জনসাধারণের সুবিধার্থে সরকার অনলাইনে খাজনা খারিজের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কতিপয় নায়েব নানা রকম সমস্যা দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা মানুষের পকেট কেটে নিচ্ছে। আমি নিজে একজন ভুক্তভোগী কৃষক। আমার মতো আরও অনেক কৃষক এ সমস্যায় ভুগছেন।
পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার ফরিদপুর মৌজায় ক্রয়সূত্রে এক বিঘা জমির মালিক আমি। আরএস রেকর্ড প্রকাশ হওয়ার আগেই আমি এসএ রেকর্ডের ওপর খারিজ করে খাজনা দিয়ে এসেছি। চার বছরের খাজনা বাকি আমার, তাতে সুদ আসলে পাঁচ-ছয় শ টাকা হতে পারে খাজনা। আমি একজন তহসিলদার বা নায়েবের কাছে খাজনা দিতে গেলে তিনি বলেন, এসএ খারিজে চলবে না। আরএসের ওপর খারিজ করে নেন। খারিজ করতে হলে আগে বাকি খাজনা দিতে হবে এবং ওই খতিয়ানে প্রায় ২০ বিঘা জমি আছে, তার সব খাজনা পরিশোধ করতে হবে।
আমি অনুরোধ করলাম, শুধু আমার এক বিঘা জমির চার বছরের বাকি খাজনা যা হয় নেন। তিনি বললেন, না, অনলাইনে এভাবে নেওয়া যাবে না। আপনার প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার টাকা খাজনা হয়। আপনি ৮০ হাজার দেন। আমি আবার অনুরোধ করায় আমাকে বলেন, আপনি ৫৫ হাজার টাকা দেন, এর কম মোটেও করা যাবে না। আমি ফিরে এলাম। আমার পক্ষে জমি রক্ষা করা মনে হয় সম্ভব না।
সরকারের কাছে আমার নিবেদন, এই সব নায়েবদের হয়রানি থেকে কীভাবে বাঁচব, কীভাবে জমি রক্ষা করব। দয়া করে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন কি? নাকি এটাই আইন যে, অন্যদের খাজনাও একজনকেই দিতে হবে? নাকি এভাবে আমরা সাধারণ মানুষ হয়রানি হতেই থাকব?
আবদুল্লাহ
ফরিদপুর, পাবনা