বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে হয়ে থাকে। জনসংখ্যা, আয়তন ও বাণিজ্যের দিক থেকে দেশের সেরা শহরগুলোর অন্যতম একটি চট্টগ্রাম শহর হলেও এই শহরের পরিবহনব্যবস্থা ভয়ংকর রকমের খারাপ।
এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পর্যাপ্ত ভালো বাস সার্ভিস পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে বেশি খরচে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ব্যবহার করতে হয়। সবার পক্ষে এ যানে চলাচল করা সম্ভব নয়, বিশেষ করে নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষের জন্য। এই শহরে যত্রতত্র লেগুনা সার্ভিস দেখা যায়। তবে এই লেগুনাগুলোর ভাড়াও অনিয়ন্ত্রিত। ন্যায্য ভাড়ার চেয়েও অধিক।
মেট্রো প্রভাতি, সোনার বাংলা প্রভৃতি বাস ছাড়া অধিকাংশ বাস সার্ভিস খুবই খারাপ। বিশেষ করে শহরের ২ নম্বর এবং ৩ নম্বর বাস। এই বাসগুলোয় যাত্রীদের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। এত বেশিসংখ্যক যাত্রী ওঠানো হয়, দাঁড়ানোর মতো জায়গা পাওয়া দুষ্কর হয়ে যায়। বাসগুলো একটু পরপর যাত্রী ওঠা-নামার জন্য থামে। এতে চোর-পকেটমার সুযোগ পায়। প্রতিনিয়ত এ দুটি বাস থেকে যাত্রীদের মুঠোফোন, মানিব্যাগ এবং গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র চুরি হয়ে যায়।
এসব বিষয়ে অহরহ অভিযোগের পরও কর্তৃপক্ষের কোনো নজরদারি চোখে পড়ে না। খুবই বেহাল দশা এ শহরের পরিবহনব্যবস্থার। চট্টগ্রাম শহরের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য পরিবহনব্যবস্থার সুন্দর ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা অতীব জরুরি।
মুহাম্মাদ রিয়াদ উদ্দিন
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়