ড. শামসুদ্দিন শহিদ ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মালয়েশিয়ায় পানি ও পরিবেশ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। থমসন রয়টার্স থেকে ২০২১ সালে তাঁকে বিশ্বের শীর্ষ এক হাজার জলবায়ুবিজ্ঞানীর একজন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। চলমান দাবদাহ, অপরিকল্পিত নগরায়ণের সঙ্গে গরমের সম্পর্ক, গরম নিয়ন্ত্রণে অন্য দেশের অভিজ্ঞতা—এসব বিষয়ে শামসুদ্দিন শহিদ কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইফতেখার মাহমুদ
এবার ঢাকায় যে গরমের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে, তা কি স্বাভাবিক?
শামসুদ্দিন শহিদ: পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে তাপপ্রবাহ বইছে। ভারতের অনেক শহরের তাপমাত্রা এখন ঢাকার চেয়ে অনেক বেশি। এমনকি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যেসব জেলায়, যেমন চুয়াডাঙ্গা, যশোর ও নওগাঁয়, সেখানে তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকছে। ভারতের অনেক শহরে এই মাসে নিয়মিতভাবে এর চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকছে। ওডিশা, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের তাপমাত্রা ৪৩ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠছে। পূর্ব এশিয়ার মালয়েশিয়া, লাওস ও চীনের অনেক শহরে গ্রীষ্মের এ সময়ে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকে। ঢাকার তাপমাত্রা এসব শহরের চেয়ে কম থাকলেও গরমের অনুভূতি এখানে অনেক বেশি। এর কারণ যতটা না আবহাওয়াগত, তার চেয়ে বেশি অপরিকল্পিতভাবে তৈরি হওয়া নগরায়ণ । আর কোনো একটি এলাকায় উষ্ণতার কারণে মানুষের কষ্টকে আমরা শুধু তাপমাত্রা দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারছি না।
তাহলে আমরা একে কীভাবে ব্যাখ্যা করব?
শামসুদ্দিন শহিদ: বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ উষ্ণতার বিপদ থেকে তার জনগণকে রক্ষা করতে নানা ধরনের বৈজ্ঞানিক তথ্যনির্ভর উপায় বেছে নিয়েছে। যেমন থাইল্যান্ডসহ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো হিট ইনডেক্স ব্যবহার করছে। এই ইনডেক্স তাপমাত্রার পাশাপাশি বাতাসের প্রবাহ, আর্দ্রতা, বিকিরণসহ নানা ধরনের আবহাওয়াগত উপাদানের তারতম্যকে মাথায় নিয়ে তৈরি করা। তবে বেশির ভাগ দেশে ওয়েট বাল্ব গ্লোব টেম্পারেচার বা অতি উষ্ণ ও আর্দ্র তাপমাত্রার ধারণা জনপ্রিয় হচ্ছে। এ ধারণার মাধ্যমে নাগরিকদের কষ্ট থেকে রক্ষা পেতে সাবধানতার বিষয়টিকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে তুলে আনা যায়। তাদের পূর্বাভাস দিয়ে পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশে এই অতি উষ্ণ ও আর্দ্র তাপমাত্রার ধারণার ভিত্তিতে নাগরিকদের অ্যালার্ট দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর তো এখন পর্যন্ত তাপমাত্রা ও তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দেয়। অতি উষ্ণ ও আর্দ্র তাপমাত্রার বিষয়টিকে তারা কীভাবে দেখছে?
শামসুদ্দিন শহিদ: আমরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। বাংলাদেশের জন্য অতি উষ্ণ ও আর্দ্র তাপমাত্রার ভিত্তিতে পূর্বাভাস দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বাংলাদেশের তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠলেই তীব্র গরমের অনুভূতি তৈরি হয়। অতি উষ্ণ ও আর্দ্র তাপমাত্রার কারণে তা হয়ে থাকে। ফলে শুধু তাপপ্রবাহ দিয়ে পরিস্থিতিকে বোঝা যাচ্ছে না।
অতি উষ্ণ ও আর্দ্র তাপমাত্রার বিপদে আমরা কতটুকু আছি?
শামসুদ্দিন শহিদ: বাংলাদেশসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়ার অধিবাসীদের জন্য গ্রীষ্মকাল বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এ মৌসুমে উষ্ণতম দিনের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সামগ্রিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার ৬৬ শতাংশ মানুষ ওয়েট বাল্ব গ্লোব টেম্পারেচার বা অতি উষ্ণ তাপমাত্রার ঝুঁকিতে রয়েছে। ১৯৭৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রতি এক দশকে গ্রীষ্মকালে এ ধরনের দিনের সংখ্যা এক থেকে তিন দিন করে বাড়ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় এ ধরনের তাপমাত্রা বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। কোনো এলাকার তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে এবং তা যদি ছয় ঘণ্টা স্থায়ী হয়, তবে এমন অবস্থাকে অতি উষ্ণ তাপমাত্রা বলা হয়। বাংলাদেশে, বিশেষ করে ঢাকায় মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে এ ধরনের আবহাওয়া বাড়ছে।
এ ধারণা কীভাবে এল?
শামসুদ্দিন শহিদ: ষাটের দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাসদস্যরা গরমের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তেন। তখন দেশটির বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো গরমে মানুষের কষ্ট ও ঝুঁকি বোঝার চেষ্টা করেন। এ জন্য তাঁরা উচ্চ তাপমাত্রার পাশাপাশি আর্দ্রতা, বাতাসের প্রবাহ, কোনো একটি এলাকায় কত সময় ধরে বেশি উষ্ণতা থাকছে তার সময় এবং সূর্যকিরণ কোনো দিক থেকে আসছে—এ সবকিছু বিবেচনায় নেন। সম্মিলিতভাবে আবহাওয়ার ওই সব কটি অবস্থা মিলিয়ে একটি সূচক তৈরি করেন, যার নাম দেওয়া হয় ওয়েট বাল্ব গ্লোব টেম্পারেচার বা অতি উষ্ণ ও আর্দ্র তাপমাত্রা। মানুষের ওপর ওই তাপ কতটুকু পড়ছে এবং তারা কীভাবে এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তা বোঝার জন্য সূচকটির ব্যবহার শুরু করেন তাঁরা।
পরবর্তী সময়ে দ্রুত বাড়ছে বা বড় হচ্ছে—বিশ্বের এমন শহরগুলোয় অতি উষ্ণ ও আর্দ্র তাপমাত্রার ধারণাটি দিয়ে গ্রীষ্মকালের আবহাওয়াকে ব্যাখ্যা করা হয়।
অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে কীভাবে তাপমাত্রা বাড়ে?
শামসুদ্দিন শহিদ: সাধারণত তাপপ্রবাহ হচ্ছে একটি উষ্ণ বায়ুপ্রবাহ, যা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হয়। যে অঞ্চলের ওপর তা প্রবাহিত হয়, সেখানে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু ওই তাপের পাশাপাশি যদি বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে, তাহলে গরমের অনুভূতি বেড়ে যায়। কোনো এলাকায় যদি কংক্রিটের অবকাঠামো বেশি থাকে, দিনের সূর্যের আলো সেখানে জমা হয়। এ কারণে বয়ে যাওয়া তপ্ত বায়ুর সঙ্গে জমে থাকা ওই তাপ যুক্ত হয়ে গরমের অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়। গাছপালা কম থাকলে ওই গরমের অনুভূতি থেকে রক্ষা পেতে মানুষ ছায়া বা আশ্রয় পায় না। অপরিকল্পিত নগরায়ণের আরেকটি সমস্যা হচ্ছে বায়ুপ্রবাহের পথ না রেখে যদি শহরে অবকাঠামো ও ভবন নির্মাণ করা হয়, তাহলে বাতাস ঠিকমতো প্রবাহিত হতে পারে না, ফলে গরমের কষ্ট বেশি হয়।
উন্নয়নশীল দেশগুলোয় তো পরিকল্পিত নগরায়ণ করা বেশ কঠিন। বিশেষ করে পুরোনো শহরগুলোয় এ সমস্যা সবচেয়ে বেশি।
শামসুদ্দিন শহিদ: হ্যাঁ, এটা ঠিক। কিন্তু আমরা সিঙ্গাপুরের কথা বলতে পারি। সেখানে বাতাসের গতিপথের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাস্তার দুই পাশে বড় বড় ভবন গড়ে তোলা হয়েছে। এতে বায়ুপ্রবাহের আরও সুবিধা হয়েছে। আর শহরের বড় ভবন নির্মাণের পরেও ছাদ, দেয়াল ও আশপাশে গাছপালা লাগিয়ে তাপমাত্রা কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে তারা যথেষ্ট সফল হয়েছে। সিঙ্গাপুর সিটি করপোরেশন থেকে নিয়ম করে দেওয়া হয়েছে, যে পথ দিয়ে মানুষ হাঁটবে, সেখানে কমপক্ষে ৮০ শতাংশ এলাকাজুড়ে বড় গাছ থাকতে হবে, যাতে পথচারীরা হাঁটার সময় ছায়া পায়। এসব উদ্যোগ নিয়ে সিঙ্গাপুর সমুদ্রতীরবর্তী এলাকার চেয়ে শহরের তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমিয়ে আনতে পেরেছে।
সিঙ্গাপুর তো ধনী দেশ, তাদের পক্ষে এ ধরনের পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব। বাংলাদেশে বা ঢাকা-চট্টগ্রামে কতটুকু তা সম্ভব।
শামসুদ্দিন শহিদ: এটা ঠিক, সিঙ্গাপুরের পক্ষে যা সম্ভব হয়েছে, বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোয় তা সম্ভব কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু ভিয়েতনাম, লাওস ও চীনের অনেক শহরে ‘স্পঞ্জি সিটি’ নামের একটি ধারণা জনপ্রিয় হচ্ছে। যেমন চীনের গুয়ানজুকে স্পঞ্জি শহরের একটি উদাহরণ হিসেবে মনে করা হয়। সেখানে শহরের সড়কসহ নানা অবকাঠামো ছিদ্রযুক্ত ইট দিয়ে তৈরি করা হয়। শহরের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ছাড়াও ছোট ছোট নালা রাখা হয়েছে। ওই শহরে প্রচুর বন্যা হয়। ছোট ছোট এমন উদ্যোগের ফলে বন্যার পানি শহরে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। কারণ, পানি দ্রুত মাটির নিচে চলে যায়। আর মাটির নিচের পানির স্তর এতে বাড়ে। ফলে গ্রীষ্মকালে ওই পানি শহরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, লাওস ও দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল শহরে রাস্তার দুই পাশে প্রচুর কুলিং পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বসার জায়গা, ওপরে গাছের ছায়া ও ঝিরিঝিরি করে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা হয়। ফলে নাগরিকদের মধ্যে যাঁরা হেঁটে চলাচল করেন, তাঁরা এসব কুলিং পয়েন্টে বিশ্রাম নিতে পারেন। মালয়েশিয়ায় আমি দেখেছি, উষ্ণ সময়গুলোয় সিটি করপোরেশন থেকে বিশেষ কিছু নিয়ম করে দেওয়া হয়। যেমন শীতাতপনিয়ন্ত্রিত সুপারমল, বিপণিবিতান ও ভবনগুলোয় সাধারণ নাগরিকেরা গিয়ে কিছু সময়ের জন্য বিশ্রাম নিতে পারেন। কিছুটা স্বস্তি বোধ করলে তঁারা আবারও নিজের গন্তব্যে রওনা দিতে পারেন। ফলে এসব শহরে হিটস্ট্রোক কমে যাওয়াসহ গরমে মানুষের কষ্ট কমে যাওয়ার মতো সফলতা পাওয়া গেছে।
এমনকি ভারতের কলকাতা ও আহমেদাবাদের মতো শহরগুলোয় বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশনসহ জনপরিসরগুলোয় সিটি করপোরেশন গোসল ও খাওয়ার পানির ব্যবস্থা করে, যেখানে শহরের বস্তিবাসী, ট্যাক্সিচালক ও হকারদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষেরা সেবা নিতে পারেন। এভাবে ছোট ছোট উদ্যোগের মাধ্যমে একটি শহরের অতি উষ্ণ তাপমাত্রার বিপদ থেকে নাগরিকদের রক্ষা করা সম্ভব।
আমাদের ঢাকা বা চট্টগ্রামের মতো বড় শহরগুলোয় তো তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে গাছ লাগানো হচ্ছে। বৃষ্টির মতো পানি ছিটানো হচ্ছে। রিকশাওয়ালাদের ছাতা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এগুলো কতটুকু কার্যকর।
শামসুদ্দিন শহিদ: প্রথমত, ঢাকা ও চট্টগ্রাম প্রাকৃতিকভাবেই যথেষ্ট আরামদায়ক শহর ছিল। এখানে গাছপালা কেটে, জলাভূমি ভরাট করে এবং সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ণ করে শহরগুলোকে তাপীয় দ্বীপে পরিণত করা হয়েছে। এখন শহরে নতুন করে জলাভূমি তৈরি করা অনেক কঠিন। কিন্তু গাছ তো চাইলেই লাগানো সম্ভব। শহরে কয়েক হাজার গাছ লাগিয়ে কোনো লাভ হবে না। পুরো শহরের সব ফুটপাত, নতুন আবাসিক এলাকার ২০ শতাংশজুড়ে গাছ লাগাতে হবে। বিশ্বের অনেক শহরে গাছের চারা না লাগিয়ে পরিণত গাছ এনে রোপণ করা হয়। এতে কয়েক বছরের মধ্যে গাছগুলো ছায়া ও অন্যান্য সেবা দেওয়া শুরু করে। আমাদের সেই পথে যেতে হবে।
আর রাস্তায় পানি ছিটিয়ে মানুষকে ক্ষণিক আরাম দেওয়া যেতে পারে। এ ধরনের কার্যক্রম বেশ আকর্ষণীয় মনে হতে পারে। কিন্তু এটা কোনো সমাধান নয়। রাস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে এ ধরনের কুলিং পয়েন্ট তৈরি করতে হবে।
বাংলাদেশে কি আদৌ এ ধরনের উদ্যোগে সফলতা আনা সম্ভব?
শামসুদ্দিন শহিদ: অবশ্যই সম্ভব; যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ রাজশাহী শহর। আমি নিজেও একসময় রাজশাহীকে ঘিঞ্জি ও তপ্ত শহর হিসেবে দেখেছি। কিন্তু গত এক যুগে এ শহরে পরিকল্পিতভাবে রাস্তা নির্মাণ, গাছ লাগানো, পার্ক তৈরিসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব অবকাঠামো শহরের সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি তাপমাত্রা কমিয়ে এনেছে। আপনি দেখেন, প্রাকৃতিকভাবে রাজশাহী বাংলাদেশের বরেন্দ্র রুক্ষ এলাকার অন্তর্গত। কিন্তু সিটি করপোরেশনের নেওয়া উদ্যোগের কারণে সেখানে অনেক ইতিবাচক ফল আনা গেছে। অন্য শহরগুলোতেও তা সম্ভব বলে আমি মনে করি।
আপনাকে ধন্যবাদ।
শামসুদ্দিন শহিদ: আপনাকেও ধন্যবাদ।