অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার বাড়ানোই আমাদের লক্ষ্য

আল্লামা সিদ্দিকী
আল্লামা সিদ্দিকী

এম আল্লামা সিদ্দিকী। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার। পেশাদার এই কূটনীতিক বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১০তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি লন্ডন, ইসলামাবাদ, কলকাতা, টোকিওর বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। সম্প্রতি সিডনিতে তাঁর সঙ্গে প্রথম আলোর কথা হয় এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ভূরাজনীতি ও বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ক নিয়ে।

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সোহরাব হাসানকাউসার খান

প্রশ্ন

সম্প্রতি সিডনিতে এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। এ সম্মেলনে বাংলাদেশেরও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি দল প্রতিনিধিত্ব করেছে। এর উদ্দেশ্য কী?

আল্লামা সিদ্দিকী: এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের যে সত্তা নির্মিত হচ্ছে, তার শুরু গত শতকের আশির দশকের শুরুতে। তখন এর নাম ছিল এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কমিউনিটি। এক দশক ধরে এটা বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার বাইরে রাজনৈতিক দিকও প্রাধান্য পাচ্ছে। সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত হয়েছে। কোয়াডের চার সদস্য—যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে যে যৌথ নৌমহড়া হয়, সেখানে বাংলাদেশও আমন্ত্রিত। বাংলাদেশের যে ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব, এসব সম্মেলনে সেটা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আরেকটি বিষয়, এ অঞ্চলে যাতে কর্তৃত্ববাদিতা প্রাধান্য না পায়, সে বিষয়েও সদস্যদেশগুলো সতর্ক।

প্রশ্ন

এ ধরনের সম্মেলন বা এই জোটে থেকে বাংলাদেশ কতটা লাভবান হতে পারে?

আল্লামা সিদ্দিকী: বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে খুবই সংযুক্ত একটি দেশ। বাংলাদেশ বহুমাত্রিক চিন্তাভাবনার দেশ। এখানে গণতন্ত্র তথা বহুমাত্রিক মতের চর্চা রয়েছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাসের এবং সংস্কৃতির লোক বসবাস করে। স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের যে অভ্যুদয়, সেটাও একই প্রক্রিয়ারই অংশ ছিল। আমরা ইন্দো-প্যাসিফিকে কী চাই, ইন্দো-প্যাসিফিককে কেমন দেখতে চাই, যেটা খানিকটা পরিষ্কার হয়েছে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে সরকার ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক ঘোষণা করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ এমন একটি আউটলুক বা দৃষ্টিভঙ্গি ঘোষণা করেছে, যা সব দেশেই প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশ চায় মুক্ত ও অবাধ বাণিজ্যের নিশ্চয়তা। পাশাপাশি কোনো শক্তির বা পরাশক্তির কারণে এই অবাধ বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হোক, সেটা চায় না। আমরা যদি আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারি, তাহলেই এ ধরনের জোট থেকে বাংলাদেশ আরও লাভবান হবে।

প্রশ্ন

উন্নত দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া হচ্ছে প্রথম দেশ, যে বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে। কিন্তু পরে যেসব দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে, তাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কটা যেভাবে বিকশিত হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সেভাবে হয়নি বলেই অভিযোগ আছে।

আল্লামা সিদ্দিকী:  বাংলাদেশের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক যথেষ্ট বিকশিত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চল থেকে ভৌগোলিকভাবে অনেকটা বিচ্ছিন্ন ও অর্থনৈতিকভাবে উন্নত একটি দেশ, যারা নিজেরা শান্তিতে জীবন যাপন করতে পছন্দ করে। অতীতে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ কিংবা এশিয়ার আরও অনেক দেশের সঙ্গে যুক্ততা কম ছিল। তারা আস্তে আস্তে আরও বেশি উন্মোচিত হচ্ছে, এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে। নব্বইয়ের দশকের অস্ট্রেলিয়ার যে পররাষ্ট্রনীতি, আর এখনকার নীতি এক নয়।

প্রশ্ন

সাম্প্রতিক কালে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করতে এসেছেন। এর কারণটা কী?

আল্লামা সিদ্দিকী: অস্ট্রেলিয়ার জন্য শিক্ষা খাত হচ্ছে তাদের রাজস্ব আহরণের একটি বড় উৎস। অস্ট্রেলিয়ায় যতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, তার মধ্যে অন্তত আটটি বিশ্ববিদ্যালয় নিঃসন্দেহে সেরা ও আন্তর্জাতিক মানের। এর বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও নির্দিষ্ট মান রক্ষা করে চলে। বাইরের শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে আসুক, এ দেশ এটা চায়।

আমাদের দেশের অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন দেশে পড়াশোনা করতে যান। বিদেশে পড়ুয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিচার করলে এখনো অস্ট্রেলিয়া তাঁদের মুখ্য গন্তব্য নয়। গত সপ্তাহে হাইকমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তাসহ আমি অস্ট্রেলিয়ার চারটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। আমরা এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বলেছি, তাঁরা যেন বাংলাদেশের প্রতি আরও নজর দেন। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের ৪০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন, তাঁরা অস্ট্রেলিয়ায় এলে অপেক্ষাকৃত উন্নত মানের শিক্ষা পেতেন। এখানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যেতে পারেন, চাকরি করতে পারেন।

প্রশ্ন

এই শিক্ষার্থীরা কিংবা এখানকার প্রবাসী কর্মীরা তো বাংলাদেশে টাকাও পাঠান।

আল্লামা সিদ্দিকী: অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত প্রবাসীদের কাছ থেকে বাংলাদেশে যে রেমিট্যান্স যায়, সেটা খুব বেশি নয়। বছরে ১৪০ মিলিয়ন ডলার হতে পারে। অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ১ লাখ বাংলাদেশি আছেন, যাঁদের বেশির ভাগ পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকেন। তাদের আত্মীয়স্বজন যাঁরা দেশে আছেন, তাঁরা আর্থিকভাবে সচ্ছল, রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভরশীলতা কম।

কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে মানবসম্পদের উন্নয়নে, শিক্ষিত বাংলাদেশির ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে অস্ট্রেলিয়ার উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা আছে। যেসব বাংলাদেশি অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন, তাঁদের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে তারা যেন বাংলাদেশকে ভুলে না যান। তারা যখন এ দেশের মূলধারায় যাবেন, তারা যেন ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহায়তার হাত বাড়ান। বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও সংস্কৃতিতে তারা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবেন আশা করি।

প্রশ্ন

এখানকার বাংলাদেশিদের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে এবং তাঁদের সমস্যার সমাধানে হাইকমিশন কী করছে?

আল্লামা সিদ্দিকী: আনন্দের বিষয় হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ায় যে পদ্ধতিতে বাংলাদেশিরা এসেছেন, তাতে তাঁদের খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হয় না। কারণ, এখানে অবৈধ পথে আসা বাংলাদেশি নেই। এখানে স্বল্পশিক্ষিত বাংলাদেশি জনগোষ্ঠী নেই বললেই চলে। অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাসী বাঙালিদের প্রায় সবাই যোগ্যতার নিরিখে উত্তীর্ণ। বাসা ভাড়া দিতে পারছি না, পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে, কারখানায় কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছেন, এমন সমস্যায় পড়া বাংলাদেশি এ দেশে খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। কখনো একটা-আধটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দ্বিতীয়ত, এখানে আমাদের বেকার জনগোষ্ঠী নেই। আয়-উন্নতির দিক থেকেও মোটামুটি সবাই ভালো আছেন।

প্রশ্ন

প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাইকমিশন কিংবা কনস্যুলেট অফিসে প্রয়োজনীয় সেবা পেতে সমস্যায় পড়তে হয় বলে অভিযোগ আছে।

আল্লামা সিদ্দিকী:  এই অভিযোগ ঠিক নয়। আগে প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে সমস্যা হতো। বাংলাদেশে গিয়েও যে ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হতো কিংবা পরিচয়পত্র পেতে অনেক সময় লেগে যেত। তাই আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে লিখিত আরজি জানিয়েছি, যেন পাসপোর্টের মতো জাতীয় পরিচয়পত্রও হাইকমিশনের মাধ্যমে পাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সরকার সেটি আমলে নিয়েছে এবং আগামী বছর নাগাদ এই সেবা চালু হবে বলে আশা করি।

সরকারের কাছে আমাদের আরেকটি পরামর্শ দিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রে যেমন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দ্বিতীয়, তৃতীয় প্রজন্মকে পাসপোর্ট দেয়, অস্ট্রেলীয় বাংলাদেশিদের জন্যও যেন এই সুবিধা চালু করা হয়। আমাদের এই পরামর্শও সরকার গ্রহণ করেছে এবং অস্ট্রেলিয়া ও আরও ১৪টি দেশের জন্যও এটি চালু করার কাজ চলছে।

প্রশ্ন

সম্প্রতি প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় ওয়ার্কিং ভিসার নামে একটি চক্র নানা রকম জালিয়াতি করছে। এ ব্যাপারে আপনারা সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পেয়েছেন কি?

আল্লামা সিদ্দিকী: পেয়েছি। আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। বাংলাদেশের বাইরে কর্মী হিসেবে যখনই যেকোনো দেশে কেউ বৈধভাবে যাবেন, তখন তাঁকে সরকারের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর বিএমইটি কার্ড করতে হবে। এর মাধ্যমে বিদেশগামী ব্যক্তি কর্মীর স্বীকৃতি পাচ্ছেন। আর কার্ডটি করতে গেলে ভিসা যাচাই করা হয় সংশ্লিষ্ট দেশের হাইকমিশনের মাধ্যমে। ফলে জালিয়াতির ঘটনা থাকলে তিনি সরকারের কাছে থেকে সেটি জানতে পারবেন।

প্রশ্ন

অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি বৈধ কর্মী আসার সুযোগ বাড়ানো যায় কী করে?

আল্লামা সিদ্দিকী: যেকোনো দেশের নাগরিকদের যদি দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকে, ভিসার আবশ্যিক শর্ত পূরণ করে, তাহলে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসনপ্রক্রিয়ায় সহজেই অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পাওয়া যায়। এখানে সরকারের তেমন কিছু করার নেই। অস্ট্রেলিয়ার দক্ষতার ঘাটতি পূরণের জন্য দেশটির অভিবাসন বিভাগ অনেক আগে থেকেই নীতিমালা তৈরি করে রেখেছে। ফলে উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন পেশাদারদের জন্য সরকারের কোনো বাড়তি সহায়তার প্রয়োজন নেই। এ ছাড়া কম দক্ষতাসম্পন্ন যেসব পেশা রয়েছে, সেখানে আমরা সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। তবে বড় বাধা হলো আমাদের অদক্ষ জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষার যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তাঁদের প্রায় কারোরই অস্ট্রেলিয়ার মানের দক্ষতা পূরণ করার মতো সক্ষমতা নেই। এ জায়গায় আমাদের আরও নজর দেওয়া উচিত।

প্রশ্ন

দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ আছে কি?

আল্লামা সিদ্দিকী: অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ছে। বাংলাদেশের জন্য অস্ট্রেলিয়ার মার্কেট হচ্ছে নবম-দশম রপ্তানি বাজার। আমরাও একইভাবে ৩২তম বাণিজ্য অংশীদার। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের জন্য অনেকটা নতুন বাণিজ্য অংশীদার হলেও তৈরি পোশাক আমদানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ২০২১ সালের তুলনায় অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের রপ্তানি বেড়েছে ৪২ শতাংশ। তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ায় বছরে দেড় বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করে। আমরা তাদের মার্কেটের ১২ শতাংশ দখল করেছি।

আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এটাকে ২০ শতাংশে উন্নীত করা। বাণিজ্য এমন একটি বিষয় যে ব্যবসায়ী যেখানে দেখবে কম দামে জিনিস কেনা যাবে, নিজের উদ্যোগেই সেখানে যাবে। বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের কাজ হবে বাংলাদেশি পণ্যকে তুলে ধরা। আগে আমরা বছরে এ দেশে একটা বাণিজ্য মেলায় অংশ নিতাম। এ বছর দুটি বাণিজ্য মেলায় অংশ নিতে পেরেছি। সিডনির মেলায় সরকারি ও বেসরকারি  ব্যবস্থাপনায় ২২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল। মেলবোর্নের আয়োজনে আশা করছি ৩২টি প্রতিষ্ঠান যোগদান করবে।  

অস্ট্রেলিয়া থেকে আমরাও কিছু পণ্য আমদানি করতে পারি। এর মধ্যে রয়েছে কয়লা, উল, গম, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি। এতে আমরা অনেক মানসম্মত পণ্য পাব। যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইউরোপীয় দেশগুলোর চেয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে কম সময়ে পণ্য আমদানি করা যাবে, খরচও কমবে। বাংলাদেশ লাভবান হবে। আর অস্ট্রেলিয়া যেহেতু সমুদ্রবেষ্টিত একটি দেশ, ফলে যুদ্ধ লাগা এবং এর কারণে বাণিজ্যিক ক্ষতির আশঙ্কা নেই।

প্রশ্ন

আপনাকে ধন্যবাদ।

আল্লামা সিদ্দিকী: আপনাদেরও ধন্যবাদ।