শিরীন শারমিন চৌধুরী
শিরীন শারমিন চৌধুরী

বিরোধী দলের ভূমিকা কী সেটা গুরুত্বপূর্ণ, সংখ্যা নয়

টানা চতুর্থবারে মতো স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি জাতীয় সংসদের প্রথম নারী স্পিকার। কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছিলেন ২০১৪ সালে। সংসদ, সংবিধান, সংসদীয় কমিটিসহ নানা বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রিয়াদুল করিম

প্রশ্ন

নতুন দ্বাদশ জাতীয় সংসদেও স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিন দফায় আপনি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন। অভিজ্ঞতা কেমন?

শিরীন শারমিন চৌধুরী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা চারবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছে। দল (আওয়ামী লীগ) চারবার ক্ষমতায় এসেছে, আমাকে চারবার স্পিকার নির্বাচিত করেছে। দল যদি টানা চারবার সরকার গঠনের সুযোগ না পেত, তাহলে এই সুযোগ সীমিত হয়ে যেত। এটা একটা দিক। আরেকটা হলো সরকার টানা ক্ষমতায় এলে যে  একজনকেই স্পিকার নির্বাচিত করা হবে, বিষয়টা সে রকম নয়। সবার আস্থা ও বিশ্বাস আমার ওপর আছে বলেই নির্বাচিত করা হয়েছে। এটা গর্বের। সে জায়গাটা তৈরি করতে সময় লেগেছে।

আমি যখন প্রথম নারী স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখনো অনেক আলোচনা ছিল। তখনো আমি বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলাম। যখন আমি দায়িত্ব নিয়েছিলাম, সব চ্যালেঞ্জসহ দায়িত্ব নিতে হয়েছিল। আমার নিজের জবাবদিহির জায়গা থেকে বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যে দায়িত্বটা পেয়েছিলাম সেটা যদি ঠিকভাবে পালন করতে না পারতাম, তাহলে তা সব নারীর জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলত। এটা অনেক বড় দায়িত্ব ও ভাবনার বিষয় ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আস্থা, প্রত্যাশা ও বিশ্বাস নিয়ে দায়িত্ব দিয়েছেন, সেটার মর্যাদা যেন রক্ষা করতে পারি, সেটি নিয়েও সব সময় সচেতন থাকতে হয়েছে।

প্রশ্ন

সংসদ কীভাবে সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত করে?

শিরীন শারমিন চৌধুরী: প্রথমত হচ্ছে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা ও উত্তর। সংসদ সদস্যরা মাননীয় মন্ত্রীদের সরাসরি প্রশ্ন করতে পারছেন। মন্ত্রীরা সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দিতে বাধ্য। আর এমন কোনো উত্তর তাঁরা দিতে পারবেন না, যেটা তাঁরা করবেন না। মন্ত্রীদের গ্রহণযোগ্য উত্তর দিতে হবে। এর মাধ্যমে একটা জবাবদিহির মধ্যে তাঁরা পড়ছেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে প্রতি বুধবার সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন। এর মাধ্যমে তিনিও জবাবদিহির মধ্যে পড়ছেন। জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ বিধিতেও মন্ত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময় বিশেষ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। পলিসি ইস্যু, প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা—এই বিষয়গুলোর মাধ্যমে সংসদে সরকারের জবাবদিহি হয়। এটা হচ্ছে সংসদের ফ্লোরে অংশগ্রহণের মাধ্যমে।

এর বাইরে সংসদীয় কমিটির ভূমিকা আছে। সংসদীয় কমিটি প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে নজরদারি করছে। সেখানে কমিটি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। দিকনির্দেশনা দিতে পারে, সুপারিশ করতে পারে। সংসদীয় কমিটিরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ও খুব কার্যকর ভূমিকা আছে।

প্রশ্ন

সংসদে ৬২ জন স্বতন্ত্রের ৫৯ জনই আওয়ামী লীগের নেতা। আর সব মিলে বিরোধী সদস্য ১৫ জনের মতো। ‘বিরোধী দল’ জাতীয় পার্টিও নির্বাচন করেছিল আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে। ফলে সংসদ অনেকটা একপক্ষীয়। এই সংসদ সরকারের জবাবদিহি কতটা নিশ্চিত করতে পারবে?

শিরীন শারমিন চৌধুরী: স্বতন্ত্ররা প্রায় সবাই নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করে সংসদে এসেছেন। তাঁরা হয়তো আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে আছেন। মাঠে যখন তাঁরা নির্বাচন করেছেন, তখন তাঁরা কিন্তু নৌকার বিরুদ্ধে করেছেন। সে বিবেচনায় তাঁদের সরকারের দলীয় বলতে পারেন না। তাঁরা স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হিসেবে যেকোনো কথা বা আপত্তির বিষয় সংসদে তুলতে পারবেন। কারণ, তাঁদের ক্ষেত্রে ফ্লোর ক্রসিং বা ৭০ অনুচ্ছেদের বাধ্যবাধকতা অর্থাৎ দলের বিপক্ষে ভোট দিলে সংসদ সদস্য পদ হারানোর মতো কোনো বিষয় নেই। সংসদে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের কথা বলার ক্ষেত্রে যথেষ্ট স্বাধীনতা আছে। তাঁরা চাইলে বলতেই পারেন।

আর যাঁরা বিরোধী দলে (জাতীয় পার্টি) আছেন, তাঁদের বিষয়ে বলতে চাই, ইজ ইট আ ম্যাটার অব নাম্বার অর ইজ ইট আ ম্যাটার অব কোয়ালিটি? বিরোধী দলের সংসদ সদস্য সংখ্যা নয়, তাঁদের ভূমিকাটা গুরুত্বপূর্ণ। ওনারা যদি ১১ জনই খুব গঠনমূলক সমালোচনা করেন, খুব ভালো ভূমিকা রাখেন, যদি সরকারের জবাবদিহি খুব কঠোরভাবে নিশ্চিত করেন, তাহলে ৫০ জনের বিরোধী দল নাকি ১০০ জনের বিরোধী দল, সেটা কি খুব ম্যাটার করবে? এটা ভূমিকার ওপর নির্ভর করবে।

আমরা অতীতে দেখেছি, অনেক বেশিসংখ্যক সদস্য নিয়ে সংসদে এসে বিরোধী দল দিনের পর দিন সংসদ বয়কট করেছে। সংসদ বয়কটের দীর্ঘদিনের যে সংস্কৃতি ছিল, সেটা গণতন্ত্রকে সুসংহত করে না। এখানে বড় বিরোধী দল যদিও হয় কিন্তু তারা যদি সংসদীয় চর্চা না করে, তাহলে আপনি সেটাকে কীভাবে কার্যকর সংসদ বলবেন?

প্রশ্ন

সংসদ সদস্যদের প্রধান কাজ আইন প্রণয়ন করা। কিন্তু সাধারণভাবে দেখা যায় বড় অংশ বিশেষ করে সরকারি দলের সদস্যদের ভূমিকা হ্যাঁ-না ভোটে সীমিত থাকে। এটাকে কীভাবে দেখেন?

শিরীন শারমিন চৌধুরী: সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা দলের বাইরে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন না। কিন্তু আলোচনা–সমালোচনা করতে পারবেন। বাজেটের সময় তাঁরা বাজেট নিয়ে আলোচনা করেন। আর গত একাদশ সংসদে বিরোধী দলের সদস্যরা আইন নিয়ে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি কথা বলেছেন।

প্রশ্ন

অনেকের অভিযোগ আমলারা যেভাবে খসড়া করে দেন সেভাবেই আইন পাস হয়, তেমন মৌলিক কোনো পরিবর্তন হয় না...

শিরীন শারমিন চৌধুরী: সংসদে আইনের মৌলিক পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ আছে। হয়তো ওনারা মনে করেন আইনটা ঠিকই আছে। যে কারণে পরিবর্তন হয় না। তবে অনেক ক্ষেত্রে সংসদীয় কমিটি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে থাকে। সংসদীয় কমিটিতে তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

প্রশ্ন

গত ১০ এপ্রিল জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা জি এম কাদের বলেছিলেন, বিদ্যমান ব্যবস্থায় জাতীয় সংসদ আইন প্রণয়নে বৈধতা দেওয়া ছাড়া আর কিছু করতে সক্ষম নয়। আসলেই কি তা–ই?

শিরীন শারমিন চৌধুরী: আমি তো তা মনে করি না। আমাদের গণতন্ত্র এখন অনেক সুসংহত। আপনি দেখবেন যে গত তিন মেয়াদে রাস্তায় হরতাল, গাড়ি ভাঙা—এসব বিষয় ঘটে না। মানুষ কিন্তু এখন আর রাস্তায় নামে না। যা–ই কিছু হোক না কেন, জাতীয় সংসদেই আলোচনা হয়।

প্রশ্ন

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্য দীর্ঘদিনের। এই অনুচ্ছেদ কেন প্রয়োজন?

শিরীন শারমিন চৌধুরী: স্থিতিশীলতার জন্য এটা প্রয়োজন। যাতে একটা দলের সংসদ সদস্যরা সুশৃঙ্খল থাকেন। হুট করে অন্য দলে চলে যেতে না পারেন। সরকারের স্থিতিশীলতা এবং সংসদেরও স্থিতিশীলতার জন্য এটা প্রয়োজন। তা না হলে সংসদও স্থিতিশীল থাকবে না।

প্রশ্ন

গত কয়েকটি সংসদের বেশির ভাগ সংসদীয় কমিটিকে নিষ্ক্রিয় দেখা গেছে। কমিটিগুলো যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছে বলে মনে করেন?

শিরীন শারমিন চৌধুরী: মাঝে করোনাকালে অনেক কিছুর চর্চা ব্যাহত হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় পরে কিছু কমিটি হয়তো নিষ্ক্রিয় ছিল। কিন্তু এর আগে নিয়মিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক হয়েছে। আশা করি দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংসদীয় কমিটিগুলো নিয়মিত বৈঠক করবে। আমরাও কমিটিগুলোকে সেভাবে আহ্বান জানাব, কমিটিগুলো যাতে এ ব্যাপারে সচেতন থাকে এবং প্রতি মাসে অন্তত একটা সভা যেন হয়।

প্রশ্ন

সংসদীয় কমিটিগুলো সুপারিশের বাইরে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। এ ক্ষেত্রে কমিটিকে আরও ক্ষমতা দেওয়া উচিত বলে কেউ কেউ মনে করেন। আপনি কী মনে করেন?

শিরীন শারমিন চৌধুরী: সংসদীয় কমিটি যখন সুপারিশ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের তা বাস্তবায়ন করার কথা। যদি কোনো কারণে মন্ত্রণালয় কোনো সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে না পারে তাহলে মন্ত্রণালয় সেটার কারণ কমিটিকে জানাবে। একটা জবাব নিয়ে আসতে হবে। বিষয়টি এটা এমন না যে কমিটি কোনো সুপারিশ করল মন্ত্রণালয় এটাকে ড্রয়ারের মধ্যে রেখে দিল। আমরা যদি দায়িত্ববোধের জায়গায় ঠিক থাকি, তাহলে আমি মনে করি না, ক্ষমতা বাড়ানো বা কমানোর কোনো ব্যাপার আছে।

প্রশ্ন

দশম ও একাদশ সংসদের মতো এবারও নির্বাচন শেষে সংসদ সদস্যদের শপথ নেওয়ার পর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল যে একসঙ্গে দুটি সংসদ চলমান কি না?

শিরীন শারমিন চৌধুরী: সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ পূর্তির পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে আমাদের সাধারণ নির্বাচন করতে হয়। সংসদের মেয়াদ থাকাকালে নির্বাচন হয়েছে। একেবারে মেয়াদের শেষ দিনের সঙ্গে মিল রেখে নির্বাচন করা বাস্তবে সম্ভব না। নির্বাচন একটি বড় প্রক্রিয়া। এরপর নির্ধারিত সময়ে গেজেট ও শপথের বিষয় আছে।

এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে একটা রায় হয়েছে। সেখানে এ বিষয়টা একদম পরিষ্কার করা হয়েছে। সংসদ সদস্যরা যখন শপথ নিল, ‘যে কার্যভার গ্রহণ করিতে যাইতেছি’...সেই কার্যভারটা গ্রহণ করা হয় যখন সাধারণ নির্বাচনের পর জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনটা বসে।

আবার প্রথম অধিবেশন বসার বিষয়েও সংবিধানে বলা আছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার এক মাসের মধ্যে প্রথম অধিবেশন বসতে হবে। সংসদ সদস্যরা ১০ জানুয়ারি শপথ নিয়েছেন। তাঁরা সংসদ সদস্য হয়েছেন কিন্তু তখন কার্যভার গ্রহণ করেননি। তাঁরা কার্যভার গ্রহণ করেছেন ৩০ জানুয়ারি থেকে। তাঁদের সম্মানীও দেওয়া হচ্ছে ৩০ জানুয়ারি থেকে। এখানে ‘ডাবল’ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। 

প্রশ্ন

সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা আছে, সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা আগের সংসদের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংসদ সদস্য হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করবেন না। আবার ১৪৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে, যে ব্যক্তির পক্ষে কার্যভার গ্রহণের আগে শপথ গ্রহণ আবশ্যক, সে ক্ষেত্রে শপথ নেওয়ার অব্যবহিত পর তিনি কার্যভার গ্রহণ করেছেন বলে গণ্য হবে। এই দুটি অনুচ্ছেদ পরস্পর বিরোধী হয়ে যায় কি না?

শিরীন শারমিন চৌধুরী: মাঝে যখন একবার আদালতের রায়ের সঙ্গে মিলিয়ে সংবিধানের সংশোধনীগুলো করা হয়েছিল, তখন এই জায়গাটা অ্যাড্রেস করা হয়নি। এ জন্য এই সমস্যা রয়ে গেছে। আইনমন্ত্রী হয়তো বিষয়টা দেখবেন। এটাকে কীভাবে ঠিক করা যায় তা বিবেচনায় নিয়ে উনি হয়তো এর কোনো বিহিত করলে করতেও পারেন।

প্রশ্ন

সংসদ কার্যক্রম শুরু করল আগের সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর। অন্যদিকে এর বেশ আগেই নতুন সরকার দায়িত্ব নিল। এতে সংবিধানের কোনো ব্যত্যয় হলো নাকি ৩০ জানুয়ারি থেকে নতুন সরকারের যাত্রা শুরু করলে ভালো হতো?

শিরীন শারমিন চৌধুরী: না, ব্যত্যয় হয়নি। ওনারা তো সংসদ সদস্য হয়ে গেছেন। কার্যভারটা নিয়েছেন ৩০ জানুয়ারি।

প্রশ্ন

দ্বাদশ সংসদ কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করছেন? এই সংসদ ঘিরে আপনার বিশেষ কোনো পরিকল্পনা কি আছে?

শিরীন শারমিন চৌধুরী: আমাদের অনেকগুলো পরিকল্পনা রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় সেটা নিয়ে জাতীয় সংসদের কাজ করতে হবে। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যরাও কাজ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সংসদ সদস্যদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা তৈরি হয়েছে। সংসদীয় কূটনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। আশা করি সংসদ সদস্যরা সব কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবেন। সংসদ আরও বেশি প্রাণবন্ত এবং কার্যকর হবে।

প্রশ্ন

সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

শিরীন শারমিন চৌধুরী: আপনাকেও ধন্যবাদ।