কয়েক বছর ধরে সরকার সফলতার সঙ্গে জানুয়ারির প্রথম দিন প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে দিনটিতে পাঠ্যপুস্তক দিবস পালন করে আসছে। নতুন বছরের প্রথম দিন ছাত্রছাত্রীরা হাতে নতুন বই পেলে আনন্দে উদ্বেলিত হয়, তাদের পড়াশোনার প্রতি আরও আগ্রহ জন্মে। সে জন্যই পাঠ্যপুস্তক দিবস শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করছে।
এ বছরও ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক দিবস পালন করা হবে। ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে প্রায় ৩৩ কোটি সেট নতুন
বই। এ এক বিরাট কর্মযজ্ঞ। জানুয়ারি মাস আসতে বেশি দেরি নেই। তাই সময়মতো যাতে শিক্ষার্থীরা বই হাতে পায়, সেটি নিশ্চিত করাই হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য এই মুহূর্তের চ্যালেঞ্জ।
বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দেওয়ার অংশ হিসেবে অধিকাংশ উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের বই পৌঁছাতে শুরু করলেও প্রাথমিকের বই এখনো তেমনভাবে আসা শুরু করেনি। ইতিমধ্যে সঠিক সময়ে বই ছাপা, সরবরাহ ও কাগজের মান নিশ্চিত করতে ছয়টি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে দর–কষাকষির কারণে প্রাথমিকের বই ছাপার কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়। যে কারণে আগামী বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। যেকোনো মূল্যে এই শঙ্কা কাটিয়ে উঠতে হবে।
মনে রাখতে হবে, কম বয়সী শিক্ষার্থীরা এসব পাঠ্যপুস্তক ব্যবহার করে। কয়েক মাস যেতে না যেতেই যদি বই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে, তাহলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শেষ থাকে না। বিনা মূল্যের এসব বই বাজারে কিনতেও পাওয়া যায় না, পাওয়ার কথাও নয়। তাই কাগজ, ছাপা, বাঁধাইসহ সবকিছুতে যেন বইয়ের মান ঠিক থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। সময়মতো বই পৌঁছানোর ব্যাপারেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। গত বছর এই সময় রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল। এমনকি ১ জানুয়ারি বই উৎসবের দিন হরতাল ডাকা হয়েছিল। এরপরও শিক্ষার্থীরা সঠিক সময় বই পেয়েছে। এবার রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত। সুতরাং শিক্ষার্থীরা সময়মতো বই পাবে—এ প্রত্যাশা সবার।
মো. রেদোয়ান হোসেন
টাঙ্গাইল।