কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন নাহিদ ইসলাম। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হন নাহিদ। বর্তমানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন। সমন্বয়ক থেকে উপদেষ্টা, তাঁর মন্ত্রণালয়ের সংস্কার, নতুন রাজনৈতিক দল গঠন, আড়ি পাতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে। গত বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আরিফুর রহমান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক ছিলেন আপনি। এক মাসের ব্যবধানে আপনি নতুন সরকারের একজন উপদেষ্টা। দায়িত্ব পালনে আপনার অভিজ্ঞতা ও মন্ত্রণালয়গুলোর সংস্কার নিয়ে আপনার ভাবনা জানতে চাই।
নাহিদ ইসলাম: অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হওয়া আমার জন্য বড় কিছু নয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন। যেটা মানুষের কল্পনার বাইরে ছিল। ছাত্রদের নেতৃত্বে স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি এক অভূতপূর্ব ঘটনা। এ আন্দোলনে অনেকে শহীদ হয়েছেন, অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ছাত্র-জনতার ওপর এত নিষ্ঠুরতা হয়েছে, কেউ ভাবতেও পারেনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর একটা বিশেষ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। রাজপথে যে ভূমিকা পালন করেছি, সরকারে বসে একই কাজ করছি। আমরা সরকারে থেকে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে চাই। দায়িত্ব অনেক বেশি। তবে আমাদের অভিজ্ঞতার ঘাটতি রয়েছে। মনে রাখতে হবে, ১৬ বছরের ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশটাকে টেনে তুলতে হচ্ছে। যেখানে যেখানে সংস্কারের প্রয়োজন, তা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।
অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা এখানে এসেছি। সেই রক্তের প্রতিদান দেওয়াটা বড় প্রতিশ্রুতির জায়গা। এই যে দায়িত্ব ও ভার, তা প্রতিনিয়ত নিজেকে ভাবায়। একদিকে ভাই হারানোর বেদনা, অন্যদিকে অভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি রক্ষা—এ জন্য দায়বদ্ধতা বেশি কাজ করে।
আপনার মন্ত্রণালয়গুলোর অধীনে আছে টেলিটক, বিটিআরসি, বাসস, বিটিভি, ডাক বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার নিয়ে কী ভাবছেন?
নাহিদ ইসলাম: প্রতিটি বিভাগেই সমস্যা আছে। তবে সমস্যার ধরন আলাদা। তাই সমস্যা নিরূপণ করতে হচ্ছে আলাদাভাবে। একটা উদাহরণ দিয়ে বলি, ডাক বিভাগ কী কাজ করে? এ বিভাগের পরিচয়-সংকট আছে। সংস্থাটির কাছ থেকে জনগণ সুবিধা পায়। কিন্তু জনগণের কাছে তা স্পষ্ট নয়। সরকারের জায়গা থেকে ডাক বিভাগের প্রতি একটা অবহেলা ছিল। এটিকে প্রাচীন চিঠির যুগের ব্যবস্থা মনে করা হয়। আমরা ডাক বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সংস্কারের প্রস্তাব চেয়েছি। তাদের কাছে সংস্কার প্রস্তাব চাওয়ার কারণ হচ্ছে, তারাই বলতে পারবে সমস্যাটা আসলে কোথায়। তারা কী চ্যালেঞ্জ দেখছে। সরকারের কাছে তাদের প্রত্যাশা কী। মূল যে জাতীয় নীতিকৌশল প্রণয়ন করা হবে, সেখানে সব রাষ্ট্রীয় সংস্থার সংস্কারের প্রতিফলন থাকবে।
আমরা চাই, বিটিভি জনগণের মিডিয়া হয়ে উঠুক। সেটি করতে গিয়ে যদি নীতিগত সংস্কারের প্রয়োজন হয়, স্বায়ত্তশাসনের প্রয়োজন হয়, আমরা তা করব। আমরা চাই, সরকারের চেয়ে বরং বিটিভি জনগণের কথা বলবে। তবে বিটিভির আধুনিকায়ন প্রয়োজন। নতুন প্রজন্মের উপযোগী অনুষ্ঠান প্রয়োজন। বিটিভিতে কী ধরনের সংস্কার প্রয়োজন, কী ধরনের সংস্কার করলে বিটিভির ওপর জনগণের আস্থা ফিরবে, তা নিয়ে সাংবাদিকদের মতামত নেওয়া হবে। অনানুষ্ঠানিকভাবে এখন অনেকের সঙ্গে কথা হচ্ছে। প্রয়োজনে বিটিভি সংস্কারে কমিশন করা হবে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় একাধিকবার ইন্টারনেট-সেবা বন্ধ করে দিয়েছিল হাসিনা সরকার। ভবিষ্যতে কোনো সরকার যাতে এই কাজটি করতে না পারে, সে বিষয়ে আপনার ভাবনা কী?
নাহিদ ইসলাম: আপনি ইন্টারনেট-সেবাকে কীভাবে দেখছেন, সেটি দেখার বিষয়। আপনি কি এটিকে সাধারণ সেবা হিসেবে দেখছেন, নাকি মানবাধিকার হিসেবে দেখছেন। আপনি যদি মানবাধিকার হিসেবে দেখেন, চাইলেই ইন্টারনেট-সেবা বন্ধ করে দিতে পারেন না। এটা সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতিকৌশলের ওপর নির্ভর করবে। অন্তর্বর্তী সরকার ইন্টারনেট-সেবাকে মানবাধিকার হিসেবে দেখছে। ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া মানে হচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছেন। ফলে কোনো কিছুর দোহাই দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজটি করার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ সরকার ইন্টারনেট গায়ের জোরে বন্ধ করেছিল। কোনো প্রশাসনিক নিয়মনীতি মেনে বন্ধ করা হয়নি। মোবাইলের মেসেজ দিয়ে দায়িত্বশীল সবাইকে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিল।
কতৃর্ত্ববাদী সরকার তৈরি হলে এ ধরনের ক্ষমতার চর্চা হয়। আমরা যদি দেশে গণতন্ত্রের চর্চা রাখতে পারি, তাহলে এ ধরনের সমস্যা হবে না। আমরা পর্যালোচনা করছি, প্রশাসনের ভেতরে কী ধরনের নিয়মনীতি থাকলে কেউ চাইলেই এভাবে ইন্টারনেট-সেবা বন্ধের নির্দেশ দিতে পারবে না।
দেশে ইন্টারনেটের খরচ বেশি, এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কথা হচ্ছে। কিন্তু ইন্টারনেটের দাম কমানো কিংবা সেবার মান বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ বিগত সময়ে দেখা যায়নি। অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নেবে কি না।
নাহিদ ইসলাম: দীর্ঘদিন ধরে জনগণ দাবি জানিয়ে আসছে; ইন্টারনেটের মেয়াদ নিয়ে ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর এ বিষয়টি নিয়ে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা আবার এটাও বিবেচনা করছি যে কোম্পানিগুলো যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এখানে দুই পক্ষের বিষয়টি দেখতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবছি।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিগত ১৫ বছরে প্রচুর অর্থের বিনিয়োগ হয়েছে। একই সময়ে সেসব অর্থের অপচয়, অনিয়ম ও দুর্নীতির খবরও প্রকাশিত হচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছেন?
নাহিদ ইসলাম: বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে অনিয়ম ও দুর্নীতির সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র ছিল তথ্যপ্রযুক্তি খাত। সেখানে প্রকল্পের নামে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এর সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন আগের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ ও শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। তাঁরা তাঁদের বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ব্যক্তিগত মানুষকে দিয়ে প্রকল্প থেকে সুবিধা নিয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে যত টাকা ব্যয় করা হয়েছে, সে সুবিধা মানুষ পায়নি। যার প্রমাণ পাওয়া যায়, তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন সূচকের দিকে তাকালে। দেখা যায়, ওই সব সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান নিচের দিকে।
বিগত সরকারের অনিয়ম ও দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আমরা ঘোষণা দিয়েছি, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দেওয়া হবে। আর যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। কোন খাতে কত টাকা খরচ হয়েছে, তা দেখা হচ্ছে।
বিগত সরকারের সময়ে আড়ি পাতা ব্যাপক হারে বেড়েছিল। ওই সময়ে ব্যক্তিগত অনেক অডিও ফাঁস হয়েছিল। এ ছাড়া সরকারি বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকেও বিভিন্ন সময়ে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
নাহিদ ইসলাম: আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা বিভিন্ন সময় এ কাজগুলো করে এসেছে। ব্যক্তিগত তথ্য জনসমক্ষে ফাঁস করেছে। সরকার নাগরিকের তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করে থাকে। কিন্তু বিগত সরকার তা করেনি। ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করা ব্যক্তির অধিকার পরিপন্থী। রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে কখনো ব্যক্তির তথ্য গ্রহণ করা লাগলেও সেটিকে জনসমক্ষে নিয়ে আসাটা আমরা গ্রহণযোগ্য মনে করি না।
জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমএসি) একটা দায়মুক্তি (ইনডেমনিটি) পেয়ে গেছে বিগত সরকারের সময়ে। তাদের আইনি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসা হবে। ব্যক্তিগত তথ্য নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে আদালতের সঙ্গে যুক্ত করা যেতে পারে। তাহলে তারা নিয়ন্ত্রণে আসবে। বিভিন্ন জায়গা থেকে এমন কিছু প্রস্তাব আমরা পাচ্ছি। মোবাইল ফোনে আড়ি পাতা ও এনটিএমসির কর্মকাণ্ড নিয়ে পর্যালোচনা চলছে।
আর সাইবার সিস্টেম ও সরকারি ডেটা সেন্টারগুলোকে অতিরিক্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনের সঙ্গে কথা হচ্ছে। আমরা সীমান্ত নিরাপত্তার মতো সাইবার নিরাপত্তাকে সমান গুরুত্ব দিচ্ছি। সরকারি ওয়েবসাইট মাঝেমধ্যে হ্যাক হয়ে যাচ্ছে। উন্নত বিশ্বে কোন ধরনের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, তা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। সরকারি ওয়েবসাইট সম্পূর্ণ নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনে বিশেষ দল গঠনের বিষয়টি ভাবা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গণমাধ্যম নিয়ে অনেক আইন করা হয়েছে, যেগুলোর সমালোচনা হয়েছে। সেসব আইন সংশোধন বা বাতিল নিয়ে আপনারা কী চিন্তা করছেন?
নাহিদ ইসলাম: বিগত সরকারের সময়ে গণমাধ্যম নিয়ে প্রণীত আইনগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সাংবাদিকেরা যেসব বিষয়ে সমালোচনা করছে, তা বিবেচনা করা হচ্ছে। গণমাধ্যম কমিশনে আরও স্পষ্ট কিছু থাকবে। আমরা বলেছি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক যেসব আইন রয়েছে, তা সংশোধন করা হবে। সাইবার নিরাপত্তা আইন মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে। এসব আইন সংশোধন ও বাতিলের বিষয়ে আমরা ভাবছি।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা স্বাভাবিক কাজ করছেন না। এ বিষয়ে আপনারা কী ভাবছেন?
নাহিদ ইসলাম: বিগত সরকার পুলিশ বাহিনীকে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। সে কারণে পুলিশ বাহিনী এখন ইমেজ সংকটে ভুগছে। আন্দোলনে নেতিবাচক ভূমিকার কারণে পুলিশের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বিচারপ্রক্রিয়া কী হবে, সেটা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বিধা আছে। ভয় আছে। এ জন্য অনেক পুলিশ সদস্য কাজে যোগ দিচ্ছেন না। এ বিষয়ে কথা হচ্ছে, যাঁরা প্রকৃত দোষী, তাঁদের বিচার হবে। আর যাঁরা নিরপরাধ, তাঁদের শাস্তি হবে না।
পুলিশ বাহিনী সংস্কারে একটি কমিশন হয়েছে। কিছু সংস্কারের দাবি এসেছে। তা নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। যাতে ভবিষ্যতে কোনো সরকার পুলিশ বাহিনীকে দলীয় কাজে ব্যবহার করতে না পারে। পুলিশ নিজেরাও চায় না দলীয় কাজে ব্যবহার হতে। তারা রাষ্ট্রের জন্য কাজ করতে চায়। পুলিশের কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখতে পারব খুব শিগগির।
আপনারা নতুন রাজনৈতিক দল করতে যাচ্ছেন, এ নিয়ে আলোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে। এ বিষয়ে জানতে চাই।
নাহিদ ইসলাম: এখনো রাজনৈতিক দল করার সময় আসেনি। রাজনৈতিক দল করা বা না করার বিষয়ে কিছুই ভাবছি না। আমরা যে দায়িত্বে আছি, সেটা সঠিকভাবে পালন করতে চাই। এখন আমাদের বড় কাজ দেশ গঠন করা। সব রাজনৈতিক দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে জনগণের মধ্যে যে ঐক্য এসেছে, আমাদের কাজ হচ্ছে সেটিকে বজায় রাখা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যে ঐক্যে চিড় ধরার খবর শোনা যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় সমন্বয়কের নামে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সমালোচনা শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন কি না।
নাহিদ ইসলাম: আন্দোলনের শুরু থেকেই আমাদের ঐক্য নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। সেটি মোকাবিলা করেছি। নতুন বাংলাদেশ গড়তে আমাদের পথচলা কেবল শুরু। ফলে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। যেকোনো মূল্যে আমাদের এই ঐক্য ধরে রাখতে হবে। নিজেদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি নিরসন করতে হবে। যারা ষড়যন্ত্রকারী, তাদের কোনো ধরনের সুযোগ দেওয়া হবে না। বাংলাদেশ এক সংকটকাল পার করছে। এ কারণে সারা দেশে সমন্বয়কদের সঙ্গে আগের মতো যোগাযোগ হয়ে উঠছে না।
কাজের চাপ অনেক বেশি। নানা ধরনের ভুলভ্রান্তি হচ্ছে। আবার অনেকে সমন্বয়কদের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করছেন। এমন তথ্য আমরা পাচ্ছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যাঁরা যাঁরা নেতৃত্বে আছেন, তাঁদের পক্ষ থেকে নির্দেশনা গেছে, কোনো সমন্বয়ক যদি অপকর্ম ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
নাহিদ ইসলাম: আপনাকেও ধন্যবাদ।