আনু মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সর্বজনকথা পত্রিকার সম্পাদক। প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন সম্প্রতি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কাটা, সুন্দরবনে আগুন লাগার ঘটনা, সরকারের উন্নয়ন নীতি, করোনা পরিস্থিতি ও নাগরিক সমাজের ভূমিকা নিয়ে।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সোহরাব হাসান
প্রথম আলো: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রেস্তোরাঁ করার জন্য অনেক গাছ কেটে ফেলেছে। উদ্যানের পাশেই রমনা রেস্তোরাঁ আছে। আপনার প্রতিক্রিয়া?
আনু মুহাম্মদ: নির্বোধ আর দুর্বৃত্তের সম্মিলনে ঘটছে এসবে। বিকৃত সৌন্দর্যবোধ, প্রাণবিনাশী উন্নয়ন দর্শন, দায়িত্বহীনতা, ঠিকাদারি বাণিজ্য, কমিশন সব একসঙ্গে কাজ করছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মারক নির্মাণের কথা বলে গাছ কাটা হচ্ছে রেস্তোরাঁ, গাড়ি রাখার জায়গা তৈরির জন্য, আশ্চর্য! মুক্তিযুদ্ধের প্রতি ন্যূনতম দায়বোধ থাকলে পুরোনো অমূল্য গাছ না কেটে বরং তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হতো। ঢাকা মহানগর এমনিতেই উন্মুক্ত স্থান ও বড় গাছের অভাবে অসুস্থ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো স্থানগুলো যদি উন্মুক্ত বড় গাছে ঘেরা জায়গা হিসেবে থাকে, যদি বুড়িগঙ্গাসহ নদীগুলোতে পানিদূষণ না থাকে, তাহলে ঢাকা আনন্দময় হবে, শারীরিক অসুস্থতাও অনেক কমবে। কিন্তু সরকার হাঁটে উল্টো দিকে।
প্রথম আলো: সুন্দরবনে দুই দফা আগুন লাগল তিন দিনের ব্যবধানে। আর সুন্দরবনের গাছপালা তো অবিরাম ধ্বংস করা হচ্ছে। তাহলে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সুন্দরবন কীভাবে রক্ষা পাবে?
আনু মুহাম্মদ: আমার আশঙ্কা বারবার আগুন লাগা, আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে দৃষ্টিকটু শৈথিল্য—এসবই সুন্দরবন বিনাশী মুনাফালোভী অপতৎপরতার অংশ। সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে সিমেন্ট–ফ্লাই অ্যাশসহ জাহাজ চলাচল, ঝুঁকিপূর্ণ দুর্ঘটনায় সুন্দরবন বারবার বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এর সমাধানে আমরা অনেক দাবি করেছি, প্রস্তাব দিয়েছি, কোনো কাজ হয়নি। আসলে সুন্দরবনের ওপর আক্রমণ চালানো হচ্ছে বহু দিক থেকে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ অত্যন্ত বিপজ্জনক আরও শত শত প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এগুলোর সঙ্গে যুক্ত দেশের প্রভাবশালী নানা গোষ্ঠী, এদের দরকার জমি, বিশ্বের ঐতিহ্য সুন্দরবনের বারোটা বাজলে তাদের কিছু আসে যায় না। যুক্তি, তথ্য, বিশেষজ্ঞ মত, জনমত, কাণ্ডজ্ঞান সবকিছুকে অস্বীকার করে সরকার এসব ক্ষতিকর কাজ করে যাচ্ছে; কিন্তু দৃশ্যমান সর্বনাশকে উন্নয়ন বলে ঢোল পেটাচ্ছে।
প্রথম আলো: করোনাকালে দরিদ্র মানুষ আরও দরিদ্র হচ্ছে। অনেকে কাজ হারিয়েছেন। ব্র্যাক ও পিপিআরসির জরিপ অনুযায়ী করোনাকালে ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। এদের সহায়তায় সরকারের কর্মসূচি কি যথেষ্ট?
আনু মুহাম্মদ: একই রকম চিত্র সিপিডি, সানেমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সমীক্ষা বা অনুসন্ধানেও দেখা যাচ্ছে। এক করোনার ধাক্কাতেই দারিদ্র্য পরিস্থিতির এ রকম অবনতি কেন হয়, সেই প্রশ্নটিই গুরুত্বপূর্ণ। দারিদ্র্যের হিসাব–নিকাশ আগে থেকেই ত্রুটিপূর্ণ। একটি বিশাল জনগোষ্ঠী, যাদের আগে দেখানো হয়েছে দারিদ্র্যসীমার ওপরে, তাদের জীবন–জীবিকা সবই একটা সরু সুতার ওপর ঝুলে ছিল। স্থায়ী বা স্থিতিশীল, নিরাপদ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন এ রকম মানুষের সংখ্যা বাংলাদেশে ৫ শতাংশের বেশি হবে না। ৮০ শতাংশই নাজুক অবস্থায়, অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটান। করোনাকালে এঁদের সহায়তায় যা দরকার ছিল তার ধারেকাছে সরকারের কর্মসূচি দেখা যায়নি।
প্রথম আলো: অতীতে আমরা দেখেছি যেকোনো দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার তথা সমাজের বিত্তবান মানুষ এগিয়ে আসতেন। এবার তেমনটি লক্ষ করা যাচ্ছে না। সমাজ থেকে মানবিক বোধ কি হারিয়ে যাচ্ছে?
আনু মুহাম্মদ: না, আছে। তবে অন্যান্য দুর্যোগের সঙ্গে এবারটির বড় পার্থক্য হলো, এখানে আগ্রহী মানুষের পক্ষেও বড় উদ্যোগ নেওয়া কঠিন স্বাস্থ্যবিধি, নিরাপদ দূরত্ব ইত্যাদির বাধ্যবাধকতার কারণে। তারপরও যতটুকু সম্ভব বা সম্ভবের তুলনায় বেশি উদ্যোগ আমরা ঢাকা–চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখেছি কতিপয় বাম দল, ছাত্রসংগঠন, তরুণদের বিভিন্ন গ্রুপের পক্ষ থেকে। বড় দল, বড় এনজিও, বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠী যাদের যেকোনো কাজ বিজ্ঞাপনী প্রচারে দেখা যায়, তাদের তৎপরতা বরং দৃষ্টিকটু মাত্রায় কম ছিল। আমরা অনেকেই বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চেষ্টা করেছি, আমাদের মতো অনেকেই অনলাইনেও ত্রাণ তৎপরতায় যুক্ত থেকেছেন। আমাদের দিক থেকে আরও চেষ্টা ছিল করোনা মোকাবিলায় সরকারের করণীয় বিষয়গুলো সুনির্দিষ্ট করে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। ২০২০ সালের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত চিকিৎসক, শিক্ষক, লেখক, শিল্পী, আইনজীবী, সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বেশ কয়েক দফায় সুপারিশমালা উপস্থাপন করা হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন করলে চিকিৎসার সংকট এবং জীবন–জীবিকার সংকট দুটোই কম হতো। এক বছর পার হওয়ার পরও নৈরাজ্য দেখতে হতো না।
প্রথম আলো: সরকারের উন্নয়ন নীতিগুলো কি প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জনসমাজের স্বার্থ রক্ষা করে পরিচালিত হয়?
আনু মুহাম্মদ: ভৌগোলিকভাবে ছোট দেশ হলেও আমাদের দেশ প্রাণবৈচিত্র্য, মাটির নিচে-ওপরে পানিসম্পদ, উর্বর জমি, পরিশ্রমী মানুষে সমৃদ্ধ। এগুলো সবই বাংলাদেশের শক্তির জায়গা, অথচ তথাকথিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে এগুলোই বিপর্যস্ত। ‘উন্নয়ন’ প্রকল্প নদী খুন করছে, বন উজাড় করছে, মানুষ উদ্বাস্তু হচ্ছে, অন্যদিকে সব প্রকল্প ব্যয় বিশ্বে সর্বোচ্চ, বায়ু-পানিদূষণ বিশ্বে শীর্ষে। মূলত দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত বলে এই অবস্থা। সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলো দেখেন, উপকূলজুড়ে কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র করা মানে হলো জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের বিপদ আরও বহুগুণ বাড়ানো। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র মানে পুরো দেশকে এমন বিপদের দিকে টেনে নেওয়া, যা মোকাবিলার সাধ্য এই জনবহুল দেশের নেই। অনিয়ম ও জবরদস্তি দিয়ে কীভাবে উন্নয়ন প্রকল্প চলছে তার একটি জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প। ইতিমধ্যে সেখানে ১২ জন মানুষ খুন হয়েছেন। আরও অসংখ্য মানুষ জখম বা হয়রানির মধ্যে আছেন। কোনো বিচার নেই, জবাবদিহি নেই। জনস্বার্থ, দেশ, প্রাণ প্রকৃতি বিচার করে নিলে উন্নয়ন নীতিমালা মৌলিকভাবে ভিন্ন হতো।
প্রথম আলো: আপনারা সরকারের জ্বালানি নীতির বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু সরকার তো বিদ্যুৎ খাতে যথেষ্ট উন্নতি করেছে।
আনু মুহাম্মদ: এটা স্লোগান, এখনো অনেকের বিদ্যুৎ নেই, নিরবচ্ছিন্নও নয়, আর বারবার দাম বাড়ায় ব্যক্তি–প্রতিষ্ঠান সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। সরকার যে নীতি দ্বারা পরিচালিত তা সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর জন্য নয়, বিদ্যুতের নামে দেশি–বিদেশি কিছু গোষ্ঠীকে উচ্চ মুনাফার পথ তৈরি করে দেওয়া, বসিয়ে বসিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা কিছু গোষ্ঠীর পকেটে তুলে দেওয়া। প্রাণবিনাশী উচ্চ ব্যয়বহুল সর্বনাশা প্রকল্প তার অংশ। বিদ্যুতের জন্য অনেক ভালো পথ আছে। আমরা শুধু বিরোধিতা নয়, ২০১৭ সালে বিকল্প মহাপরিকল্পনাও দিয়েছিলাম, তাতে জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি করে দেশের গ্যাস সম্পদ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে কীভাবে সবার ঘরে কৃষিশিল্পে টেকসই, সুলভ, পরিবেশবান্ধব, নিরাপদ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব, তা দেখিয়েছি। কিন্তু তাতে সরকারের আগ্রহ নেই। দুনিয়ার সবাই কয়লা ও পারমাণবিক থেকে সরে আসছে আর সরকার বাংলাদেশকে ঠেলে দিচ্ছে সেই সর্বনাশা পথে।
প্রথম আলো: করোনাকালে প্রায় সব দেশই পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণ করেছে। বাংলাদেশের উন্নয়ননীতিতে কোনো পরিবর্তন লক্ষ করছেন কি?
আনু মুহাম্মদ: বিশ্বে করোনাভাইরাসের মতো মহাবিপদের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে মুনাফা উন্মাদনাভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থার আগ্রাসী তৎপরতায়। বিশ্বের সাগর-মহাসাগর-বায়ুমণ্ডল-নদী-পাহাড়-বাস্তুসংস্থান সব মুনাফার তাণ্ডবে ক্ষতবিক্ষত। কিছু লোকের অতি ভোগ, লোভ আর হিংস্রতায় বিশ্ব কাতর। যুদ্ধ আর যুদ্ধাস্ত্র খাতে ব্যয় স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও গবেষণার চেয়ে অনেক বেশি। সামরিকীকরণ আর প্লাস্টিকের জৌলুশ মানুষকে ঢেকে দিচ্ছে। শ্বাস নেওয়ার বাতাস আর পানের পানিও ঢেকে যাচ্ছে মারণাস্ত্র আর বিষে। আসলে করোনাকালের অভিজ্ঞতায় এটা স্পষ্ট যে উন্নয়ন দর্শনে বড় বদল আনতে হবে। যে বদলগুলো জরুরি তার মধ্যে আছে: ১. স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থা ব্যবসার বিষয় না রেখে রাষ্ট্রের দায়িত্বে সম্প্রসারণ। ২. পূর্ণ রেশনিং ব্যবস্থাসহ সামাজিক অর্থবহ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা। ৩. প্রাণ প্রকৃতি মানববিনাশী সব প্রকল্প বন্ধ করা। এবং ৪. মতপ্রকাশের অধিকার, উন্নয়ন প্রকল্পসহ সব পর্যায়ে জনগণের অংশগ্রহণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার বিধিব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
প্রথম আলো: করোনার ধাক্কা সামলাতে সরকার ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছে, যার বেশির ভাগই পেয়েছেন বড় উদ্যোক্তারা। ছোটরা পাননি। প্রতিকার কী?
আনু মুহাম্মদ: পৃথিবীর সব দেশই করোনাকালে নানা মাত্রায় প্রণোদনা দিয়েছে। বাংলাদেশের মতো দৃষ্টান্ত খুব কম, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে মূল বিবেচনাতেই রাখা হয়নি। এ কারণে লকডাউনও কাজ করেনি। জিডিপির অনুপাতে বাংলাদেশের প্রণোদনার অঙ্ক একেবারে নিচের দিকে, আবার তা বৃহৎ ব্যবসায়িক গোষ্ঠী, যাদের সরকারের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ আছে, কেবল তারাই পেয়েছে। কর্মজীবী, পেশাজীবী কিন্তু কাজ হারিয়ে আয় সংকটে বিপর্যস্ত, তারা তো নয়ই, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারাও এই প্রণোদনা থেকে অনেক দূরে। করোনা এসব শ্রেণির নারীদের জন্য আরও বেশি সংকট তৈরি করেছে, সমতল ও পাহাড়ের আদিবাসীদের ক্ষেত্রেও তাই, কিন্তু তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
প্রথম আলো: যেকোনো দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্বের ঘটনা ঘটলে নাগরিক সমাজই প্রতিবাদ করে থাকে। বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ সেই দায়িত্ব কতটা পালন করছে?
আনু মুহাম্মদ: জনসমর্থন নয়, জননিপীড়নের মধ্য দিয়েই সরকার টিকে থাকতে চায়। ক্ষমতাবানদের দুর্নীতি বা ভুল নীতির সমালোচনা করে এক লাইন লিখেও শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিকদের জেলে যেতে হচ্ছে, মরতে হচ্ছে, কার্টুনিস্ট–শিল্পী কাজ করতে পারছেন না, গান গাওয়ার জন্য বয়াতিকে জেলে যেতে হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ক্রসফায়ার, গুম, থানা-জেল হেফাজতে জুলুম কোনো কিছুই থামছে না। ত্বকী, সাগর–রুনি, তনুসহ বহু খুনের বিচার হচ্ছে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে তার বিরোধী কাজে সরকার বেপরোয়া। এসবের প্রতিবাদ হচ্ছে, তবে আক্রমণের তুলনায় প্রতিবাদ দুর্বল। বড় সংকট হচ্ছে বাণিজ্যে, ক্ষমতার বিভিন্ন খোপে শিক্ষক-লেখক-বুদ্ধিজীবীসহ নাগরিক নেতৃত্বের একাংশের বসতি স্থাপন, লাভে-লোভে-ভয়ে তাদের নীরবতা বা অন্যায় কাজেও তোষামোদী ভূমিকা পালন। সরকার ভয়ের রাজত্ব জারি রাখতে চায়, মানুষকে নিষ্ক্রিয় করতে চায়, নীরব পুতুল বানাতে চায়। আমাদের দায়িত্ব সেই ভয় দূর করা, সক্রিয় এবং সরব থাকা, পুতুলের জায়গায় মানুষের সংখ্যা বাড়ানো।
প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।
আনু মুহাম্মদ: আপনাকেও ধন্যবাদ।