মালদ্বীপে তেমন ভালো নেই বাংলাদেশি প্রবাসী ভাইয়েরা। শুরু হয়ে গেছে ধরপাকড়। রাস্তাঘাটে, পার্কে, দোকান ও মার্কেটে যাঁরা অনিয়মিত আছেন, তাঁদের ইমিগ্রেশন পুলিশ তল্লাশি করে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। যাঁরা ফ্রি ভিসা নামে নিয়মিত হয়েছেন, তাঁরাও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাঁদের ভিসা ঠিক থাকা সত্ত্বেও নিজ নিজ কোম্পানির আওতার বাইরে গিয়ে অন্যান্য কোম্পানির আওতায় কাজ করার কারণে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
কয়েক মাস আগে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, অনিয়মিত যাঁরা আছেন, তাঁদের নিয়মিত হওয়ার জন্য। যেসব কর্মী যে কোম্পানিতে কর্মরত আছেন, সেই কোম্পানির মালিককে বলে ভিসা ঠিক করে নিতে হবে। কিছু কোম্পানি ভিসা ঠিক করে দিলেও, বাকি কোম্পানিগুলো করেনি। কেউ কেউ ভালো কোম্পানি না পাওয়ায় তাঁরা ভিসার জটিলতা ঠিক করতে পারছেন না।
অনেকেই দালালদের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি থেকে কোটা কিনে ফ্রি ভিসা নামে নিয়মিত হয়েছেন। যেখানে ইচ্ছা সেখানে কাজ করতে পারবেন বলে দালালেরা নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন, কিন্তু তা হচ্ছে না। আবার অনেকের টাকাপয়সা দালাল মেরেও দিয়েছেন।
এখনো অনেকে দালালদের টাকাপয়সা দিয়ে রাখছেন ভিসা ঠিক করার জন্য। ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়া বন্ধ বলে, তাঁরা ঠিক করতে পারছেন না। আবার কিছু কোম্পানি ঠিকমতো বেতনও দিচ্ছে না, মাসের পর মাস ঘুরাচ্ছে। কোম্পানি থেকে স্ব–ইচ্ছায় চলে গেলে, অনেকের বাকি বেতন মেরেও দিচ্ছে। কিছু কিছু কোম্পানির থাকা-খাওয়া খুবই নিম্নমানের। সব মিলিয়ে বাংলাদেশি ভাইয়েরা অনেক সমস্যার মধ্যে আছে। তাই কর্তৃপক্ষকে আকুল আবেদন, সব হয়রানি বন্ধ করে, দালালমুক্ত অবস্থায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের যেন মালদ্বীপে নিয়মিত হওয়ার জন্য সুযোগ প্রদান করে। সব সমস্যা সহজে সমাধান হয়ে যায়, সেদিকে নজর রাখার জন্য বিশেষ অনুরোধ করা হলো।
শেখ সজীব আহমেদ
মালদ্বীপপ্রবাসী
(টঙ্গিবাড়ী, মুন্সীগঞ্জ)