প্রাথমিকে সব ধরনের বদলি চালু হোক

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বহুল প্রতীক্ষিত অনলাইন বদলি প্রথমবারের মতো চালু হয় গত ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ এবং পরবর্তীতে বদলি আদেশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পদায়ন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আবারও দ্বিতীয়বারের মতো গত ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ থেকে পুনরায় অনলাইন শিক্ষক বদলির আবেদন চালু হয়। দীর্ঘদিন বদলি বঞ্চিত ও প্রথমবার অনলাইনে বদলি হতে যারা পারেননি সেসব শিক্ষকরাও অনেক আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এবারও বদলির অপেক্ষায় আছেন। অনেক শিক্ষক প্রথম থেকেই দূরবর্তী বিদ্যালয়ে পোস্টিং হওয়াতে শারীরিক ও মানসিকভাবে দীর্ঘদিন কষ্ট করেছেন।

আবার, বিয়ের কারণে স্বামীর কর্মস্থল কিংবা স্বামীর বাড়ি ভিন্ন উপজেলা, জেলা বা বিভাগে হওয়ায় উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় বদলির অপেক্ষায় রয়েছেন হাজার হাজার নারী শিক্ষক। নারীরা স্বামী-সন্তান নিয়ে সংসার ও চাকরিতে বিভিন্ন টানাপোড়েনের মধ্যে আছেন, অনেকের  চাকরি ছেড়ে দেওয়া ও সংসার ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। দ্বিতীয়বারের মতো অনলাইন বদলি চালু হওয়াতে শিক্ষকদের মাঝে আবার নতুন করে আশার আলো সঞ্চারিত হয়, কিন্তু বদলি নীতিমালায় ভিন্ন উপজেলা, জেলা কিংবা বিভাগীয় বদলির সুযোগ রাখা হয়নি।

বদলি নীতিমালায় উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় বদলি সংযোজন করলে শিক্ষকদের বদলি সহজ এবং ফলপ্রসূ হতো।

অনেক দূরে পোস্টিং প্রাপ্ত শিক্ষকেরা সহজে বদলি হতে পারলে তাদের শ্রম, সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে এবং দীর্ঘদিনের কষ্ট দূর হবে। অনেক শিক্ষক বছরের পর বছর পার করে দিচ্ছেন দূরের স্কুলে পোস্টিং পেয়ে। এখন ওই সব শিক্ষকরাও আবার বদলির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। শিক্ষকরাও পছন্দের স্কুলে সহজে বদলি হতে পারলে শারীরিক ও মানসিক শান্তিতে সুন্দরভাবে চাকরি ও সংসার নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারবেন।

কর্তৃপক্ষের নিকট বিনীত নিবেদন সকল ধরনের বদলি চালু করে শিক্ষকদের মানসিক ও শারীরিক কষ্ট লাগব করুন।

গাজী আরিফ মান্নান
শিক্ষক
ফেনী