সাক্ষাৎকার

সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে হাঙ্গার প্রজেক্ট

ড. বদিউল আলম মজুমদার, কান্ট্রি ডিরেক্টের, হাঙ্গার প্রজেক্ট। ১৯৭৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাব্রতী সংগঠনটির বিস্তৃতি বিশ্বের অনেকগুলো দেশে। বাংলাদেশে এ সংগঠনের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯১ সালে। বদিউল আলম মজুমদার হাঙ্গার প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত হন ১৯৯৩ সালে। তাঁর নেতৃত্বে হাঙ্গার প্রজেক্ট দেশকে ক্ষুধা–দারিদ্র্যমুক্ত করতে ও মানুষের আর্থ–সামাজিক পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনটির কার্যক্রম, সাফল্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বদিউল আলম মজুমদারের সঙ্গে কথা বলে প্রথম আলো। সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন রাফসান গালিব

বদিউল আলম মজুমদার
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ
প্রশ্ন

হাঙ্গার প্রজেক্ট নিয়ে আপনি ৩০ বছর কাটিয়ে দিলেন। কখন এবং কী উদ্দেশ্যে দেশে সংস্থাটি যাত্রা শুরু হয়?

বদিউল আলম মজুমদার: বাংলাদেশে হাঙ্গার প্রজেক্টের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯১ সালে। আমি ১৯৯৩ সালের মে মাসে হাঙ্গার প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত হই। ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থান পরিবর্তনের জন্য তো সরকার ও অনেক বেসরকারি সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে, আমরা যখন কাজ শুরু করি, তখন অনেককেই জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কোন জিনিসটার অভাব আছে? যেটি পূরণ হচ্ছে না এবং যার কারণে ক্ষুধা-দারিদ্র্যের সমস্যাগুলো এখনো আমাদের দেশে প্রকট।

সরকারের নীতিনির্ধারক, অনেক বড় বড় মানুষ, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যেমন ড. ফজলে হাসান আবেদ, ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অনেকের সঙ্গেই আমরা কথা বলেছিলাম। তো তাঁরা বলেছিলেন, তখনকার সময়ে মানে নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে, একটা পরনির্ভরশীলতার মানসিকতা আমাদের রয়ে গেছে এখনো। সে সময় আমাদের বাজেটের বড় অংশ আসত বিদেশি সহায়তা থেকে। মুক্তিযুদ্ধে ফলে আমাদের অনেক কিছুই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, সেসবের সংস্কার এবং মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের জন্য সারা বিশ্ব থেকে অনেকে সহায়তা করেছে। সেটি কিন্তু একপর্যায়ে আমাদের মধ্যে পরনির্ভরশীলতার মানসিকতাও সৃষ্টি করে। রেহমান সোবহানের ভাষায়, তখন বিদেশিদের মানে দাতাদের দেখলেই আমরা হাউমাউ করে কান্না করে দিতাম আর বলতাম—আমরা গরিব, আমাদের সাহায্য করো, নয়তো আমাদের ভবিষ্যৎ নেই।

সেই পরনির্ভরশীলতার মানসিকতাকে জয় করতেই আমাদের যাত্রা শুরু হয়। হতাশা ও নিরাশা দূর করে মানুষ যাতে নিজের ভাগ্য নিজেই পরিবর্তনের জন্য উদ্যোগ নেয়, সে জন্য আমরা কাজ শুরু করি। একদিকে মানুষকে জাগ্রত করা, উজ্জীবিত করা, অনুপ্রাণিত করা, পাশাপাশি অ্যাডভোকেসি করা, যাতে সরকারের নীতিনির্ধারণে পরিবর্তন আসে। এর জন্য সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে আমরা অ্যাডভোকেসি শুরু করলাম।

প্রশ্ন

হাঙ্গার প্রজেক্টের সঙ্গে আপনার যুক্ত হওয়ার পটভূমিকাটা জানতে চাচ্ছি।

বদিউল আলম মজুমদার: আমি একসময় ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। ’৬৯-এর গণ–অভ্যুত্থানের সময় তখনকার ইকবাল হল, এখনকার জহুরুল হক হলের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। আমাদের হাত ধরেই ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থান হয়। তোফায়েল আহমেদ আর আমি একই ক্যাবিনেটে ছিলাম। এর আগে আমি শিক্ষা আন্দোলন, ছয় দফার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। তো দেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে আমারও অংশগ্রহণ ছিল, আমারও ভূমিকা ছিল। ফলে আমার মধ্যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়, দেশের জন্য কিছু করার। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হই। পরে দেশের বাইরে যাই। ১৯৯১ সালে দেশে ফিরে আসি এবং ১৯৯৩ সালে হাঙ্গার প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত হই।    

প্রশ্ন

হাঙ্গার প্রজেক্ট বলে থাকে, এটি গতানুগতিক কোনো এনজিও নয়। এটি একটি সামাজিক আন্দোলন। বিষয়টি ব্যাখ্যা করবেন কি?

বদিউল আলম মজুমদার: প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আনিসুর রহমান একটি বই লিখেছিলেন—যে আগুন জ্বলেছিল। মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে নিঃস্বার্থভাবে দেশের তরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, সেভাবে যাতে মানুষ নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে ও সমাজ গঠনে কাজ করে, এমন উদ্যোগ তাঁরা নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি নিয়ে তাঁরা এগোতে পারেননি। সেই ব্যর্থতা বা হতাশা থেকে এ শিরোনামে বইটি লিখেছিলেন তিনি। পরে তিনি যখন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন এবং বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে আমাদের কার্যক্রমগুলো দেখেন, তখন লিখলেন—যে আগুন এখনো জ্বলছে।

রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, দারিদ্র্য হলো ভূতের ভয়ের মতো। একা আসলে ভূতের ভয় দূর করা যায় না। এর জন্য সংগঠিত হতে হয়। আমরা আসলে সেই ভূত তাড়ানোর কাজটিই করছি। এটি একধরনের সামাজিক আন্দোলনই। কারণ, আমরা যা করি, এর জন্য খুব একটা অর্থ খরচ করা লাগে না। বাল্যবিবাহ রোধ, যৌতুক বন্ধ করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকা, ধূমপান ত্যাগ করা, নিরাপদ পানি পান করা—এসব কাজের জন্য মানুষকে সংগঠিত ও সচেতন করাই যথেষ্ট। এটিই আমরা করি। এসবের জন্য আমাদের সতেরো শ-আঠারো শর মতো সংগঠন রয়েছে সারা দেশে। তারাই স্থানীয় পর্যায়ে এসব কাজ করে। সংগঠনের মানুষেরা তাঁদের কাজের জন্য ফান্ড ও সঞ্চয় গড়ে তুলেছেন। কোটি কোটি টাকার ফান্ড। আমরা সেসব স্পর্শও করি না। তাঁরা সেগুলো নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেদের উন্নয়ন বা ভাগ্য পরিবর্তন বা দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যবহার করেন।

আমরা বারো শ গ্রামে মানুষকে সংগঠিত করেছি। করোনার সময় কিন্তু আমাদের এই সচেতনতার কাজ বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তিকে এমনকি দরিদ্র ও পিছিয়ে থাকা ব্যক্তিকেও সুরক্ষার জন্য গ্রামে গ্রামে আমাদের স্বেচ্ছাব্রতীরা কাজ করেছেন। গ্রামগুলোকে করোনাসহিষ্ণু করতে সচেষ্ট থেকেছেন। সেসব গ্রামে সংক্রমণের হার কম ছিল। এ রকম কিছু গ্রামের কথা আপনাদের পত্রিকায়ও প্রকাশ পেয়েছে। এমন কাজে বিশেষজ্ঞরা আমাদের প্রশংসা করেছেন।

প্রশ্ন

হাঙ্গার প্রজেক্ট সরাসরি কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করে না বলে আমরা জানি। তাহলে তাদের কার্যক্রম বা কর্মসূচি কীভাবে পরিচালিত হয়?

বদিউল আলম মজুমদার: অন্যান্য বেসরকারি সংস্থার মতো আমরা কিন্তু ক্ষুদ্রঋণ দিই না বা আমাদের কোনো সেবামূলক কার্যক্রম নেই। আমরা মানুষকে অনুপ্রাণিত, উদ্বুদ্ধ ও সংগঠিত করার কাজ করি। তারা যাতে সরকারি-বেসরকারি সহায়তা, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বিভিন্ন ভাতা ইত্যাদি ঠিকমতো পায়, সেগুলোর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারে, সেটির জন্য সচেতনতামূলক কাজ করি। স্থানীয় সরকারের ক্ষেত্রে আমরা ভূমিকা রাখছি। স্থানীয় নেতৃত্ব বা জনপ্রতিনিধিরা কিছু ত্রাণ বিতরণ করা, বিচার-সালিস করা এসব গতানুগতিক কার্যক্রমের বাইরে আসতে পারে, সে ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদ অনুসারেও স্থানীয় পর্যায়ে সরকারি যত সুযোগ-সুবিধা ও সেবা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে হওয়ার কথা। সেটিকেই আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। নারী, তরুণ, স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে তৃণমূলের মানুষকে আমরা সংগঠিত করছি।

প্রশ্ন

আপনাদের কর্মসূচিতে তৃণমূল পর্যায়ের নারী ও তরুণ সমাজকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এটি কেন?

বদিউল আলম মজুমদার: তরুণেরা এখনো পরনির্ভরশীল হয়ে পড়েনি, তারা উদ্যোগী হতে পারে, দুঃসাহসী হতে পারে, ঝুঁকি নিতে পারে। এ জন্য তরুণদের নিয়ে ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার নামে একটি বিশাল স্বেচ্ছাব্রতী কর্মসূচি শুরু করলাম। এর মাধ্যমে আমরা লাখখানেক তরুণ-তরুণীর সঙ্গে কাজ করি। নারীদের সংগঠিত করার আমাদের কর্মসূচিটি হলো, বিকশিত নারী নেটওয়ার্ক। এখানে নারীরা স্বেচ্ছাব্রতী হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯৫ সালে জাতিসংঘের বেইজিং কনফারেন্সের পরে নারীর অধিকারের বিষয়টি সুস্পষ্ট হলো। এশিয়ান এনিগমা নামে ইউনিসেফের একটি স্টাডি ছিল। সেখানে দেখা গেছে, এ দেশে অপুষ্টি যেটিকে বলা হয় দীর্ঘমেয়াদি ক্ষুধা, এর মূল কারণ হলো নারীদের প্রতি বঞ্চনা ও অবহেলা। এ জন্য আমরা নারী নিয়ে কাজ করার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়েছি। নারী যদি শিক্ষিত হয়, সচেতন হয়, তার সন্তানও শিক্ষিত ও সচেতন হয়। নারী যদি আয় করে পরিবারের কল্যাণে বেশি ব্যয় করে। নারী যদি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়, সন্তানও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়। ফলে নারীকে এগিয়ে নিতে পারলে একটি পরিবার এগিয়ে যায়। এভাবে গোটা জাতি এগিয়ে যায়।  

প্রশ্ন

তো যে লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে আপনারা কাজ করছেন, তা কতটা পূরণ করা গেছে বা করতে পারছেন বলে মনে করেন?

বদিউল আলম মজুমদার: আমরা ২০০০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সময়ে এমডিজি লক্ষ্য অর্জনে কাজ করেছি। সেখানে ব্র্যাক আমাদের সহযোগিতা করেছে। যেসব এলাকায় আমরা কাজ করেছি, সেখানে এ ক্ষেত্রে ব্যাপক সফলতা এসেছে। এরপর এখন এসডিজি ব্যাপ্তিকালেও এর লক্ষ্য অর্জনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সেখানেও সাফল্য এসেছে, আসছে।

বর্তমান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী যখন সিনিয়র সচিব ছিলেন, তিনি এসডিজি অর্জনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। তিনি আমাদের মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তাঁর অভিজ্ঞতা নিয়ে দুটি পত্রিকায় লিখেছিলেন এবং আমাদের কার্যক্রম নিয়ে প্রশংসা করেছিলেন। আমেরিকান একাডেমি অব সায়েন্সেস মতো বিদেশি নামী-দামি জার্নালে আমাদের কাজের সফলতা সম্পর্কে লেখা হয়েছে।

আমরা মনে করি, বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। স্বাধীনতার পর যে অবস্থায় ছিল, সেই অবস্থায় তো অবশ্যই নেই। এর জন্য অনেকগুলো পক্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোও।

বাংলাদেশের ‘ডেভেলপমেন্ট সারপ্রাইজ’ নিয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের একটি লেখা আছে। দুর্নীতি, অনিয়ম, অসংগতি, আইনের শাসনের অভাব এত কিছুর মধ্যেও বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার বড় একটি কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, মানুষ অনেক সচেতন হয়েছে, তাদের অভ্যাসের পরিবর্তন হয়েছে। নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের মতো বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। এর ফলে মানব উন্নয়ন সূচকে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছি। এগুলোর পেছনে বেসরকারি সংস্থাগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সেখানে আমরাও আছি বলে বিশ্বাস করি।

প্রশ্ন

সামনের দিনগুলোয় হাঙ্গার প্রজেক্টের পরিকল্পনা কী?

বদিউল আলম মজুমদার: এখন বাংলাদেশ তো একটি পর্যায়ে এসেছে। এখন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ২০৪১ সালে আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি হব। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ হব। কিন্তু তার মাঝখানে আমাদের মধ্য আয়ের দেশ হতে হবে। তবে ‘মিডল ইনকাম ট্র্যাপ’ বলে একটি কথা আছে। এই ফাঁদে কিন্তু অনেক দেশ পড়েছে। এর থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। স্বল্প উন্নত থেকে মধ্য আয়ের দেশে আর যেতে পারেনি। এই ট্র্যাপে যাতে আমরা না পড়ি, এর জন্য অনেক কাজ করতে হবে। সুশাসনের জন্য শাসনপ্রক্রিয়ায় অনেক পরিবর্তন আনতে হবে, গণতন্ত্রের ঘাটতিগুলো দূর করতে হবে।

স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য নাগরিককেও স্মার্ট হতে হবে। ব্রিটিশ আমল থেকে আমরা দু–দুবার স্বাধীন হয়েছি, কিন্তু এখনো নাগরিক হয়ে উঠতে পারিনি। মানে আমাদের মধ্যে নাগরিকত্ববোধ সৃষ্টি হয়নি বা অর্জন করতে পারিনি। মানুষকে সংগঠিত ও সচেতন করার মধ্য দিয়ে আমরা এটি নিয়ে আরও বেশি কাজ করতে চাই। রাজনীতিতে, জাতিগত, সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে আমরা মানুষকে হানাহানি, ঘৃণাবোধ, অসহিষ্ণুতা থেকে মুক্ত করতে চাই। সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এগুলো বড় বাধা। এসব বাধা অতিক্রম করতে না পারলে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব না। কিছু টিকেও থাকবে না।