কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোগান্তি

স্নাতকোত্তর একজন শিক্ষার্থীর ব্যক্তিচিন্তার ওপর নির্ভর করে গন্তব্য বিভিন্ন পথে হতে পারে যেমন, অনেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য বিদেশে পাড়ি জমান, কেউ অন্যত্র মাস্টার্সের জন্য নিজ বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যান আবার কেউবা সংসারের হাল ধরার জন্য চাকরির দিকে ঝুঁকে পড়েন।

ক্ষেত্রবিশেষে পার্থক্য থাকলেও এসব কর্মসাধনে প্রত্যেকের জন্য যে সাধারণ বিষয়টির সম্মুখীন হতে হয়, তা হচ্ছে প্রভিশনাল সার্টিফিকেট (সাময়িক সনদ) উত্তোলন। কিন্তু এই প্রভিশনাল সার্টিফিকেট উত্তোলনে কতটা বেগ পেতে হয়, একজন শিক্ষার্থী হিসেবে সম্প্রতি তা প্রত্যক্ষ করেছি।

টানা ৬ ঘণ্টা প্রখর রোদ উপেক্ষা করে ৮টি ভিন্ন ভিন্ন দপ্তরের ৯-১০টি স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে হয়েছে। কখনো কখনো এমন হয় যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতিতে এই সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় আরও দীর্ঘতর হয় এমনকি তিন দিনের বেশি সময় লাগে।

যেসব কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়, আবেদনপত্রের জন্য তার বর্ণনার ঘাটতি, প্রশাসন এবং বিভাগের সংশ্লিষ্ট সম্মানিত শিক্ষকদের সময়নিষ্ঠার অভাব এবং সেকেলে দাপ্তরিক পদ্ধতি একজন শিক্ষার্থীর ওপর নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি।

তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা উন্নত করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

মরিয়ম মিতা

শিক্ষার্থী

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়