ড. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। এমবিবিএস ডিগ্রি নেওয়ার পর জনস্বাস্থ্যে উচ্চতর ডিগ্রি নেন। ডেঙ্গু নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করেন। চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি শিশির মোড়ল।
প্রথম আলো: ডেঙ্গু নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা যাচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে আতঙ্কও তৈরি হয়েছে। প্রায় সোয়া লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, সাত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে আপনি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: এটা ঠিক, ডেঙ্গু নিয়ে একধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। মানুষ জানতে পারছে, বিপুলসংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, মৃত্যুও অতীতের চেয়ে বেশি।
তিনটি কারণে ডেঙ্গু বেশি ছড়াচ্ছে। এডিস মশার জন্য সবচেয়ে সহায়ক তাপমাত্রা ২৫ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর তাপমাত্রা এই সীমার মধ্যে দেখা যাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, রাজধানীতে জনঘনত্ব। এ কারণে সংক্রামক রোগ দ্রুত ছড়ায়। তৃতীয়ত, থেমে থেমে বৃষ্টির সঙ্গে এডিসের বৃদ্ধির সম্পর্ক আছে। প্রবল বৃষ্টিতে মশার ডিম ও লার্ভা ভেসে যায়। সেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে না। রাজধানীর বিরাট এলাকা এখন মশার উর্বর প্রজননক্ষেত্র। এডিস মশা থাকলে মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হবেই।
প্রথম আলো: আপনি যে পরিবেশ ও জনঘনত্বের কথা বললেন, তা তো কলকাতায়ও আছে। ঢাকা আর কলকাতার তাপমাত্রা, অবকাঠামো, জনসংখ্যা প্রায় একই। কলকাতায় কেন পরিস্থিতি ঢাকার মতো ভয়াবহ হলো না? অথবা আমরা কেন কলকাতার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারলাম না।
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: আমি তিন সপ্তাহ আগে কলকাতায় ছিলাম। সেখানে বারবার ঢাকার ডেঙ্গু পরিস্থিতির কথা মনে পড়েছে। ঢাকা ও কলকাতার আবহাওয়ার প্যারামিটারগুলো মোটামুটি কাছাকাছি। তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাতের ধরন একই। কলকাতায় ও ঢাকায় এডিস ইজিপটাই দেখা যায়।
দুই মহানগরের পার্থক্য নীতি, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও জনসম্পৃক্ততায়। কলকাতার নীতিনির্ধারকেরা ডেঙ্গুকে বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখেছেন। সেই অনুসারে মশা নিয়ন্ত্রণ ও নিধনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। তাঁরা কাজটি করেন সারা বছর। নিয়ন্ত্রণের কাজের ওপর কড়া নজরদারি আছে। কোথাও পানি জমতে দেওয়া হয় না। পানি জমলেই দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ডেঙ্গু বড় সমস্যা, পানি জমানো উচিত নয়—এই বার্তা কলকাতাবাসীর মনে ভালোভাবে গেঁথে আছে। এ বিষয়ে ঢাকাবাসীর তুলনায় কলকাতার মানুষ অনেক বেশি সচেতন।
■ এডিসের সহায়ক তাপমাত্রা ২৫ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর তাপমাত্রা এমনই।
■ এডিস মশা মৃদু সূর্যের আলোর দিকে যেতে চায়। সকাল-সন্ধ্যায় এরা সক্রিয় থাকে।
■ উলবাকিয়ার মতো মশা ব্যবহার করে এডিস মশার প্রজননক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
■ আগামী এক-দেড় মাস ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপই থাকবে।
প্রথম আলো: পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে বলে আপনার ধারণা? শিগগিরই ডেঙ্গুর প্রকোপ কমবে, নাকি এখনকার অবস্থায় থাকবে?
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: এটা হুট করে বলা মুশকিল। আমি ২০০০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির কারণ, হ্রাস–বৃদ্ধিতে কী কী বিষয় প্রভাব ফেলে—তা নিয়ে গবেষণা করেছিলাম। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, আগামী এক-দেড় মাস পরিস্থিতি খারাপই থাকবে।
তবে বিষয়টি অনুমান করে বলার চেয়ে একটি বৈজ্ঞানিক ভিত্তি থাকা ভালো। এটি মডেলিং করে বলা সম্ভব। হাসপাতালে রোগী ভর্তির প্রতিদিনের তথ্য এমআইএসে আসছে। রোগতত্ত্ববিদেরা বলতে পারবেন, আরও কী পরিমাণ রোগী আছে। বৃষ্টিপাত ও আবহাওয়া সম্পর্কে আবহাওয়া দপ্তর থেকে ধারণা পেতে পারি। আবহাওয়াবিদ, কীটতত্ত্ববিদ, রোগতত্ত্ববিদ, জনস্বাস্থ্যবিদ এবং পরিসংখ্যানবিদদের নিয়ে মডেলিংয়ের মাধ্যমে ধারণা করা যায়, পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে বা যাবে।
মডিলিংয়ের ফল শতভাগ সঠিক হবে, বিষয়টি এমন নয়। কিন্তু একটি ধারণা অবশ্যই পাওয়া যাবে। তার ওপর ভিত্তি করে সরকার পদক্ষেপ নিতে পারবে। কাজটি কিন্তু কঠিন নয়, কাজটি জরুরি। তা না হলে মানুষ অনিশ্চয়তা আর আতঙ্কের মধ্যে থাকবে।
প্রথম আলো: আপনি চিকিৎসক ও গবেষক। একটা কথা বলা হচ্ছে, ডেঙ্গুর লক্ষণে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আসলে কি তাই?
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: আমি কোনো বক্তব্যের বিরোধিতা করছি না। বিজ্ঞানটি বোঝার বা বোঝানোর চেষ্টা করতে পারি।
ডেঙ্গুর ক্ল্যাসিক্যাল লক্ষণ কী। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে তীব্র জ্বর হয়, গায়ে ব্যথা হয়, মাথাব্যথার সঙ্গে চোখের পেছন দিকে ব্যথা হয়, শরীরে র্যাস ওঠে। কিছু ক্ষেত্রে বমি হয়। এখন কি এসব লক্ষণ আছে? আছে।
এখন মানুষ জ্বর হলেই প্যারাসিটামল খাচ্ছে। অনেকের ক্ষেত্রে জ্বর আগের মতো তীব্র হচ্ছে না, শুরুতেই চাপা পড়ে যাচ্ছে। এ কারণে ডেঙ্গুর লক্ষণ কিছু ক্ষেত্রে কম দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে এখন অনেকে দ্বিতীয়বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে জটিলতা বাড়ে। শক সিনড্রোমের পর যেসব
রোগী মারা যাচ্ছে, তাদের ইতিহাস জানা নেই। সুতরাং এসব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা না হওয়া পর্যন্ত আমি বলতে পারি না, ডেঙ্গুর লক্ষণে পরিবর্তন এসেছে।
প্রথম আলো: দ্বিতীয়বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার কথা বেশ শোনা যাচ্ছে। দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে আসলে কী সমস্যা হয়?
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি ধরন আছে—ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ ও ডেন-৪। ডেন-১-এ আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হলে মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। সেই মানুষ আর ডেন-১-এ আক্রান্ত হবে না। কিন্তু বাকি তিনটি ধরনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
গত বছর হয়তো একজন ব্যক্তি ডেন-১-এ আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ বছর তিনি আক্রান্ত হলেন ডেন-২-এ। তা হলে ওই ব্যক্তির ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরির ঝুঁকি থাকে। কারণ, আগে গড়ে ওঠা প্রতিরোধক্ষমতা এবং নতুন ভাইরাসের মধ্যে একধরনের ‘ক্রসফাইট’ চলতে থাকে। এর চাপ পড়ে রক্তের অণুচক্রিকার ওপর। এই ঘটনা এবার বেশি ঘটছে কি না, তা গবেষণার দাবি রাখে।
প্রথম আলো: এডিস মশার চরিত্র-বৈশিষ্ট্যে কি কোনো পরিবর্তন এসেছে?
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: স্ত্রী এডিস মশা ডেঙ্গুর ভাইরাস ছড়ায়। এখন আমাদের জানতে হবে এডিস মশার চরিত্র কী। এডিস মশা মৃদু সূর্যের আলোর দিকে যেতে চায়। সকাল-সন্ধ্যায় এরা সক্রিয় থাকে, এটাই তাদের বৈশিষ্ট্য। এর বাইরে কিছু দেখা গেলে সেটি ব্যতিক্রম। এডিস মশার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন হলে তা বিশ্বের অন্যান্য দেশ বা অঞ্চলের জন্যও প্রযোজ্য। কিন্তু অন্য কোনো দেশ বা অঞ্চলের বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে এমন কথা শোনা যাচ্ছে না।
প্রথম আলো: এই মশার ডিম পাড়া নিয়েও বিতর্ক হচ্ছে? কোথায় ডিম পাড়ে এই মশা?
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: স্ত্রী এডিস মশা ডিম পাড়ে পরিষ্কার ও বদ্ধ পানিতে। পরিষ্কার ও বদ্ধ পানি ডিম পাড়ার আদর্শ স্থান। ডাবের খোসা, গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ার, টব, বাসাবাড়ির পানির মিটার—এ ধরনের জিনিসে বা পাত্রে পরিষ্কার পানি জমে। এসব পাত্রে পানি স্থির থাকে। নর্দমার পানি পরিষ্কার না, স্থির না। ফলে সেখানে ডিম পাড়ে না।
ডিম পাড়ার ক্ষেত্রে আরও দুটি বিষয় কাজ করে। একটি হচ্ছে, ডিম পাড়ার জায়গায় হালকা বা মৃদুমন্দ বাতাস বইতে হবে এবং তাপমাত্রা
হতে হবে ২৫ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। তার অর্থ হচ্ছে, নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় মৃদুমন্দ বাতাস আছে এমন পরিবেশে পরিষ্কার ও বদ্ধ পানিতে ডিম পাড়ে স্ত্রী এডিস মশা। নির্মাণাধীন ভবন, ভবনের মেঝে বা বড় বড় অবকাঠামোর অসংখ্য ছোট ছোট জায়গায় পানি জমে, বিশেষ করে বৃষ্টির পানি।
প্রথম আলো: সারা দেশে বিশেষ করে ঢাকা শহরে মশা নিয়ন্ত্রণে নেওয়া উদ্যোগে কী কী ঘাটতি আপনি দেখছেন?
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: মশা নিয়ন্ত্রণে মান্ধাতার আমলের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। কীটনাশক ছিটানোর কথাই যদি বলি, পৃথিবীর বড় বড় শহরে অনেক আধুনিক যন্ত্র দিয়ে কীটনাশক ছিটানো হয়। ওই সব যন্ত্রে একসঙ্গে অনেক বড় এলাকায় কীটনাশক কার্যকরভাবে ছিটানো যায়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জিন রূপান্তরিত মশা ব্যবহার করেও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের সফল উদ্যোগ দেখা গেছে। উলবাকিয়ার মতো মশা ব্যবহার করে এডিস মশার প্রজননক্ষমতা কমিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সাফল্যের গল্প আছে কোনো কোনো দেশে। ২০১৮-১৯ সালে ঢাকায় উলবাকিয়া ব্যবহারের সম্ভাব্যতা নিয়ে অনেক কথা হয়েছিল। বিটিআই ব্যবহার করেও সাফল্য আছে। ঢাকায় এটির ব্যবহার শুরু হতে যাচ্ছে।
প্রথম আলো: অনেক কথাই তো হচ্ছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে বলে মানুষ মনে করছে না। সমস্যা আসলে কোথায়?
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মূল পাঁচটি বিষয়কে সমান তালে গুরুত্ব দিতে হবে। মশা নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে আপনার
একটি নীতি থাকতে হবে। মশা নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে একটি সহায়ক পরিবেশ থাকতে হবে বা তৈরি করতে হবে। মশা নিয়ে আপনার নীতি বা আপনি যা করতে চান, তা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। সাধারণ মানুষকে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং কিছু কিছু কাজে তাদের দক্ষ করে তুলতে হবে এবং এ ব্যাপারে মানুষকে সেবা দিতে হবে।
যারা সফল হয়েছে, তারা এই পাঁচটি কাজই করতে পেরেছে। সরকার কী করছে, তা যেমন মানুষের ধারণায় নেই বা কম আছে, তেমনি মশা নিয়ন্ত্রণের কাজে সাধারণ মানুষ সম্পৃক্ত হয়নি। অর্থাৎ পার্থক্য অনেক বেশি।
প্রথম আলো: এসব ক্ষেত্রে গবেষকেরা কী ভূমিকা রাখতে পারেন?
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: এডিস মশার সার্বিক তথ্য আমাদের কারও কাছে নেই। রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা বছরে তিনটি জরিপ করে। এতে আমরা খুব সামান্য তথ্য পাই। দরকার নজরদারি। নজরদারি ছাড়া মশা ও রোগ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা সম্ভব নয়। দেশে ডেঙ্গু নজরদারি হচ্ছে না, হওয়ার লক্ষণও নেই। কিন্তু হওয়া জরুরি।
নজরদারির উদ্যোগ হতে হবে সরকারের পক্ষ থেকে, এর সঙ্গে যুক্ত থাকবেন গবেষকেরা। দেশে এখন অনেক গবেষক আছেন, কীটতত্ত্ববিদ আছেন, যাঁরা মশা বা ডেঙ্গু নিয়ে কাজ করছেন বা করেছেন।
পাশাপাশি ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। যেসব গবেষক আছেন, তাঁদের কাজে লাগাতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ে প্রায়োগিক গবেষণায় অর্থায়ন করতে হবে।
প্রথম আলো: অনেকে বলছেন, বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই বলা হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ডেঙ্গুর মতো কীটপতঙ্গবাহী রোগ বাড়বে। এটি একটি বৈশ্বিক প্রবণতা। এটাই কি হওয়ার কথা ছিল?
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: মাথায় রাখতে হবে তীব্র শীতে বা প্রচণ্ড গরমে এডিস মশা বাঁচে না।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তিনটি বড় ঘটনা ঘটছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ছে, বৃষ্টিপাতের ধরনে পরিবর্তন হচ্ছে, বাতাসে আর্দ্রতা বাড়ছে। যেসব দেশে ঠান্ডা বেশি, সেসব দেশে এডিস মশা বসবাসের পরিবেশ তৈরি হবে। এ রকম নানা সমীকরণ আছে। সার্বিকভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন এডিস মশার বসবাসের ক্ষেত্রকে বিস্তৃত করছে।