রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে খাবারের মান বৃদ্ধি করতে হবে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরম পরিবেশে ঘুরতে সবার ভালো লাগে। কিন্তু মতিহারের এই সবুজ চত্বরের সৌন্দর্যের পাশাপাশি দূর্ভোগও রয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের নানাবিধ সমস্যার অন্যতম হলো মানসম্মত খাবারের অভাব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানের খাবারের মান নিয়ে রীতিমতো সবারই একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। ক্যাম্পাসের টুকিটাকি চত্বর, পরিবহন মার্কেটসহ কয়েকটি জায়গায় শিক্ষার্থীরা ক্লাসের বিরতিতে সহপাঠীদের সাথে আড্ডায় মেতে উঠে। আড্ডার সাথে চলে সিঙ্গারা, পিঁয়াজু, চপ, পরোটাসহ নানা রকম মুখরোচক খাবার।

দাম স্বাভাবিক হলেও এ নিয়ে নানারকম অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এইসব খাবারের মান কখনো পরীক্ষা করা হয় না। নাগালের মধ্যে হওয়ায় বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের এগুলোই খেতে হয়। এতে প্রায়ই পেটের পীড়া, এলার্জিসহ বিভিন্নরকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয়  ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান ভালো হলেও দামটা একটু বেশি। তাই সব ধরনের শিক্ষার্থীর পক্ষে তা কিনে খাওয়া সম্ভব হয় না। এখানেও সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১ টার মধ্যে সাধারন মিল শেষ হয়ে যায়। যখন শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ থাকেন শ্রেণিকক্ষে। ফলে সেই খাবারটা খাওয়া সম্ভব  হয় না তাদের।

আবার মেয়েদের হলগুলোতে খাবারের জন্য আগের দিন এবং দুপুরের খাবারের জন্য সকালে টোকেন কাটতে হয়। কোনো হলে খাবার অত্যাধিক ঝাল। ছেলেদের হলেরও একই অবস্থা। তবে প্রতিটি জিনিসের নেতিবাচক এবং ইতিবাচকতা থাকে। অনেক শিক্ষার্থী আবার টুকিটাকি, হল অথবা ক্যাফেটেরিয়াতে খেতেই বেশি পছন্দ করেন। স্বল্প দামে কোথাও ভালো বা খারাপ যাই হোক তাতেই তাদের দিন পার করতে হয়।

তবে খাবারের বিষয়গুলোতে অন্তত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত। মাসে একবার করে হলেও খাবারগুলোর গুণগত মান পরীক্ষা করে দেখা উচিৎ।

ভালোভাবে পড়াশোনা করার আগে চাই সুস্থ দেহ আর সুন্দর মন। কিন্তু পুষ্টিকর খাবার না পেলে শরীর মন কোনোটাই সুস্থ থাকে না। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার এতদিন পরে এসেও এ বিষয়গুলো নিয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া সত্যিই দুঃখজনক। তাই অচিরেই রাবি প্রশাসনের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকটি বিবেচনা করে স্বল্প দামের মধ্যে অন্তত প্রাথমিক পুষ্টিমান সমৃদ্ধ খাবারের বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া উচিত।

মোছা. ছিরাজাম মনিরা
শিক্ষার্থী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।