ড. শাবানা রোজ চৌধুরী
ড. শাবানা রোজ চৌধুরী

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যা করা দরকার, এখনই তা করতে হবে

ড. শাবানা রোজ চৌধুরী একজন জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ। ইন্ডিয়ান পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার যুগ্ম মহাসচিব। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার প্রকোপসহ জনস্বাস্থ্যের নানা বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন। সম্প্রতি ঢাকা এসেছিলেন আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য। সম্মেলনের পরদিন ৯ জুন রাজধানীর একটি হোটেলে শাবানা রোজ চৌধুরী কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সফলতার বিষয়ে কথা বলেন প্রথম আলোর সঙ্গে। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শিশির মোড়ল

প্রশ্ন

বাংলাদেশের মানুষ এ বছরও ডেঙ্গুর বড় ধরনের প্রকোপের আশঙ্কা করছে। কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গে এ বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি কী হতে পারে বলে আপনারা মনে করছেন?

শাবানা রোজ চৌধুরী: কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গের কোথাও ডেঙ্গুর বড় ধরনের কোনো প্রকোপ তো দূরের কথা, এ বছর কোনো এলাকায় ডেঙ্গুর কেস (রোগীর সংখ্যা) বৃদ্ধির কোনো আশঙ্কা করছি না। ডেঙ্গু নির্মূল করা সম্ভব নয়, তবে এটা বলা যায় যে কলকাতা শহরসহ সারা পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে।

প্রশ্ন

ডেঙ্গু পরিস্থিতি কত বছর ধরে এমন নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় আছে?

শাবানা রোজ চৌধুরী: যেমন, গত বছর ডেঙ্গু কেস খুব বেশি ছিল না, মৃত্যুও খুব কম ছিল। এর আগের বছরও পরিস্থিতি এমনই ছিল। অর্থাৎ, বহু মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে, অনেক মৃত্যু ঘটছে, এমন পরিস্থিতি হয়নি। ডেঙ্গু নিয়ে বড় ধরনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা মানুষের মধ্যে ছিল না। প্রায় ১০ বছর হলো কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আছে।

প্রশ্ন

কেমন করে, কোন কৌশলে ডেঙ্গুকে আপনারা বাগে বা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেন?

শাবানা রোজ চৌধুরী: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের কাজটি হয় তিনটি স্তরে। প্রথম স্তরে থাকেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, আমলারা। দ্বিতীয় স্তরে থাকেন চিকিৎসক, নার্স, অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী। তৃতীয় স্তরে থাকেন সাধারণ মানুষ বা কমিউনিটির লোকজন। সাধারণ মানুষ বলতে শুধু দিনমজুর, শ্রমিক বা খেটে খাওয়া মানুষ নন। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, বড় ফ্ল্যাটে বা বাড়িতে বসবাস করেন, তাঁরাও এই সাধারণ মানুষের কাতারে অন্তর্ভুক্ত। এই তিন স্তর সমন্বিতভাবে কাজ করে, একসঙ্গে কাজ করে।

প্রশ্ন

মাঠপর্যায়ে মশা নিধন বা রোগী চিহ্নিত করার কাজটি আসলে হয় কী করে, যদি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করতেন?

শাবানা রোজ চৌধুরী: ‘ন্যাশনাল ভেক্টর বর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম’ নামে সারা ভারতবর্ষে একটি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি আছে। এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, ভারতের সব রাজ্যে মশাবাহিত ছয়টি রোগ নিয়ন্ত্রণ বা নির্মূলে কাজ করা। এর মধ্যে আছে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, জাপানিজ এনকেফালাইটস ও লিমফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস। কেন্দ্রীয় এই কর্মসূচি কলকাতা শহরে মিউনিসিপ্যালিটি অথরিটি ও পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলায় রাজ্য সরকার বাস্তবায়ন করে।

কলকাতা শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে ও গ্রামাঞ্চলে প্রতিটি ব্লক ও পঞ্চায়েতে মশা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি আছে। প্রতিটি ওয়ার্ড, ব্লক বা পঞ্চায়েত একেকটি ইউনিট হিসেবে কাজ করে। সব জায়গায় একটি করে দল আছে।

সার্ভিল্যান্স, ভেক্টর কন্ট্রোল ও সুপারভিশন—এই হচ্ছে কাজের ধারা। সার্ভিল্যান্স টিমের সদস্যরা নির্দিষ্টসংখ্যক বাড়িতে যান। বাড়ির তথ্য নির্ধারিত ফরমে তোলা হয়। কাউকে বাড়ি পাওয়া না গেলে বাড়ির সামনে নোটিশ সাঁটা হয়, বাড়ির মালিককে ফোন করা হয়। ভেক্টর কন্ট্রোল দলের সদস্যরা সার্ভিল্যান্স টিমের তথ্য কাজে লাগান। এ ছাড়া তাঁরা নির্মাণ এলাকায় কীটনাশক ছিটান। পুকুর, জলাশয় বা কুয়ায় গাপ্পি মাছ ও গাম্বুশিয়া মাছ ছাড়েন। গ্রামাঞ্চলে ধানখেতের নালায় গাপ্পি মাছ ও গাম্বুশিয়া ছাড়া হয়।

প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও রোগনির্ণয় কেন্দ্র ডেঙ্গু শনাক্তে কাজ করে। যদি কোনো রোগনির্ণয় কেন্দ্রে কোনো রোগীর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়, তাহলে ওই রোগীর ঠিকানা ধরে বাড়িতে লোক চলে যায়। রোগ শনাক্ত করার সময় ঠিকানা দিতে হয়। ওই বাড়িতে ও বাড়ির আশপাশের বাড়িগুলোয় মশার ওষুধ ছিটানো হয়। আর কোনো সম্ভাব্য রোগী আছে কি না, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়।

হাসপাতালে সব সময় জ্বরের রোগী আসে। গাইনি বিভাগ ছাড়া কোনো হাসপাতালের বহির্বিভাগে জ্বরের রোগী ১০ শতাংশ বেড়ে গেলেই সন্দেহ করা হয়। তখন ওই হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিক খোলা হয়। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে এই ফিভার ক্লিনিক খোলার পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এই ক্লিনিক খোলা হয়, যদি এলাকায় জ্বর বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।

একটা কথা মনে রাখতে হবে, রোগনির্ণয় কেন্দ্রে বা হাসপাতালে, যেখানেই রোগী শনাক্ত হোক না কেন, তার তথ্য সরকারি পোর্টালে জানাতে হবে। পোর্টালের তথ্য দেখেই বোঝা যাবে, কলকাতা শহরের বা পশ্চিমবঙ্গের কোথায় ডেঙ্গু বাড়ছে। এবং সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন। বলা হয় ‘ডু ইট নাউ’। যা যা করার, তা তখনই করা হয়, কোনো কাজ করার জন্য ফেলে রাখা হয় না।

প্রশ্ন

হাসপাতাল ও রোগনির্ণয় কেন্দ্র থেকে সরকারি পোর্টালে তথ্য দেওয়া কি বাধ্যতামূলক? এ ক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থা আসলে কী আছে?

শাবানা রোজ চৌধুরী: সরকারি সব হাসপাতাল ও রোগনির্ণয় কেন্দ্র প্রতিটি ডেঙ্গু রোগীর তথ্য নিয়মিত দেয়। বেসরকারি হাসপাতাল ও রোগনির্ণয় কেন্দ্রও নিয়মিত তথ্য দেয়। কারণ, তথ্য দিতে তারা আইনত বাধ্য। কোনো হাসপাতাল বা রোগনির্ণয় কেন্দ্র তথ্য দেয়নি বা গোপন রেখেছে, এটা প্রমাণিত হলে তাকে জরিমানা করা হয়। বন্ধ করে দেওয়ারও নজির আছে।

অন্যদিকে কারও বাড়িতে বা প্রতিষ্ঠানে যদি মশার প্রজনন ক্ষেত্র বা ব্রিডিং গ্রাইন্ড পাওয়া যায়, তাহলে ওই বাড়ির মালিক বা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। এটা আইন। কেউই এই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। একজন বিখ্যাত চিত্রশিল্পীর বাড়ির অ্যাকুয়ারিয়ামে মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছিল। তাঁকে জরিমানা করা হয়েছিল। এর অর্থ হচ্ছে, ডেঙ্গুর ব্যাপারে কারও ছাড় নেই।

প্রশ্ন

মশার প্রজনন ক্ষেত্র বা কোথায় মশা থাকতে পারে, এটা কীভাবে খোঁজা হয়।

শাবানা রোজ চৌধুরী: চারটি স্তরে মশার খোঁজ করা হয়। প্রথমটি হচ্ছে, পেরিনিয়াল সাইট। এসব জায়গায় মশা বংশবিস্তার করে। যেমন ছোট ছোট জলাশয়, ওভারহেড ট্যাংক ইত্যাদি।

দ্বিতীয়টি হচ্ছে, সম্ভাব্য কোন কোন জায়গায় মশা থাকতে পারে। বৃষ্টি হলে যেখানে বৃষ্টির পানি জমতে পারে, এমন সব জায়গা। পট, টব, ডাবের খোলা, টায়ার—এ জায়গায় মশা বংশবিস্তার করে।

তৃতীয়, হটস্পট দেখা। হটস্পটগুলো চিহ্নিত করা যায় পোর্টালের ডেটা থেকে। হঠাৎ কোনো জায়গার রোগী বেড়ে যাওয়ার তথ্য থেকে ধারণা করা হয়, সে এলাকায় মশা বেড়েছে।

সবশেষ হচ্ছে, র‌্যানডমলি কোনো বাড়িতে গিয়ে হাজির হওয়া। ওপরের তিনটি স্থানের বাইরেও কোনো কোনো এলাকা বা বাড়ি নজরদারি থেকে বাদ পড়ে যেতে পারে। সে কারণে র‌্যানডমলি কোনো বাড়িতে গিয়ে হাজির হন সার্ভিল্যান্স টিমের সদস্যরা।

এসব কাজ করা হয় প্রতি ১৫ দিন অন্তর। এসব স্থানে একটি করে টিম যায়। সার্ভিল্যান্স টিমে থাকেন এলাকার দুজন সাধারণ মানুষ। এলাকার মানুষ এলাকা চেনেন, এলাকার মানুষকে চেনেন। এলাকার মানুষ নেওয়ার অর্থ, কর্মসূচিতে তাঁদের ওনারশিপ থাকা। তাঁরা বাড়ি বাড়ি যান। কোনো বাড়িতে লার্ভা পাওয়া গেলে শাস্তি দেওয়া হয়।

এ ক্ষেত্রে নীতি হচ্ছে ‘কিল দেম অ্যাট সোর্স’। অর্থাৎ, যেখানে মশা বা লার্ভা পাওয়া যাবে, সেখানেই তাকে বিনাশ করতে হবে।

প্রশ্ন

মশা নিয়ন্ত্রণে কীটনাশক ছিটানো বা ফগিং করার বিষয়গুলো কতটা গুরুত্ব পায়?

শাবানা রোজ চৌধুরী: কোনো বাড়িতে বা প্রতিষ্ঠানে লার্ভা পাওয়া গেলে, সেই বাড়িতে ও বাড়ির আশপাশে বায়োসাইড বা কীটনাশক ছিটানো হয়। আবার পুকুরে, কুয়ায় গাপ্পি ও গাম্বিশিয়া মাছ ছাড়া হয়। এই কাজে সহায়তা করে মৎস্য বিভাগ।

তবে কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গে ফগিং করা হচ্ছে না। ফগিং এখন নিষিদ্ধ। প্রথমত, জনস্বাস্থ্যবিদেরা এটা দেখলেন যে ফগিং করে কোনো লাভ হয় না। ফগিং করা হয় বাড়ির বাইরে। ফগিংয়ের সময় মশা চলে যায় ঘরের ভেতরে। ফগিং করার পরও যখন দেখা গেল ওই এলাকায় কেস কমছে না, তখন জনস্বাস্থ্যবিদেরা প্রথমে বললেন, ফগিং ফলদায়ক নয়। এরপর একটি মামলায় আদালত রায় দিলেন যে মশা নিধনের জন্য ফগিং করা যাবে না। ফগিং পরিবেশবান্ধব একটি ব্যবস্থা নয়। এই দুটি কারণে পশ্চিমবঙ্গে ফগিং বন্ধ আছে। তাতে পরিস্থিতির অবনতি হতে দেখা যায়নি।

প্রশ্ন

মশা বা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের কাজটি বছরের কোন সময় করা হয় বা কোন সময় জোর দেওয়া হয়?

শাবানা রোজ চৌধুরী: ডেঙ্গুর এখন আর কোনো মৌসুমি রোগ নয়। এটি সারা বছরের রোগ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, অভিবাসন— এসব কারণে সারা বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি থাকে। সুতরাং কাজটি বছরজুড়ে চলমান।

প্রশ্ন

তারপরও তো রোগী বাড়তে দেখা যেতে পারে। তখন কী করেন আপনারা?

শাবানা রোজ চৌধুরী: যদি কেস বাড়তে থাকার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়, বা কোনো স্পাইকের ঝুঁকি দেখা দেয়, তখন তা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অনেকটা যুদ্ধ পরিস্থিতির মতো। প্রতি সপ্তাহে রাজ্যের মুখ্য সচিব ও স্বাস্থ্যসচিবের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা করা হয়। সব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়। তাৎক্ষণিক করণীয় নির্ধারণ করা হয়।

যদি দেখা যায়, কলকাতা শহরের কোনো একটি ওয়ার্ডে কেস বেড়েছে। কলকাতা মিউনিসিপ্যালটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেই ওয়ার্ডে যান, কারণ অনুসন্ধান করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেন।

প্রশ্ন

আমরা শুনেছি যে ডেঙ্গু মোকাবিলায় মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যুক্ত হয় বা যুক্ত আছে। মানুষকে কীভাবে সম্পৃক্ত করা হলো বা করা গেল?

শাবানা রোজ চৌধুরী: প্রথমত, মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা গেছে। মানুষ জানে, কোথায় লার্ভা থাকতে পারে, কী করলে লার্ভা থাকবে না, তা-ও মানুষ জানে। সুতরাং মানুষ নিজ থেকেই অনেক কাজ করে। অন্যদিকে সরকারের কর্মসূচির ওপর মানুষের আস্থা ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে। মানুষ দেখছে, সরকারের কর্মসূচি ডেঙ্গুকে দূরে রেখেছে। সুতরাং সরকার যা করছে, মানুষ তাতে সায় দিচ্ছে।

প্রশ্ন

জনসচেতনতার জন্য কী করা হয়?

শাবানা রোজ চৌধুরী: আপনি যদি এখন কলকাতায় যান, দেখবেন রাস্তাঘাটে, রেলস্টেশনে, বাসস্ট্যান্ডে সবখানে ডেঙ্গু সচেতনতাবিষয়ক পোস্টার, প্ল্যাকার্ড। সব কলকাতা ভরা। বাসের পেছনে, স্কুটারের পেছনে পোস্টার। মেট্রোরেলে ছোট ছোট ভিডিও চলছে। কোনো পাড়ায় বা ওয়ার্ডে রোগী দু-একটি বেশি দেখা গেলেই সেখানে মাইকিং করা হয়।

প্রশ্ন

এই সফলতার শুরুটা আসলে কোথায়? এর মূলমন্ত্র কী?

শাবানা রোজ চৌধুরী: ১৯৫৩ সালে ভারতবর্ষে ম্যালেরিয়া কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। বহু বছর ধরে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে সেই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে। নানান রাজ্যের অভিজ্ঞতা সেই কর্মসূচিকে সমৃদ্ধ করেছে। বলা যায়, ভারতজুড়ে যে ন্যাশনাল ভেক্টর বর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম চলমান, তার বীজ পোঁতা ছিল ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচিতে।

জনস্বাস্থ্যের কিছু সূচকে পশ্চিমবঙ্গ ভারতবর্ষের অনেক রাজ্যের চেয়ে এগিয়ে। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায় ও প্রতিটি পৌর এলাকায় কীটতত্ত্ববিদ আছেন। তাঁরা সব সময় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন ও কাজের ব্যাপারে নজরদারি করেন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সবচেয়ে সক্রিয় কর্মসূচিগুলোর একটি।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের মূলমন্ত্র এখানে দুটি: ‘কিল দেম অ্যাট সোর্স’, অর্থাৎ লার্ভা উৎসেই মেরে ফেলো এবং ‘ডু ইট নাউ’, অর্থাৎ যা করার এখনই করো।

প্রশ্ন

সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

শাবানা রোজ চৌধুরী: প্রথম আলোকে ধন্যবাদ।