দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের একজন ‘থিংক ট্যাঙ্ক’ হিসেবে কাজ করেছেন মোহাম্মদ আলী আরাফাত। গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। গত রোববার সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে এই সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কাদির কল্লোল ও আনোয়ার হোসেন।
আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ দফায় সরকার গঠন করেছে। সরকার নতুন না হলেও তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আপনি নতুন। আপনার মিশন বা লক্ষ্য কী?
মোহাম্মদ আলী আরাফাত: আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরে দেশে পরিবেশ, পারিপার্শ্বিকতা ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। নতুন বাস্তবতাও তৈরি হয়েছে। সেটার সঙ্গে খাপ খাইয়ে আমাদের কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।
স্বাধীন বা উন্মুক্তভাবে তথ্যের প্রবাহ আমরা চাই। সমস্যা হচ্ছে এগুলোর সঙ্গে মাঝেমধ্যে অপতথ্য ছড়ানো হয়। এ জায়গায় ভারসাম্য আনতে হবে। কারণ, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খুবই দরকার। একইভাবে মুক্ত পরিবেশের সুযোগ নিয়ে বা এর অপব্যবহার করে যারা ব্যক্তিস্বার্থে বা গোষ্ঠীস্বার্থে অপতথ্য ছড়ায় এবং এক অর্থে মানুষকে ধোঁকা দেয়, তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
অপতথ্য বা গুজব ছড়ানোর পেছনে কখনো কখনো রাজনৈতিক বিষয় থাকতে পারে। কিন্তু অনেক সময় অপতথ্যের বিষয়টি বুঝে বা না বুঝে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে থাকেন; তখন তারা ক্ষতিগ্রস্ত হন। সেক্ষেত্রে ঘটনার জন্য কে দায়ী হবে, সেটা কীভাবে চিহ্নিত করবেন?
আরাফাত: আপনি যদি গোড়ায় হাত দেন অর্থাৎ যে অপতথ্য তৈরি করছে তাকে চিহ্নিত করতে পারেন, তাহলে পরবর্তী পর্যায়ে কে শেয়ার করছে, সেটি আর আসে না। এখানে আমি আরেকটা জিনিস স্পষ্ট করি, কাজ করতে গিয়ে ভুল করতে পারি, সেটা আমরা সবাই করি। সেগুলো অন্য বিষয়। কিন্তু ধরেন, একটা খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে অপতথ্য তৈরি করে মানুষকে বোকা বানাতে চায়। সেগুলোকে আমরা ধরতে চাইছি।
খারাপ উদ্দেশ্য আছে বা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে, সেটি কীভাবে নির্ণয় করা যাবে?
আরাফাত: এটা বোঝা যাবে। এ ব্যাপারে একটা স্কেল বা সীমা আমাদের নির্ধারণ করতে হবে। সে জন্য আমি বলছি, গত ১৫ বছরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যে বিস্তৃতি হয়েছে, এমনকি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যে ব্যাপ্তি হয়েছে, প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সবই এখন এক হয়ে গেছে।
এখন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াও অনলাইনে যাচ্ছে। তারাও অনলাইনে টক শো করছে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে। এই যে সবকিছু মিলে একটা পরিস্থিতি হয়েছে, এ পরিস্থিতিতে যেতে প্রযুক্তি আমাদের বাধ্য করেছে। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্টেকহোল্ডার (অংশীজন) সবার মতামত আমি নিচ্ছি। তাদের মধ্যে একটি ঐকমত্য আছে যে, গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেমন দরকার, তেমনি অপতথ্য রোধ করাও জরুরি।
গত কয়েক বছরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই অপতথ্য ছড়ানোর অভিযোগ বেশি এসেছে এবং এর উৎস বেশির ভাগই দেশের বাইরে।
আরাফাত: সেটারও একটা উপায় আমাদের বের করতে হবে। আমি আইনি কাঠামোর বাইরে সামাজিকভাবেই বিষয়গুলো প্রকাশ করতে চাই। কাউকে আইনের মধ্যে এনে শাস্তি বা সাজা দেওয়া, এটা চাই না। এর চেয়ে প্রকাশ করা তথ্যের গ্রহণযোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করতে চাই। ধরেন, বারবার কেউ অসত্য তথ্য দিচ্ছে, তা বারবার চ্যালেঞ্জ করলে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। যেমন বিদেশ থেকে যারা অপতথ্য ছড়াচ্ছে, তাদের গ্রহণযোগ্যতা এখন নেই। এগুলো মানুষ দেখে বিনোদনের জন্য। কিন্তু আস্থায় নেয় না। আমরা সেই জায়গায় নিতে চাই, যাতে কোথায় গেলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে, তা মানুষ বুঝতে পারবে।
গত ১৫ বছরে একটা অভিযোগ সব সময় ছিল, দেশে মতপ্রকাশের পরিসর সংকুচিত হয়েছে, সাংবাদিকেরা ‘সেলফ সেন্সরশিপ’ করছেন-এমন অভিযোগ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রয়েছে। এ অভিযোগকে আপনি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
আরাফাত: সেলফ সেন্সরশিপের বিষয়টা একটা ন্যারেটিভ (ধারণা)। এটা তৈরি করা হয়েছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই-এটা আমি কীভাবে প্রমাণ করব? কারণ, প্রতিদিন টেলিভিশনগুলোয় সম্প্রাচারিত অনুষ্ঠানগুলোর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশে সরকারের সমালোচনা হচ্ছে। যখন গুণগতভাবে প্রমাণ করতে পারছে না, তখন একটা ন্যারেটিভ বা ধারণা তৈরি করছে, যেটা মাপা যায় না।
ভয় থেকে সেলফ সেন্সরশিপ করা হচ্ছে, এটা কীভাবে প্রমাণ করা যাবে? মানে যাঁরা এটা বলছেন, এটি তাদের একটা মতামত। আমি এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি। কিন্তু এখানে কোনো প্রমাণ হাজির করার সুযোগ নাই যে এ কারণে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত আমাদের সহকর্মীরা বলেন, সরকারের সমালোচনামূলক কোনো সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে তাঁরা অনেক সতর্ক থাকেন। রাজনীতি ও দুর্নীতির খবর দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময়ই সেলফ সেন্সরশিপ করতে হয়। তার মানে একধরনের ভয় কাজ করে। কী বলবেন?
আরাফাত: সতর্ক থাকাটা ভালো, তাহলে তার হাত দিয়ে কখনো ভুল জিনিস প্রকাশ হবে না।
বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা বা সঠিক খবর প্রকাশে সতর্ক থাকতে হয়। কিন্তু সেলফ সেন্সরশিপ যখন করতে হয়, সেটা তো ভয় থেকেই হয়।
আরাফাত: সরকারের সমালোচনা করা বা ভুলত্রুটি তুলে ধরার জন্য ভয় কাজ করে, এটি আমি দেখি না। কারণ, টেলিভিশন খুললেই সমালোচনার যে ঢেউ, পত্রিকায় সমালোচনার যে ব্যাপ্তি, ভয় থাকলে তো এটা থাকার কথা নয়। অভিযোগটা হয়তো আছে। কিন্তু বাস্তবে যেটা দেখছি তা এই অভিযোগকে সমর্থন করে না।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা ও তাঁদের হয়রানি-নির্যাতনের বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমালোচনা আছে। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের প্রথম ৯ মাসে ২১৬ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, মামলা, হুমকি ও পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধার শিকার হয়েছেন।
আরাফাত: আপনি কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন, মামলা যেগুলো হয়েছে, এগুলোর কোনো সত্যতা ছিল না। মানে কোথাও সাংবাদিকতার অপব্যবহার করা হয়নি। সাংবাদিকতাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে চাঁদাবাজিও তো হয়। আমি মনে করি না যে অন্যায়ভাবে সব মামলা হয়েছে। কারণ, সাংবাদিকদের মধ্যেও অনেকে অন্যায় করেন।
আবার সব জায়গায় সাংবাদিকদের দোষ ছিল, সেটাও মনে করি না। কিছু কিছু জায়গায় প্রভাবশালী মহলেরও দোষ থাকে। সেটা উন্মোচিত করতে গিয়ে অনেক সাহসী সাংবাদিকও বিপদে পড়েন। দুটো বিষয়ই আমাদেরকে দেখতে হবে।
খবর প্রকাশের কারণে প্রভাবশালীদের হাতে সাংবাদিক নিহত হওয়ার ঘটনাও কিন্তু ঘটছে।
আরাফাত: আমি একমত। এগুলো তো বাংলাদেশের বা গোটা বিশ্বের একটা বাস্তবতা। এটা ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। আর শুধু সাংবাদিক-সমাজের কথা কেন বলব। রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও যেমন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এগুলো কাঙ্ক্ষিত নয়।
অভিযোগ রয়েছে যে সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলোর বিচার কার্যক্রম শেষ হয় না। সারা দেশে জেলা প্রতিনিধিদের অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রথম আলো একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তাতে দেখা যায়, গত ১৫ বছরে ৩০ জন সাংবাদিকের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার কোনোটিরই বিচারপ্রক্রিয়া এগোয়নি।
আরাফাত: এখানেও আমি আপনার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করব না। আমাদের এখানে শুধু সুনির্দিষ্ট বিষয়ে নয়, সামগ্রিকভাবে বিচারপ্রক্রিয়ায় একটা দীর্ঘসূত্রতা আছে। আমাদের দেশে আদালতের সংখ্যা ও সুবিধা যা আছে, তার ক্ষমতার সঙ্গে তুলনা করলে মামলা হয় অনেক বেশি। সব মিলিয়ে মামলার জট হচ্ছে। এখন মামলার জট কমিয়ে আনতে কাজ হচ্ছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ, আগে এ আইনে মামলা হলে জামিন হতো না, নতুন আইনে জামিন হবে। এছাড়া আর কোনো পরিবর্তন নেই। আইনটিই এমন যে এর মাধ্যমে সরকার ও প্রভাবশালীরা চাইলেই যে কাউকে হয়রানি করতে পারে। এমন একটি আইন রেখে স্বাধীন সাংবাদিকতা বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কীভাবে সম্ভব?
আরাফাত: যেকোনো আইনেরই অপব্যবহারের সুযোগ থাকে এবং অনেক ক্ষেত্রে অপপ্রয়োগও হয়। এটা একটা ভিন্ন বিষয়। এটাকে সাইবার নিরাপত্তা আইন বা সাংবাদিকতার মধ্যে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। সামগ্রিকভাবে আইনের অপব্যবহার রোধের চেষ্টা থাকতে হবে।
দেশে এখন সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন ও ডিজিটাল মাধ্যম। যেভাবে চলছে তাতে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
আরাফাত: প্রযুক্তির পরিবর্তন তো আসছেই। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে যারা এগোবে, তারাই টিকবে। কারণ, গণমাধ্যমের তো একটা বাণিজ্যিক দিকও আছে। বাণিজ্যিক দিকটা দেখতে গিয়ে সাংবাদিকতার প্রশ্নে কম্প্রোমাইজ (সমঝোতা) করা যাবে না। আমি মনে করি, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গণমাধ্যমের কাজ হলো অথরিটিকে (কর্তৃপক্ষ) প্রশ্ন করা, চ্যালেঞ্জ করা। ব্যত্যয় বা ত্রুটি পেলে তার সমালোচনা করতে হবে। এটি সরকারকে সহযোগিতা করবে।
কিন্তু যখনই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল তথ্য দেওয়া হয় বা যখন একটা ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রাসাদসম গল্প তৈরি করে দেখানো হয়, সেখানেই আমাদের আপত্তি। আমাদের দল অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে। আর আমাদের প্রতিপক্ষ হলো জঙ্গিবাদী-মৌলবাদী একটা ধারা। সেখানে গণমাধ্যম যদি তথাকথিত নিরপেক্ষ একটা ভূমিকা নেয় এবং যার কারণে জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ সুবিধা পায়, তখন তর্কটা শুরু হয়।
গণমাধ্যমের বাণিজ্যিক দিকের কথা আপনি বললেন। সংবাদপত্রশিল্প সংকটের মধ্যে রয়েছে। নিউজপ্রিন্টের বাড়তি দাম ও অন্যান্য খরচ একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরাফাত: সংবাদপত্র এখন তো অনলাইনে যাচ্ছে, এটা তো ভালো। এটা পরিবেশগত দিক থেকেও ভালো। এখানে আমারও মনে হয় না প্রিন্ট ভার্সনকে বেশি উৎসাহিত করা উচিত। আমাদের প্রজন্ম বা তার আগের প্রজন্মও কিন্তু এখন অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে। এ ছাড়া সরকারের তো আয় করতে হবে।
বিভিন্ন জাতীয় দিবসে পত্রিকায় সরকারি ক্রোড়পত্র যা দেওয়া হয়, এর কোনো নীতিমালা আছে কি? দেখা যায়, রাজনৈতিক কারণে বা কোনো কারণে পছন্দ হলো না, তখন সেই পত্রিকাকে ক্রোড়পত্র দেওয়া হয় না।
আরাফাত: পছন্দ-অপছন্দ সরকারের থাকে। তবে নীতিমালাও আছে। নীতিমালা মেনেই কাজ হয় বলে আমার ধারণা। তবে অনেক ক্ষেত্রেই আরও স্বচ্ছতা, আরও পেশাদারত্ব আনতে চাই।
একজন নতুন ও অপেক্ষাকৃত তরুণ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আপনার কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করা যায়? আপনার পরিকল্পনার অগ্রাধিকার কী?
আরাফাত: অগ্রাধিকার হচ্ছে গণমাধ্যম, সরকার ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডার (অংশীজন), সবাইকে নিয়ে আমরা একটা পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্যে থাকতে চাই। গণমাধ্যমের ও মতপ্রকাশের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। এটা অনেকটা হয়েছে, আরও এগিয়ে নিতে চাই। একই সঙ্গে গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করার জন্য একত্রে অপতথ্য রোধ করতে চাই।
সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আরাফাত: আপনাকেও ধন্যবাদ।