রাশিয়া ভারতের জন্য বোঝা নয়; খুবই দরকারি অংশীদার

ভারতে জাতপ্রথার বিলোপসাধন, দলিত সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন এবং দেশটির সংবিধান সৃষ্টির অগ্রদূত হিসেবে যাঁকে মনে করা হয়, সেই বাবাসাহেব ভীমরাও রামজি আম্বেদকারের জীবন কংগ্রেস নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শশী থারুর ‘আম্বেদকার: আ লাইফ’ শিরোনামে একটি বই লিখেছেন। এই বইটি নিয়ে শশী থারুরের সাক্ষাৎকার নিয়েছে প্রজেক্ট সিন্ডিকেট। সাক্ষাৎকারে আম্বেদকার প্রসঙ্গ ছাড়াও সমকালীন বিষয়ে কথা বলেছেন থারুর।

শশী থারুর
প্রশ্ন

প্রজেক্ট সিন্ডিকেট: আপনি বলেছিলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ রাশিয়ার ওপর ভারতের ‘দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক ও কৌশলগত নির্ভরশীলতাকে’ একটি দুর্বহ বোঝায় পরিণত করেছে। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মমন্যম জয়শংকরসহ অনেকেই মনে করছেন, এ যুদ্ধ বিশ্বসভায় ভারতের অবস্থানকে আরও সংহত ও শক্তিশালী করবে। আপনি কী মনে করেন? এ বিষয়ে আপনি প্রথম হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ভারতের নীতিনির্ধারক মহলে ভারত-রাশিয়া সম্পর্কবিষয়ক আলোচনায় কোনো ধরনের পরিবর্তন এসেছে কি? একই সঙ্গে এ যুদ্ধ কি এমন কোনো সুযোগ তৈরি করেছে, যা ভারতের লুফে নেওয়া উচিত?

শশী থারুর: এখন পর্যন্ত ভারতীয়রা এ বিশ্বাসে অনড় আছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে ভারতের মর্যাদা বাড়িয়েছে। কারণ, ভারত এখন পর্যন্ত হাতে গোনা সেই কয়টি দেশের মধ্যে নিজেকে ধরে রাখতে পেরেছে, যাদের রাশিয়া ও ইউক্রেন—উভয় শিবির থেকে তোয়াজ করা হচ্ছে এবং উভয় শিবিরের সঙ্গেই দিল্লি খুব সফলভাবে সুসম্পর্ক ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।

এ যুদ্ধের পর ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে অবিশ্বাস্য কম দামে অপরিশোধিত তেল আমদানি বাড়িয়েছে এবং সেই তেল স্থানীয়ভাবে পরিশোধন করে তার একটি অংশ আমেরিকার কাছে তারা বিক্রি করছে। এ কারণেই অনেকে মনে করেন, রাশিয়া ভারতের জন্য বোঝা তো নয়ই বরং খুবই দরকারি এক অংশীদার হিসেবে রয়ে গেছে। অন্যদিকে রাশিয়ার সঙ্গে চীনের ‘অন্তহীন বন্ধুত্ব’ গড়ে তোলার ঘোষণা যখন ওয়াশিংটনের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে, সে মুহূর্তে ভারতের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের কোনো লাভ নেই।

সে কারণে ভারত এখনো আন্তর্জাতিক পরিসরে ক্রমাগত অগ্রগতি লাভ করছে এবং ভারতের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক আন্তর্জাতিক সমালোচনা থমকে আছে। এতে অভ্যন্তরীণ পরিমণ্ডলেও ভারতের পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনা বোধগম্যভাবে প্রায় অস্তিত্বহীন অবস্থায় আছে।

প্রশ্ন

প্রজেক্ট সিন্ডিকেট: আপনি ‘চীনের মাত্রাতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষার লাগাম টানতে অন্যদের সহযোগিতা দেওয়ার বিষয়টিকে স্বীকৃতি’ দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আপনি ভারতকে কোন পন্থায় সেই লক্ষ্যে এগোতে বলেন? আপনি কি মনে করেন, ভারতের ‘মৌলিক প্রতিরক্ষা স্বার্থ’ রক্ষায় অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত চতুর্পক্ষীয় নিরাপত্তা সংলাপ বা কোয়াডের মতো সংগঠনের সঙ্গে গোষ্ঠীবদ্ধ হওয়াটা খুব জরুরি?

শশী থারুর: কোয়াড নামের গ্রুপটিতে নিরাপত্তামাত্রা যোগ করার ক্ষেত্রে গ্রুপটির অন্য সদস্যদের চেয়ে ভারতের আগ্রহ কম। আসলে ভারতের বিরাট অংশের সঙ্গে চীনের সীমান্ত লাগোয়া থাকা এবং মাঝেমধ্যেই ভারতের ঘাড়ে চীনের অগ্নিনিশ্বাস ফেলা ভারতের এই অনীহার একটি বড় কারণ।

ভারতের জোট নিরপেক্ষ থাকার ঐতিহাসিক নীতি এবং বিবদমান যে কোনো পক্ষের সঙ্গে দল পাকানোয় তার অস্বীকৃতির স্পষ্ট অবস্থান থাকা সত্ত্বেও চীনের মাত্রাতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষার রাশ টানতে যে সমন্বিত ও সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা রয়েছে, তাতে ভারতের সায় রয়েছে। আমি কোয়াডকে আরও সম্প্রসারিত করে গ্রুপটিকে ‘কোয়াড প্লাস’-এ রূপান্তরিত করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সেসব দেশকে এতে অন্তর্ভুক্ত করতে আহ্বান জানিয়েছিলাম, যেসব দেশ চীনের পেশিশক্তি প্রদর্শনের বিষয়ে ভারতের মতো একই মনোভাব পোষণ করে। কিন্তু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্য কোনো দেশ এতে অন্তর্ভুক্ত হবে না বলেই মনে হচ্ছে। আদতে নিরাপত্তা চুক্তির বিষয়টি এখনো ভারতের সবচেয়ে মাথাব্যথার কারণ হয়ে আছে।

প্রশ্ন

প্রজেক্ট সিন্ডিকেট: ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলজুড়ে অসম জনসংখ্যা বৃদ্ধির মতো অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জের অভাব নেই। আপনি একবার বলেছিলেন, ‘পরিবার পরিকল্পনা এবং ছোট পরিবারের সুবিধা-সম্পর্কিত অজ্ঞতা’ই হলো ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে দ্রুত জনসংখ্যা বাড়ার ‘বড় কারণ’। তাহলে দক্ষিণের রাজ্যগুলোকে এটি বুঝতে শিখিয়েছে, কোন বিষয়টি এবং কীভাবে দক্ষিণের এ সাফল্যকে উত্তরের রাজ্যগুলোতে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হবে?

শশী থারুর: সাক্ষরতার উচ্চহার, অধিকতর উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস এবং অধিকতর লিঙ্গসমতার মতো মানব উন্নয়ন সূচকে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো নাটকীয়ভাবে উত্তরের রাজ্যগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। এ বিষয়গুলো ভারতের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতাকে ব্যাখ্যা করার দিকে অনেক দূর এগিয়ে নেয়।

তবে উত্তরের মানুষও বদলাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক দশকে উত্তরের রাজ্যগুলোতেও জন্মহার অনেক কমে আসবে। তবে আজ থেকে সিকি শতাব্দী আগে স্বাধীনতা লাভের সময় ভারতে ৩০ কোটি লোক থাকলেও শিগগিরই সেই সংখ্যা ১৭০ কোটিতে পৌঁছাবে।

প্রশ্ন

প্রজেক্ট সিন্ডিকেট: জাতপ্রথার বিলোপসাধন, দলিত সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন এবং ভারতের সংবিধান সৃষ্টির অগ্রদূত হিসেবে যাঁকে মনে করা হয়, সেই বাবাসাহেব ভীমরাও রামজি আম্বেদকারের জীবন নিয়ে আপনার লেখা ‘আম্বেদকার: আ লাইফ’ আপনার লেখা সর্বশেষ বই। আজকের ভারতে সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠীর যে দৌরাত্ম্য ও বর্ণান্ধতার উত্থান ঘটছে। আম্বেদকার থাকলে তিনি কীভাবে এসব মোকাবিলা করতেন বলে মনে করেন?

শশী থারুর: ভারতে এখন যা চলছে, আম্বেদকার বেঁচে থাকলে তার কঠোর বিরোধিতা করতেন, সন্দেহ নেই। ভারতীয় জাতীয়তাবাদকে অহিন্দু চেতনায় গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তিনিই প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত তিনিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে রয়ে গেছেন। এ কারণে হিন্দুত্ববাদীরা তাঁকে ভণ্ড হিসেবে তুলে ধরার বহু চেষ্টা করেছে। আম্বেদকার তাঁর ভাষায় হিন্দু সমাজের অগণতান্ত্রিক প্রকৃতি, যেটি ভারতের অভ্যন্তরে অসাম্য ও অস্পৃশ্যতা ছড়িয়েছিল, যার জন্য পরিতাপ করেছেন। তিনি বিলাপের সুরে বলেছিলেন, ‘যদি ভারতে হিন্দু রাজ প্রতিষ্ঠা পায়, তাহলে এতে কোনো সন্দেহ নেই যে এ দেশে এক মহা বিপর্যয় নেমে আসবে।’

সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদের বিষয়ে আম্বেদকার সুবিদিতভাবে সংবিধান পরিষদকে সংখ্যালঘু সুরক্ষার অত্যাবশ্যকীয়তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, সংখ্যালঘুরা প্রচণ্ড শক্তিশালী বিস্ফোরকের মতো। এটি যদি বিস্ফোরিত হয়, তাহলে তা গোটা রাষ্ট্রের সামাজিক বুননকে ছিন্নভিন্ন করে দিতে পারে।

আম্বেদকার মনে করতেন, ভারতের সংখ্যালঘুদের ‘সংখ্যাগুরুর হাতে তাদের অস্তিত্ব সোপর্দ করতে রাজি করানো’ এবং ‘সংখ্যাগুরু (যারা মূলত রাজনৈতিক সংখ্যাগুরু নয়, বরং সাম্প্রদায়িক সংখ্যাগুরু) সমাজের বশ্যতা মানতে বাধ্য করানো’ হলে সেটি সংখ্যাগুরুর অর্পিত ‘বৈষম্য না করার দায়িত্বের’ বিরুদ্ধে যাবে। সেই মানুষটি এখন বেঁচে থাকলে নিশ্চিতভাবেই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতজুড়ে মাথাচাড়া দেওয়া সংখ্যাগুরুর ধর্মান্ধতার কঠোর প্রতিবাদ করতেন।

প্রশ্ন

প্রজেক্ট সিন্ডিকেট: দলিত সমাজের আইকন হিসেবে আম্বেদকারকে চিত্রায়িত করার বাইরেও আপনি তাঁকে নারীবাদের জোরালো কণ্ঠ হিসেবে তুলে ধরেছেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি জাতপাত ও লৈঙ্গিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে সমানভাবে জোর দিয়েছিলেন। আপনার দৃষ্টিতে ভারতীয় সমাজে নারীর অগ্রগতিতে আম্বেদকারের সাফল্য কোথায়? আম্বেদকারের উত্তরাধিকারের অন্য অংশগুলো কি আশাবহ অগ্রগতি অর্জন করতে পেরেছে বলে মনে করেন?

শশী থারুর: আম্বেদকার তাঁর সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকা একজন মানুষ ছিলেন। ১৯৪২ সালে দেওয়া একটি ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘বিয়ের পর প্রতিটি মেয়েকে তার স্বামীর পাশে সমান মর্যাদা নিয়ে দাঁড়াতে দিন; সে যেন নিজেকে তার স্বামীর সমমর্যাদাসম্পন্ন বন্ধু হিসেবে ভাবতে পারে এবং নিজেকে স্বামীর ক্রীতদাসী হিসেবে মানতে অস্বীকার করতে পারে।’ তিনি এমন একটি সমাজে দাঁড়িয়ে এ কথা বলার সাহস দেখিয়েছিলেন, যা এখনো ভারতের খুব কম মানুষই উদাত্তভাবে সাহসের সঙ্গে বলার ক্ষমতা রাখে।

নারীর অধিকারের প্রতি আম্বেদকারের দৃষ্টিভঙ্গি নারী-পুরুষের সাম্যের প্রতি তাঁর গভীর প্রতিশ্রুতিতে নিহিত ছিল।

আম্বেদকারের উপদেশের ফল হিসেবেই দলিত নারীরা অন্য হিন্দু নারীদের সঙ্গে মিল করে শাড়ি পরার ধরন পাল্টে ফেলেছিলেন, যা তাঁর বিশ্বাসের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ সমতার নীতির একটি দৃশ্যমান প্রতিফল হিসেবে দেখা দিয়েছিল। তিনি নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন সুবিধা আদায়ের ক্ষেত্রেও সফল ভূমিকা রেখেছিলেন।

আম্বেদকার ১৯৩৮ সালে সরকারি অর্থায়নে জন্মনিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনার সমর্থনে বোম্বে আইন পরিষদে একটি প্রস্তাব পাসের চেষ্টা করেছিলেন। রক্ষণশীলদের বিরোধিতায় সেই সময় তাঁর উত্থাপিত সেই প্রস্তাব পাস করা সম্ভব না হলেও তিনি যে বীজ বুনেছিলেন, তা ১৯৭০-এর দশকে জন্মনিয়ন্ত্রণ আইন পাসের মাধ্যমে ফুল হয়ে ফুটেছিল। একইভাবে তিনি হিন্দু কোড বিল নামের একটি প্রস্তাব আইন পরিষদে তুলেছিলেন, যাতে হিন্দু মেয়েদের পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হওয়ার, স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার এবং নিজের সম্পত্তি দেখাশোনার এখতিয়ার তাঁদের নিজেদের দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। রক্ষণশীলদের বাধায় সেটিও তখন পাস হয়নি, কিন্তু ভারতে এখন এসবই আইনে পরিণত হয়েছে।

প্রশ্ন

প্রজেক্ট সিন্ডিকেট: সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণের মতো করে ‘আম্বেদকার: আ লাইফ’ বইটির শুরু হয়েছে এভাবে: এটি শারীরিক শক্তিধর কোনো ব্যক্তির নয়, বরং নতুন নতুন আইডিয়ায় গিজ গিজ করা এক মাথাওয়ালার উত্থানের গল্প; যে গল্পে তাঁরই লেখা ও ভাষণ থেকে বহু উদ্ধৃতি সন্নিবেশ করা হয়েছে। ভারতের বাইরের যে পাঠকেরা আম্বেদকারের আইডিয়াগুলোর সঙ্গে পরিচিত নন, তাঁদের জন্য তাঁর কোন উদ্ধৃতি কিংবা ধারণাকে আপনি হাইলাইট করবেন?

শশী থারুর: সে ধরনের উদ্ধৃতি বা কনসেপ্টের সংখ্যা বহু। সেগুলোর মধ্য থেকে যদি আমাকে একটি তুলে ধরতে বলেন, তাহলে আমি আম্বেদকারের সেই ধারণার কথা বলব, যেটি তিনি সংবিধান পরিষদকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন। সেটি হলো: সমাজ থেকে অস্পৃশ্যতা বিলোপ করাই যথেষ্ট নয়।

হাজার বছরের বৈষম্য ও শোষণ দূর করার জন্য ভারতকে বিশ্বের প্রথম এবং সবচেয়ে দূরদর্শী ইতিবাচক কার্যসূচি তৈরি করতে হয়েছিল, যা নিপীড়িতদের এগিয়ে নিয়েছিল; পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি পরিষেবা, এমনকি সংসদে আসন বরাদ্দ করা নিশ্চিত করেছিল। আজকে ভারতে দলিত, আদিবাসীসহ পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য সুযোগ সংরক্ষণের মাধ্যমে যে সাম্যের অগ্রযাত্রা চলছে, তা আম্বেদকারের সুবাদেই সম্ভব হচ্ছে।