স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি করোনাকালে মাতৃমৃত্যু বাড়িয়েছে

মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণে এগিয়ে যাওয়ার দিকে বাংলাদেশের অর্জন ছিল উল্লেখযোগ্য। করোনা মহামারি সে অগ্রযাত্রায় বড় ধাক্কা দিয়েছে। বেড়েছে মাতৃমৃত্যু, কমেছে গর্ভকালীন সেবা নেওয়ার হার। মাতৃমৃত্যু বাড়ার কারণ এবং নতুন এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পথ নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন বারডেম হাসপাতালের প্রসূতিবিদ্যা ও স্ত্রীরোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক এবং অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসী বেগম।

অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসী বেগম
প্রশ্ন

করোনাকালে বিশেষজ্ঞরা বারবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসায় করোনার মারাত্মক প্রভাব পড়বে। করোনা শুরুর এক বছর তিন মাস পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, এ সময়ে মাতৃমৃত্যু বেড়েছে ১৭ শতাংশ। এত মৃত্যুর
কারণ কী?

ফেরদৌসী বেগম: ঠিক আশঙ্কা নয়, ধারণাই করা হয়েছিল যে মাতৃমৃত্যু বাড়বে। গত বছর করোনার শুরুতে মার্চ-এপ্রিল মাসে সবকিছু পুরোপুরি বন্ধ ছিল। মে মাস পর্যন্ত প্রায় একই অবস্থা। মাতৃস্বাস্থ্যসেবায় দুই ভাবে তা প্রভাব ফেলেছে। এক. মায়েরা সেবা নিতে আসেননি। দুই. সেবাদানকারীরাও সেবা দিতে পারেননি। হঠাৎ এ ধরনের পরিস্থিতিতে কী করতে হবে, সেটা কেউই বুঝে উঠতে পারছিল না। হাসপাতালে করোনার চিকিৎসায় দায়িত্ব পালনের জন্য পালা করে দেওয়া হয়েছিল, যাতে একসঙ্গে বেশি সেবাদানকারীকে থাকতে না হয়। কিন্তু করোনা রোগী অগ্রাধিকার পেয়ে যাওয়ায় মাতৃস্বাস্থ্য থেকে নজরটা সরে যায়। সারা বিশ্বেই এ পরিস্থিতি একই রকম ছিল।

প্রশ্ন

একজন মায়ের গর্ভধারণের পর সন্তান প্রসব পর্যন্ত অন্তত চারবার চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা আছে আটবার। এই চারবার সেবা নেওয়ার হার আগের বছরের তুলনায় ২০২০ সালে এক-চতুর্থাংশ কম ছিল। সংখ্যা হিসাবে ধরলে এক থেকে আড়াই লাখ। মায়েরা কি সেবা নেননি নাকি নিতে পারেননি? কী ঘটল?

ফেরদৌসী বেগম: গর্ভধারণের পর প্রথম দফায় সেবা নেওয়াটা সবচেয়ে জরুরি। চিকিৎসকেরা মাকে তখন পুরো গর্ভকালের একটি পরিকল্পনা দেন। ছাঁকনির মতো করে ছেঁকে একেকটা মায়ের সমস্যা চিহ্নিত করা হয়। তবে স্বাভাবিক সময়েও মায়েরা চারবার আসতে চান না। তাঁদের জিজ্ঞেস করলে বলেন, অসুবিধা হয়নি, তাই আসিনি। অন্তত চারবার সেবা নেওয়ার গুরুত্বটা তাঁদের বোঝানো যায় না। করোনাকালেও এটা হয়েছে। পাশাপাশি স্বাভাবিক সেবাও ব্যাহত হয়েছে। যাঁরা সেবা নিতে এসেছেন, তাঁরা সেবা পাননি। মিটফোর্ড হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসকেরা কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় পুরো পাঁচ দিন বিভাগটি বন্ধ ছিল। তবে পরিসংখ্যান আকারে যতটা বলা হচ্ছে, ততটা না-ও হতে পারে। কারণ, অনেক মা টেলি-মেডিসিন সেবা নিয়েছেন। করোনার প্রথম কয়েক মাস এই সেবাগুলো পরিসংখ্যানে আসেনি। সম্প্রতি আইসিডিডিআরবির তথ্য থেকে এটা জানতে পেরেছি।

  • করোনাকালে মাতৃস্বাস্থ্যসেবায় দুভাবে প্রভাব ফেলেছে। এক. মায়েরা সেবা নিতে আসেননি।দুই. সেবাদানকারীরাও সেবা দিতে পারেননি।

  • করোনা রোগী অগ্রাধিকার পেয়ে যাওয়ায় মাতৃস্বাস্থ্য থেকে নজরটা সরে যায়।

  • গর্ভধারণের পর প্রথম দফায় সেবা নেওয়াটা সবচেয়ে জরুরি।

  • হাসপাতালগুলোর গুণগত মান এখন কমেছে। ঠিক জায়গায় ঠিক লোক নেই।

প্রশ্ন

যুক্তি দেওয়া হয় যে করোনাকালে যোগাযোগব্যবস্থার ঘাটতি এবং করোনার রোগীদের দিকে সরকারের বেশি মনোযোগ ছিল। গত বছরের মতো লকডাউন এখন নেই। মানুষের মনে ভীতিও কমেছে। অথচ গত দেড় বছরের মধ্যে গত এপ্রিলে মাতৃমৃত্যু সবচেয়ে বেশি, ২২৮ জন। গত বছরের কঠিন সময়েও মাতৃমৃত্যু ছিল মাসে এর এক-তৃতীয়াংশ। এখন কেন মায়েরা সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন?

ফেরদৌসী বেগম: এ বছরের এপ্রিলে কেন মাতৃমৃত্যু এত বেশি, তা এককভাবে ব্যাখ্যা করা খুব কঠিন। বলা যেতে পারে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউটা শুরু হয়েছিল এ সময়ে। করোনার সময়ে অনেক অপরিকল্পিত গর্ভধারণও হয়েছে। সেটারও প্রভাব এসে পড়তে পারে। কারণ, অপরিকল্পিত গর্ভধারণের সঙ্গে মাসিক নিয়মিতকরণ বা এমআরের যোগ রয়েছে। অনিরাপদ এমআরে মৃত্যুও হয়। এরপরও যথাযথ কারণ জানতে এপ্রিলে মৃত্যুর বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিশেষজ্ঞ ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। স্বাভাবিক সময়েও দেশে মাতৃমৃত্যুর একটি মৌসুম রয়েছে, যে সময়ে মৃত্যু বেশি হয়। সাধারণত শীতকালে খিঁচুনি বেশি হওয়ায় মাতৃমৃত্যু হয়। আবার ফসল কাটার সময়ের পর গ্রামের পরিবারগুলো বেশ আনন্দে থাকে, অবসর সময় কাটায়। সেই সময়ে অপরিকল্পিত গর্ভধারণের ঘটনা বেশি ঘটে। তা থেকেও মাতৃমৃত্যু হয়।

প্রশ্ন

মাতৃমৃত্যুর হার নিয়ে দেশে দুই রকমের তথ্য আছে, বিতর্কও আছে। বাংলাদেশ মাতৃমৃত্যু ও স্বাস্থ্যসেবা (বিএমএমএস) জরিপ ২০১৬ অনুসারে দেশে মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখ জীবিত জন্মে ১৯৬। অন্যদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর দাবি করে, এ হার ১৭২। সবশেষ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল: ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০১৯’ অনুসারে হারটি ১৬৫। বিতর্কের উৎস কোথায়?

ফেরদৌসী বেগম: ৩৫ বছর ধরে এ খাতে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, আগে কী পরিমাণ মাতৃমৃত্যু হতো। ২০০১ থেকে ২০১০ সালে মাতৃমৃত্যু প্রতি লাখ জীবিত জন্মে ৩২২ থেকে ১৯৪-এ নেমে আসে। এটা অনেক বড় অর্জন। যদিও মাতৃমৃত্যু ২০-এ নামিয়ে আনতে হবে। জরিপগুলো করার সময় একই পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান অনুসরণ করে কাজ করা হয়। ২০১৬ সালের জরিপের জন্য হিসাব নেওয়া হয়েছিল ২০১৪-১৫ সালের। ২০১৬-১৭ সালের হিসাব নিয়ে করলে মাতৃমৃত্যু কম হবে বলেই মনে করি। ২০০১ সালে যখন মাতৃমৃত্যুর জরিপ অনুসরণ করা হয়েছিল, তখন তিনটি পদ্ধতি অনুসরণ করে তিন ধরনের ফলাফল পাওয়া গিয়েছিল। ফলে বিএমএমএসের ২০১৬ সালের জরিপ সরকারের পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন ছিল।

প্রশ্ন

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে, আমাদের মাতৃমৃত্যু প্রতি লাখ জীবিত জন্মে ৭০-এ নামিয়ে আনতে হবে। করোনাকালের এই বর্ধিত হার সেটিকে কেমন চ্যালেঞ্জে ফেলে দিল?

ফেরদৌসী বেগম: চ্যালেঞ্জে তো করোনাকাল অবশ্যই ফেলেছে। সারা বিশ্বই যেহেতু এই সময়ে মাতৃমৃত্যু নিয়ে ভুগছে, শেষ পর্যন্ত হয়তো এসডিজি লক্ষ্যমাত্রার সময় পিছিয়েও যেতে পারে। তবে তার জন্য তো বসে থাকলে হবে না। চ্যালেঞ্জটিকে মাথায় রাখতে হবে এবং কীভাবে এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা যায়, এখনই তার কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে হবে।

প্রশ্ন

দেশে বছরে গড়ে ২২ লাখ প্রসবের ঘটনা ঘটে। বাড়িতেই এর অর্ধেক। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, বাকি অর্ধেক বিভিন্ন সেবাকেন্দ্রে। এর ১৫ শতাংশ সরকারি প্রতিষ্ঠানে, ৮৫ শতাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হয়। পুরো তথ্য সংকলিত করলে কি এ হার আরও বেশি হবে?

ফেরদৌসী বেগম: আমার জানামতে, বেসরকারি হাসপাতালে দুই-তৃতীয়াংশ প্রসবের ঘটনা ঘটে। আগে সরকারি হাসপাতালে শতভাগ মাতৃস্বাস্থ্য সেবা নেওয়া হতো। হাসপাতালগুলোর গুণগত মান এখন কমেছে। ঠিক জায়গায় ঠিক লোক নেই। সেবাগ্রহীতার তুলনায় সেবাদানকারী পর্যাপ্ত নয়। জনবলের ঘাটতিও বিপুল। তবে বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সংখ্যা কম। তাই বেসরকারি হাসপাতালের তথ্য সংকলিত করলে হারে হেরফের হবে বলে মনে করি না। সাধারণত দরিদ্র ও অসচেতন লোকজন বাড়িতে প্রসব করান। জটিলতা হলে হাসপাতালে আসেন। তাঁরা সরকারি প্রতিষ্ঠানই বেশি বেছে নেন।

প্রশ্ন

প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবকে আমরা উৎসাহিত করতে পারছি না কেন?

ফেরদৌসী বেগম: প্রচারণা আছে যে হাসপাতালে গেলেই সিজারিয়ান সেকশন করে। এ ধরনের ভাবনা থেকে সরিয়ে এনে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবে উৎসাহিত করতে শিক্ষা ও সচেতনতা বাড়ানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। হাসপাতালগুলোকেও সব মাকে যথাযথ সেবা দেওয়ার জন্য সক্ষম হয়ে উঠতে হবে। গর্ভধারণের পর প্রথমবার সেবা নিতে আসা মাকে পরিকল্পনা দিতে হবে যে বাড়িতে কী ধরনের জটিলতা হতে পারে কিংবা হাসপাতালে প্রসব করার জন্য তাঁকে আগে থেকেই কী প্রস্তুতি দরকার।

প্রশ্ন

বাড়িতে প্রসব হলে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ে। এখন মাতৃমৃত্যুর ক্ষেত্রে কী ধরনের জটিলতা বেশি হচ্ছে?

ফেরদৌসী বেগম: বাড়িতে প্রসবে ঝুঁকি অনেক বেশি। মাতৃমৃত্যু বেশি ঘটে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও খিঁচুনিতে। বিএমএমএসের জরিপ অনুসারে, ২০১০ সালে ৩১ শতাংশ মাতৃমৃত্যু হতো রক্তক্ষরণে। ২০১৬ সালেও এ হার একই ছিল। খিঁচুনি ২০ থেকে বেড়ে ২৪ শতাংশ এবং মাসিক নিয়মিতকরণ (এমআর) ১ থেকে ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতালে প্রসব হলে গর্ভফুল বের করার আগে রক্তক্ষরণ বন্ধের জন্য একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। যথাযথভাবে গর্ভফুল বের করা হয়। জরায়ু শিথিল হয়ে গেলে রক্তক্ষরণ হয়। তাই জরায়ু যেন শিথিল না হয়ে যায়, সে জন্য জরায়ু ম্যাসাজ করা হয়। এসব হাসপাতালেই করা হয়। অনেক সময় বাড়িতে প্রসবের জটিলতা গুরুতর হয়ে ওঠার পাঁচ-ছয় ঘণ্টা পর হাসপাতালে আনা হয়। তখন কিছু করার থাকে না।

প্রশ্ন

গর্ভকালীন সেবার মধ্যে মাসিক নিয়মিতকরণ (এমআর) বা গর্ভপাত অন্যতম বিষয়। অনিরাপদ গর্ভপাতও মায়ের মৃত্যু ঘটায়। একে কীভাবে মোকাবিলা করা যায়?

ফেরদৌসী বেগম: মায়ের জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে মনে করলে গর্ভধারণের ১২ সপ্তাহের আগে চিকিৎসকের পরামর্শে এমআর করার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। এক দশক ধরে দেশে ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমেও এমআর করা শুরু হয়। আনুমানিক হিসাবে দেশে বছরে ৮-১০ লাখ এমআর হয়ে থাকে। এর অর্ধেক হয় চিকিৎসকদের পরামর্শে, বাকি অর্ধেক অনিরাপদ। অনিরাপদ এমআরে ৭ শতাংশ মাতৃমৃত্যু ঘটে। চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র অনুসারে এমআরের ওষুধ সেবনের কথা বলা হলেও যত্রতত্র তা বিক্রি হতে দেখা যায়। অনেক মা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই তা সেবন করেন। এমআরের ৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ডিএনসি করার দরকার পড়ে। হাসপাতালে না করলে যথেষ্ট স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে। দেশে ৩০ শতাংশ অপরিকল্পিত গর্ভধারণ হয়ে থাকে। এ কারণে আমরা সঠিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, বিশেষ করে দীর্ঘস্থায়ী পদ্ধতি অনুসরণের ওপর জোর দিই। করোনার সময়ে অপরিকল্পিত গর্ভধারণের ঘটনা ঘটেছে। অনেক মা বলেছেন, ‘বসে আছি, সন্তান নিয়ে নিই।’ জন্মবিরতিকরণ সামগ্রী ও সেবারও ঘাটতি ছিল। আমরা সে সময় সরকারকে বারবার বলেছিলাম, পরিকল্পিত গর্ভধারণ নিয়ে যেন টিভিসহ গণমাধ্যমে বেশি বেশি প্রচার চালানো হয়।

প্রশ্ন

মাতৃমৃত্যু কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি অর্জন করোনার কারণে যে হুমকিতে পড়েছে, তা মোকাবিলার জন্য কী করা দরকার?

ফেরদৌসী বেগম: করোনাকাল এখনো চলছে, তবে আগের তুলনায় আমরা সতর্ক হয়েছি। সতর্ক থেকে কীভাবে সেবা দিতে হবে এবং নিতে হবে, তা বুঝতে পেরেছি। করোনা পুরোপুরি যাবে না, এটা মাথায় নিয়েই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সেবা অব্যাহত রাখতে হবে। মাতৃমৃত্যু রোধে প্রতিটি ক্ষেত্রে যার যা করা প্রয়োজন, সেটা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে।

প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।

ফেরদৌসী বেগম: আপনাকেও ধন্যবাদ।