চিঠিপত্র

ধর্ষণ থামবে না?

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ধর্ষণ সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। খবরের কাগজ খুললেই এ-সংক্রান্ত খবর চোখে পড়ে। এমন কোনো দিন যায় না, যেদিন ধর্ষণের খবর থাকে না। অথচ বাংলাদেশের সংবিধানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০-এর ৯ ধারায় ধর্ষণ এবং ধর্ষণের কারণে মৃত্যু ঘটানোসহ প্রভৃতি সম্পর্কে বলা হয়েছে। অত্র ধারায় ধর্ষণে মৃত্যুর কারণে একজন অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রাখা হয়েছে।
কোথায় আজ সেই সাজা? কোথায় বিচার? আর কত দিন চলবে এভাবে? তবে কি ধর্ষণ থামবে না?
প্রথম আলোর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ৫ হাজার ৪০০ জন নারী এবং ৮১৫ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ২০১৮ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩ হাজার ৯০ জন নারী এবং ৭২৭ শিশু।
বিগত বছরগুলোর পরিসংখ্যান না হয় বাদই দিলাম। গত দুই বছরের অবস্থা যদি এমন হয়, তাহলে ভেবে দেখুন, সামনে কী অবস্থা হবে। নারীদের উদ্দেশে বলব, চোখ-কান খোলা রাখুন। হয়তো সেই বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষটি আপনার আশপাশেই লুকিয়ে আছে। তাই এখনই সময় প্রতিবাদের। আমরা যার যার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ গড়ে তুলব। এ রকম আর চলতে দেওয়া যায় না।
এটা এখন সামাজিক হুমকিস্বরূপ। আমরা বাংলাদেশের জনগণ সরকারের কাছে আবেদন করছি, এই ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। তাহলে এই কুরুচিপূর্ণ মানুষগুলো আর কোনো বোনের সম্ভ্রম কেড়ে নিতে সাহস করবে না।

মো. মিজানুর রহমান
হস্তীশুণ্ড, উজিরপুর, বরিশাল।