চিঠিপত্র

১৫০ টাকা ছাড়িয়েছে ডাবের দাম, লাগাম টানবে কে?

ডাব একটি স্বাস্থ্যকর ফলের নাম, যার পানি সুস্বাদু এবং মানবস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এই ডাবের পানি পান করে মূলত অসুস্থ ব্যক্তিদের দুর্বলতা কেটে যায়। তাই যেকোনো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ডাবের পানি পান করেন।

ডাব বারোমাসি ফল হলেও বর্তমানে এর জোগান অপ্রতুল, যার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলায় ডাবের দাম স্বাভাবিকের চেয়ে চার থেকে পাঁচ গুণ বাড়িয়ে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। যেখানে গত বছরেও প্রতিটি ডাব কিনতে খরচ হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, সেখানে বর্তমানে প্রতিটি ডাব কিনতে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা গুনতে হচ্ছে। রাজধানী ঢাকায় প্রতিটি ডাব কিনতে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা করে গুনতে হচ্ছে। এ ছাড়া দেশের অন্যতম ব্যস্ত শহর বগুড়ায় বর্তমানে ডাবের দাম ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও প্রতিটি ডাব কিনতে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা করে গুনতে হচ্ছে ক্রেতাসাধারণকে। দামের নৈরাজ্যে ক্রেতাসাধারণ ডাব কিনতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন।

সম্প্রতি দেশে ডেঙ্গু চরম আকার ধারণ করেছে, যেখানে মৃত মানুষের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে এবং প্রতিনিয়তই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বর্তমানে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা লাখ ছুঁই ছুঁই। এদিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ ও সবল রাখতে ডাবের পানি কার্যকর ভূমিকা রাখছে। এ জন্য সম্প্রতি ডাবের চাহিদা তুলনামূলক বৃদ্ধিতে দেশের ডাব বিক্রেতা সিন্ডিকেট তৎপর। এদিকে যার ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দেশের ক্রেতাসাধারণকে। ডাবের আকাশচুম্বী দামের বিরূপ প্রভাব দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর ওপরও পড়ছে।

সর্বোপরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকি নিশ্চিত করতে হবে এবং তৎপর ডাব বিক্রেতা সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে ডাবের দাম সহনশীল পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে। তবেই দেশের ক্রেতাসাধারণের মুক্তি মিলবে এবং ডেঙ্গুতে রোগীরা ডাবের পানির যথাযথ চাহিদা পূরণ করতে পারবে।

এস এম রাহমান জিকু
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ।