার্থী
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা কলেজ