চিঠিপত্র

নির্বাচন গেল, নির্বাচন এল, রাস্তাটি আর পাকাকরণ হলো না

এক নির্বাচন চলে গেল, সরকারি প্রার্থীও পাস করল, এখন আরেকটা নির্বাচন চলে এল, কিন্তু রাস্তা আর পাকাকরণ করা হলো না। ফলে জনদুর্ভোগ চরমে। এভাবেই মনের দুঃখ ব্যক্ত করলেন, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের শশ্বানীপাড়া গ্রামের অসহায় মানুষ।

জানা যায়, কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর থেকে পিরিজপুর পাকা রাস্তার শ্বশানীপাড়া থেকে উত্তর গোবরিয়া পাকা রাস্তা পর্যন্ত রাস্তাটি গোবরিয়ার প্রথম প্রাচীনতম কাঁচা রাস্তা। এ রাস্তাটির দৈর্ঘ্য ৮২৩ মিটার। শ্বশানীপাড়া থেকে গোবরিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, গোবরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন কৃষকের বিশ থেকে ত্রিশ লাখ টাকার কাঁচামাল বাজারজাত করা হয় পার্শ্ববর্তী পিরিজপুর বাজারে। এ রাস্তা পাকা হলে কৃষি শিল্পে আরও উৎপাদন বাড়বে।

গ্রামে রয়েছে তিনটি মসজিদ, দুইটি নুরানি মাদ্রাসা, একটি প্রাক-প্রাথমিক স্কুল, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক। এই রাস্তার দুই প্রান্তে রয়েছে দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দীর্ঘ দিন যাবৎ ধরে সামান্য বৃষ্টি হলেই এ রাস্তায় বড় বড় গর্ত, কাঁদা ও  পানির জলাবদ্ধতার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজে যাতায়াতে চরম বিপর্যয় নেমে আসে। অসুস্থ, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী মায়েদের ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এলাকার মানুষ অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছে।

এলাকাবাসী বলেন, এখানে যে-ই সংসদ সদস্য হন, তিনি আশ্বাস দেন রাস্তাটি পাকা করে দেবেন। এমনকি গত ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর এক পথসভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য শ্বশানীপাড়া গ্রামে দাঁড়িয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন অতি দ্রুত রাস্তাটি পাকাকরণ করে দেওয়া কাজ হাতে নেওয়া হবে। তাঁকে নির্বাচনে পাস করালে রাস্তা হয়ে যাবে। নির্বাচন গেল আবার নির্বাচন চলেও এল, কিন্তু রাস্তাটি তেমনই রয়ে গেল। রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

লোকমান হোসাইন
কুলিয়ারচর, কিশোরগঞ্জ