ধূমপানে টেনশন কমে না

অনেকের মধ্যেই একটি ভ্রান্ত ধারণা হচ্ছে, ধূমপান করলে স্টেস কমে বা টেনশন কমে যায়, যার কারণে বর্তমান সময়ের যুবসমাজকে পারিবারিক বা সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটলেই দেখা যায় ধূমপান করতে। অনেকেই আবার মনে করেন ধূমপান করা একধরনের ফ্যাশন বা স্মার্টনেস, আভিজাত্যের প্রতীক।

তবে আসলেও তা কতটা যৌক্তিক? ধূমপান আসলে কোনো প্রকার স্টেস বা টেনশন কমায় না। পরিবারের একজন ব্যক্তি ধূমপান করলে আশপাশে থাকা অন্যদেরও ক্ষতি হয়, যার কারণে শিশুদের অনেকাংশে হার্ট অ্যাটাক, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা যায়। চিকিৎসক বা চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলে যাচ্ছেন, যেকোনো ধরনের ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো জরিপ-২০০৯ অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৪ কোটি ১৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক সেবন করেন, যা মোট জনগোষ্ঠীর ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ। দেশে পুরুষ ধূমপায়ীর সংখ্যা ২ কোটি ১২ লাখ এবং নারী ধূমপায়ী প্রায় সাত লাখ। জরিপে উঠে আসে, নিজে ধূমপান না করেও পরোক্ষ ধূমপানের শিকার প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ মানুষ। তা ছাড়া বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি নারী পরোক্ষ ধূমপানের শিকার, যার মধ্যে ৩০ শতাংশই পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় কর্মস্থলে এবং ২১ শতাংশ জনসমাগমস্থলে। শুধু ধূমপানের কারণে প্রতিবছর ৫৭ হাজার মানুষ মারা যায় এবং ৩ লাখ ৮২ হাজার মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে। তাই সুন্দর জীবনের লক্ষ্যে আজই ধূমপানকে না বলুন।

*মুহম্মদ ফেরদৌস ওয়াহিদ

কেরাণীরহাট, রংপুর।