বিশেষ সাক্ষাৎকার মুন্সী ফয়েজ আহমদ

চীনের ১০০ কোটি ইউয়ানকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই

তিন সপ্তাহের চেয়েও কম ব্যবধানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত ও চীন সফর করেন। ভারত ও চীন সফরে বাংলাদেশের প্রত্যাশা কতটা পূরণ হলো, তিস্তা প্রকল্পের ভবিষ্যৎ ও আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক টানাপোড়েনে বাংলাদেশের অবস্থান—এসব বিষয়ে কথা বলেছেন চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মনোজ দে

প্রশ্ন

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর ও এর ফলাফল নিয়ে জনমনে বেশ কৌতূহল তৈরি হয়েছে। কেন?

মুন্সী ফয়েজ আহমদ: প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে যাওয়ার আগে এ নিয়ে যেসব আলাপ-আলোচনা হয়েছিল, তাতে করে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। যেমন তিস্তা প্রকল্প ভারত করবে না চীন করবে, সেটা নিয়ে একটা আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। বাংলাদেশে একটা আর্থিক সংকট চলছে। এ সংকট উত্তরণে কয়েকটি দেশের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে চীনও একটি। আর্থিক সহায়তার ব্যাপারে চীনের কাছ থেকে নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি আসবে, এমন প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। আবার দক্ষিণাঞ্চলের রেল যোগাযোগ প্রকল্প নিয়েও একটা প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। যদিও বাংলাদেশ ও চীনের শীর্ষ পর্যায়ে অত্যন্ত ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে, অত্যন্ত সুন্দর যৌথ বিবৃতি এসেছে, কিন্তু এই নির্দিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু উল্লেখ করা নেই। ফলে মানুষ যে রকম আশা করেছিল, সেই প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় কিছু প্রশ্ন উঠছে।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বৃহস্পতিবার সকালে দেশে আসার কথা ছিল, কিন্তু তিনি বুধবার রাতেই দেশে ফিরেছেন। এ নিয়ে কৌতূহল আছে মানুষের মনে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলার মতো তেমন কিছু ঘটেনি। সরকারের দিক থেকে পরিষ্কার একটা ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। আমি এ বিষয়টা ব্যক্তিগতভাবে জানি। চীনে আমার বেশ কয়েকজন বন্ধু আগের দিন রাতে চীনে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে দেওয়া নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী সবার সঙ্গে গিয়ে গিয়ে কথা বলেছেন। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আমার একজন বন্ধুকে তিনি বলেছেন, মেয়ের শরীরটা ভালো নয়, বুধবার রাতেই দেশে চলে যাব বলে ভাবছি। চীন সফরে প্রধানমন্ত্রী সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেই দেশে ফিরেছেন। ফলে এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকার সুযোগ নেই।

প্রশ্ন

তিস্তা প্রকল্পে চীনের পর ভারতও প্রস্তাব দিয়েছে। চীন কি এ ব্যাপারে মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে?

মুন্সী ফয়েজ আহমদ: তিস্তা নদীতে ভারতের কাছ থেকে নিয়মিত পানি পাওয়ার ব্যবস্থা নেই। তিস্তা অববাহিকার মানুষ, যারা বাংলাদেশে আছে, তাদের প্রতিবছরের কষ্ট যাতে লাঘব করা যায়, সেই চিন্তা সরকারের প্রথম থেকেই আছে। চীন তিস্তা প্রকল্প নিয়ে একটা সমীক্ষা করেছে। এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়েছে। এ বিষয়টি যখন প্রকাশ্যে এল, তখন ভারতের দিক থেকে তিস্তা প্রকল্পে বিনিয়োগের প্রস্তাব এল। এর ফলে তিস্তা প্রকল্পটা বাংলাদেশের জন্য স্পর্শকাতর হয়ে গেছে।

চীন আমাদের বন্ধু, ভারত আমাদের চারপাশে অবস্থানকারী বন্ধু। সে কারণে ভারতের প্রস্তাব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা না করে উপায় নেই। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, চীন একটা প্রস্তাব দিয়েছে, ভারত তাদের দিক থেকে একটা প্রস্তাব দিক। দুই পক্ষের প্রস্তাব বিবচেনা করে আমাদের প্রয়োজন ও স্বার্থ বিবেচনা করে যার প্রস্তাব ভালো হবে, সেটা গ্রহণ করব। ফলে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আগেই নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর এবারের চীন সফরে এটা নিয়ে খুব বেশি দূর এগোনোর সুযোগ নেই।

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের আগে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, তিস্তা প্রকল্পটি পুরোপুরি বাংলাদেশের সার্বভৌম এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। বাংলাদেশ তাদের এ প্রকল্প যাকে দিয়ে করাতে চায়, তাকে দিয়ে করাতে পারে। বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত যেটাই হোক, চীন তার প্রতি সম্মান করে। এটা অত্যন্ত বন্ধুসুলভ বক্তব্য। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীন যদি মনঃক্ষুণ্নও হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রেও বন্ধুত্বের খাতিরে তারা যে বাংলাদেশের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি করবে না, সেটা বলে দিয়েছে।

প্রশ্ন

সামগ্রিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর কেমন হলো? বাংলাদেশের প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ হলো?

মুন্সী ফয়েজ আহমদ: আমি মনে করি, অত্যন্ত ভালো একটা সফর হয়েছে। যদিও সুনির্দিষ্ট প্রকল্পের কথা বলা হয়নি, কিন্তু যৌথ বিবৃতি থেকে পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বেশ কিছু প্রকল্পে সহযোগিতা করবে চীন। যেমন দক্ষিণাঞ্চলের রেল যোগাযোগ অবকাঠামোতে সুনির্দিষ্টভাবে বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করা না হলেও যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়নে বিআরআইয়ের আওতায় দুই দেশ সহযোগিতা এগিয়ে নিয়ে যাবে। যৌথ বিবৃতির এই অংশ রেল যোগাযোগ অবকাঠামোর বিষয়টি এসে যায়।

প্রশ্ন

এবারের সফরে বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্যাশা ছিল ৫০০ কোটি ডলারের ঋণসহায়তা। এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে চীন চার ধরনের আর্থিক সহায়তা দেবে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে তারা কারিগরি দল পাঠাবে। তার মানে সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের যে জরুরি অর্থ সহায়তা দরকার ছিল তা হচ্ছে না। আপনার মন্তব্য কী?

মুন্সী ফয়েজ আহমদ: চীন সহায়তা দেয়নি, এটা একেবারে ঠিক নয়। অল্প হলেও চীন ১০০ কোটি ইউয়ান সহায়তা দিয়েছে। এটা দিয়ে চীন বলছে, তারা কারিগরি টিম পাঠাবে। আলাপ–আলোচনা করে ঠিক করবে, কত অর্থ কোথায় দেওয়া যাবে। একটা বিষয় মনে রাখা দরকার  যে বাংলাদেশ চারটা দেশের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছে; চীন বাদে আর একটি দেশ থেকেও তো এটুকু সাড়াও পাইনি। সুতরাং চীনের কাছ থেকে যেটুকু পেয়েছি, সেটাকে ছোট করে না দেখে এটাকে শুরু হিসেবে দেখাটাই ভালো। বাকি সহায়তাও ধাপে ধাপে পাওয়া যাবে বলে মনে করি।

কারণ, চীনের সঞ্চিত অর্থের অভাব নেই। সেই অর্থটা তারা বিনিয়োগ করতে চায়। চীনের সঙ্গে এ ব্যাপারে যে আলোচনা হয়েছে তাতে বোঝা যায়, বাংলাদেশকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে চীন অত্যন্ত ইতিবাচক। বাংলাদেশ ৫০০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে, তার মধ্যে চীন কতটা দেবে, সে ঘোষণা তো তারা এখনো দেয়নি। সুতরাং সেই ঘোষণা আসার আগে খামোখা বিষয়টাকে ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই।

প্রশ্ন

চীন কি তাহলে বাংলাদেশকে চাপে রাখার কৌশল হিসাবে এটা করেছে?

মুন্সী ফয়েজ আহমদ: বিষয়টাকে এভাবে দেখার সুযোগ নাই। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ সালে। সেখান থেকে দুই দেশের সম্পর্ক, সহযোগিতা, অনেক দূর এগিয়ে গেছে। অন্য কোনো দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বের কারণে সেই সম্পর্ক তো আটকে নেই। ভবিষ্যতেও এই সম্পর্ক আটকাবে না। চীনের ১০০ কোটি ইউয়ান দেওয়ার বিষয়টাকে কোনো কাজ শুরুর আগে যেমন বায়না দেওয়া হয়, সে রকম একটা বিষয় বলে দেখতে চাই। এর মানে হচ্ছে, আমাদের চাওয়াটাকে চীন ইতিবাচকভাবে দেখছে। প্রথমে একটা থোক বরাদ্দ দিচ্ছে, বাকিটা  আলাপ–আলোচনা করে দেবে।      

প্রশ্ন

তাইওয়ানকে চীনের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ এবারই প্রথম এটি যৌথ বিবৃতিতে যুক্ত করেছে। বিবৃতিতে বাংলাদেশ চীনের মৌলিক স্বার্থ ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করার লক্ষ্যে চীনের প্রয়াসকে সমর্থন করার কথা বলেছে। এ অবস্থান পরিবর্তনের পেছনে কী কাজ করেছে? পশ্চিমা বিশ্ব এ অবস্থানকে কীভাবে নেবে বলে মনে করেন?

মুন্সী ফয়েজ আহমদ: এটা একদম ঠিক কথা নয়। তাইওয়ান, তিব্বত যে চীনের অংশ, সেটা বারবার বাংলাদেশ উল্লেখ করে এসেছে। যখনই চীনের মূল স্বার্থের কথা আসে, তখনই তাইওয়ান, তিব্বত এই দুটি প্রসঙ্গ চলে আসে। চীনের এই মূল স্বার্থে আমরা পুরোপুরি সমর্থন করি। একমাত্র দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপপুঞ্জের ওপর চীনের সার্বভৌমত্বের দাবিটাকে আমরা সরাসরি সমর্থন করি না। চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে, সব দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে এক চীন নীতিকে স্বীকৃতি দেয়।

এক চীন নীতিকে স্বীকৃতি দিয়ে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি চুক্তি আছে। চীন অখণ্ড দেশ, তাইওয়ান চীনের অংশ সেটা যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে। কিন্তু তারপরও তারা তাইওয়ান অ্যাক্ট তৈরি করেছে। বাংলাদেশ একদমই কোনো চাপের মধ্যে পড়বে না। বরং তাইওয়ান নিয়ে চীনের ওপর যারা চাপ সৃষ্টি করে, তারা একধরনের দ্বিচারিতা করছে। আমি মনে করি, চাপটা তাদের ওপরই যাওয়া উচিত। বাংলাদেশকে এ ব্যাপারে কেউ চাপ দিতে পারবে না। কারণ, আমরা বহু আগে থেকেই এক চীন নীতি অনুসরণ করে আসছি।

প্রশ্ন

চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সম্পর্ক জোরদার করেছে। দুই দেশের ক্ষমতাসীন দলের এই সম্পর্ককে কীভাবে দেখেন? চীন কি শুধু এ দেশের ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গেই সম্পর্ক জোরদারে মনোযোগী?

মুন্সী ফয়েজ আহমদ: আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিএনপি, জাতীয় পার্টি, বাম দলসহ অন্য গুরুত্বপূর্ণ দলের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সম্পর্ক রয়েছে। আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল, তখন আমরা দেখেছি, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল চীন সফরে গেছে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসে আওয়ামী লীগের সঙ্গে দেখা করেছে। সুতরাং এটা নতুন কোনো ঘটনা নয়। চীন সরকার ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সমান্তরাল দুটি ধারায় চলে। প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও সরকার যেমন আছে, আবার পার্টিরও একটা আলাদা ধারা আছে। পার্টির মধ্যে সব বিষয়ে আলাদা মন্ত্রী থাকেন। ফলে কমিউনিস্ট পার্টি সেখানে আলাদা একটা সরকারের মতো। সরকারের সমান্তরালে কমিউনিস্ট পার্টি বিভিন্ন দেশের ক্ষমতাসীন দল, বিরোধী দলের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে। নিয়মিতভাবে তারা এই সম্পর্কগুলো সচল রাখে।

প্রশ্ন

চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্কের বিষয়টিও এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এখানে ভারসাম্যের বিষয়টি আলোচনায় চলে আসে। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখেন?

মুন্সী ফয়েজ আহমদ: বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের একটি বিশেষ দিক রয়েছে। এর ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট রয়েছে। কিন্তু এ সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ভারত বাংলাদেশের চারপাশে ঘিরে আছে। বঙ্গোপসাগরও ভারতের প্রভাবাধীন এলাকা।

ভারত আমাদের চারপাশে আর আমরা তাদের পেটের ভেতরে, এর ফলে দুই দেশের মধ্যে একটা পারস্পরিক নির্ভরশীলতা তৈরি হয়েছে। ভারতের নিরাপত্তা আমাদের ওপর গুরুত্বপূর্ণভাবে নির্ভরশীল। এ সম্পর্কটাকে সুন্দর অবস্থানে রাখতে দুই দেশকেই বিশেষ যত্ন নিতে হয়।

অন্য যারা বন্ধু আছে, তারা এ বিশেষ সম্পর্কটাকে বোঝে। সেটা তারা বিবেচনায় নেয়। ইচ্ছা করে তারা বিবেচনায় নিচ্ছে, ব্যাপারটা এমন নয়। প্রয়োজন পড়ছে বলেই বিবেচনায় নিতে হচ্ছে। কারণ, বাংলাদেশের স্বার্থ ভারতের স্বার্থের সঙ্গে অনেক বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। সুতরাং আমরা যার সঙ্গে যে চুক্তি করি না কেন, ভারত যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটা দেখতে হয়। আবার ভারতের সঙ্গে আমরা যে সহযোগিতা করব, চুক্তি করব, সেখানে অন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটাও আমাদের দেখতে হয়।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এগুলো খুব বাস্তব বিষয়। এগুলো এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এগুলোর ভেতর দিয়েই সব পক্ষকে খুশি রেখে চলতে পারি সেটাই জরুরি। তবে সব সময় সব পক্ষকে খুশি করা সম্ভব নয়। জাতীয় স্বার্থে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যেটা থেকে হয়তো প্রথমে কেউ মনঃক্ষুণ্ন হতে পারে। কিন্তু তারা যখন বুঝবে আমরা জাতীয় স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তারা তখন সেটা মেনে নেবে।