১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত হলো। পত্রপত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে এ বিষয়ে বিশেষ আলোচনা হয়েছে। সরকার প্রবীণদের কল্যাণে কী কী করেছে, তাও আলোচিত হয়েছে। এ দিনের আলোচনায় একটা বিষয় জানা গেল, তা হলো আমাদের দেশসহ সারা বিশ্বে মৃত্যুর হার কমে গেছে এবং আরও কমতে থাকবে।
ফলে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে তা আরও বেড়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ এস এম আতিকুর রহমানের একটি উক্তি প্রবীণদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, ‘মানুষের জীবনের সঙ্গে আমরা অতিরিক্ত বছর যোগ করতে পেরেছি, কিন্তু বাড়তি বছরগুলোতে আমরা জীবন যোগ করতে পারিনি।’
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শারীরিক ও মানসিক বৈকল্য সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় পরিবারে তার অস্তিত্ব বোঝার মতো, আর তার বেঁচে থাকাটা অপ্রয়োজনীয় হয়ে যায়। সন্তান-সন্ততি ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক ক্রমেই শিথিল হতে থাকে। অনেকটা অবহেলা অযত্নের মধ্যেই তাঁকে মৃত্যুর প্রহর গুনতে হয়। এ অবস্থাটা বড়ই মর্মান্তিক।
প্রবীণদের নিয়ে এত কথা, কিন্তু তাদের দিকে তো সরকার নজর দিল না। অষ্টম বেতন স্কেলের আওতায় যেখানে কর্মচারীদের বেতন দ্বিগুণ করা হয়েছে, সেখানে পেনশন মাত্র ৪০-৫০ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এতে কি প্রবীণদের প্রতি সুবিচার করা হলো? বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে পেনশনের পরিমাণ অন্তত দ্বিগুণ ঘোষণা করে প্রবীণদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধাবোধের
দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মো. নজরুল ইসলাম
ঢাকা।